আর্কাইভ  শনিবার ● ২৮ জুন ২০২৫ ● ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৮ জুন ২০২৫
আলোচনায় ফেরাতে ইরানকে ‘লোভ’ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

আলোচনায় ফেরাতে ইরানকে ‘লোভ’ দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

ইরান কখনও আত্মসমর্পণ করবে না: খামেনি

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে যেভাবে উসকে দিচ্ছে সমরাস্ত্রের ব্যবসা

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে যেভাবে উসকে দিচ্ছে সমরাস্ত্রের ব্যবসা

ইসরায়েলি হামলায় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত

ইসরায়েলি হামলায় ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীসহ পরিবারের ১১ সদস্য নিহত

বিএনপির বিপরীতে ৩ শক্তির বৃহত্তর সমঝোতার চেষ্টা

শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫, রাত ০৯:৪২

Ad

নিউজ ডেস্ক:  আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকছে না– এমনটা ধরে নিয়ে রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণের চেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে বিএনপির বাইরে এক ধরনের ‘বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতা’র প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো।

আপাতত এর অবয়বটা হলো– জামায়াতে ইসলামী বিএনপির মতো এককভাবে নির্বাচন করবে। চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন সামনে রেখে ধর্মভিত্তিক দলগুলো একটা প্ল্যাটফর্ম গঠন করবে। আর সংস্কার আলোচনায় বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নেওয়া দলগুলো নিয়ে পৃথক মোর্চা গঠন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এই তিন শক্তি আনুষ্ঠানিক কোনো জোট গঠন করবে না। কিন্তু তারা নির্বাচনে একে অন্যকে আসনভিত্তিক ছাড় দেবে।

জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত মজলিসের দুই অংশ, এবি পার্টি এবং গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন একটি চিত্র পেয়েছে সমকাল। তাদের দাবি, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা কয়েকটি দলও বৃহত্তর সমঝোতায় যুক্ত হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। এই দলগুলোর নেতাদের ভাষ্য, প্রাথমিক এই পরিকল্পনায় সব দল একমত হয়েছে। তবে এর বাস্তবায়ন বেশ কঠিন।

এই রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক সংস্কার প্রশ্নে আপাতত কাছাকাছি এসেছে। একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার, গণসংহতি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জেএসডি, জমিয়ত, খেলাফত মজলিসের দুই ভাগসহ সংস্কারের সংলাপে অংশ নেওয়া ২৩টি দল নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন চায়। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনেরও পক্ষে দলগুলো। প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতিতেও এই দলগুলোর অবস্থান কাছাকাছি। নির্বাচনী সমঝোতার প্রচেষ্টায় যুক্ত দলগুলোর নেতাদের মতে, সংস্কারে বিএনপির অনড় অবস্থান বাকি দলগুলোকে আরও কাছাকাছি আনছে। 

মৌলিক সংস্কার, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবিতে আগামীকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করবে ইসলামী আন্দোলন। এতে জামায়াত, এনসিপিসহ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের দাবি করা দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপিকে এখনও এই সমাবেশে দাওয়াত করা হয়নি। 
জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনূস আহমদ সমকালকে বলেন, ইসলামী দল হতে হবে– এমন কথা নেই। দেশ, ইসলাম এবং মানবতার কল্যাণে যারাই কাজ করবে, তাদের জন্য দুয়ার উন্মুক্ত। 

ভোটের অঙ্ক ধরে সমঝোতার হিসাব 
বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতা প্রচেষ্টার অংশ এবং সরকার-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত একটি দলের জ্যেষ্ঠ একজন নেতা সমকালকে বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকায় ভোটের রাজনীতিতে নতুন মেরূকরণ হবে। 

এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, বিএনপি মূলত আওয়ামীবিরোধী মনোভাবের ভোটারদের প্ল্যাটফর্ম। নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করে বারবার ধানের শীষে ভোট দিয়েছে তারা। এবারে নির্বাচনে নৌকা না থাকায় আওয়ামীবিরোধী ভোট ধানের শীষ একা পাবে না। নানা ভাগে ভাগ হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকলে আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া দলগুলো বিএনপির নেতৃত্ব মেনে চলতে বাধ্য হতো। আওয়ামী লীগ ফিরলে আবার নির্যাতনের শিকার হতে হবে– এ ভয়ে দলগুলো বিএনপি যে কয়টি আসন দিত, তা মেনে নিত। আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে ছিটকে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি এখন আর নেই।

১৯৯১ সালে ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ, ১৯৯৬ সালে ৩৩ দশমিক ৬, ২০০১ সালে ৪১ ও ২০০৮ সালে ২২ শতাংশ ভোট পায় বিএনপি। ওই চার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩০ দশমিক ২ শতাংশ, ৩৭ দশমিক ৪, ৪০ দশমিক ১ ও ৪৯ শতাংশ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ২০০১ সালে ৪৭ ও ২০০৮ সালে ৩৭ দশমিক ৬১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল।
নির্বাচনী সমঝোতার প্রচেষ্টা করা দলগুলোর নেতারা সমকালকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ না থাকলেও আগামী নির্বাচনে বিএনপি একা ৬০-৭০ শতাংশ ভোট পাবে না। এ সম্ভাবনা থাকলে দলটি ভোটের অনুপাতে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনে রাজি হতো। 

এর কারণ হিসেবে তারা দাবি করছেন, দখল, চাঁদাবাজি, অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুনোখুনির ঘটনায় ১০ মাসে বিএনপির জনসমর্থন কমেছে। আওয়ামী লীগের কট্টর সমর্থকরা নিশ্চিতভাবেই নির্বাচন বর্জন  করবেন, যেমনটা বিএনপি জোটের সমর্থকরা ২০২৪ সালে করেছিল। এ সমীকরণে জামায়াত, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলনসহ ছোট দলগুলো এক হতে পারলে বিএনপিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বলে মনে করছেন তারা।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর সমকালকে বলেন, ‘সবাই যেমন ভাবছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ফল তেমন নাও হতে পারে। একানব্বইয়ের নির্বাচনে সবাই বলেছিল, আওয়ামী লীগ জিতবে। কিন্তু দলটি গোল্লা মেরেছিল। এবারও তেমন হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ 

জোট করবে না জামায়াত 
আওয়ামী লীগ না থাকায়, ভোটের মাঠে নিজেদের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বলছে জামায়াত। গত ২০ জুন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ঘোষণা দেন, ‘ইসলামী দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের সমঝোতা হয়েছে। ইসলামী দলগুলো আগামী নির্বাচনে একসঙ্গে থাকবে।’
যদিও জামায়াতের নীতিনির্ধারণী নেতারা জানিয়েছেন, অতীত অভিজ্ঞতার কারণে আগামী নির্বাচনে জোট করবে না জামায়াত। একজন জ্যেষ্ঠ নেতা সমকালকে বলেন, ‘আদর্শিক কারণে জোট গঠন কঠিন কাজ। কওমি ঘরানার অনেক দলের রাজনৈতিক ভিত্তিই জামায়াত-বিরোধিতা। তারা চাইলেও জামায়াতের সঙ্গে জোট করবে না। আবার জামায়াতের পক্ষে বাম ঘরানার দলের সঙ্গে জোট করা সম্ভব না। তাই বৃহত্তর সমঝোতার প্রচেষ্টাই বাস্তবসম্মত। 

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের  বলেন, নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা হওয়ার পর পরিস্থিতি বলবে জোট হবে, নাকি সমঝোতা হবে। জামায়াত বৃহত্তর নির্বাচনী সমঝোতার ধারণার বিরোধী নয়। ভোটের হাওয়া বইতে শুরু করলে সমঝোতার বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তিনি বলেন, এখন মূল লক্ষ্য মৌলিক সংস্কার এবং নির্বাচনের জন্য সবার সমান সুযোগ (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) সৃষ্টি করা। যেসব দল মৌলিক সংস্কার, সুষ্ঠু নির্বাচন চায় তাদের সঙ্গে জামায়াতের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক আছে।

জামায়াত ইতোমধ্যে ২৯৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির জ্যেষ্ঠ একজন নেতা  বলেন, রংপুর বিভাগের ৩৩, খুলনা বিভাগের ৩৬, রাজশাহী বিভাগের ১২, দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮টিসহ সিলেট, কুমিল্লা, পিরোজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় শ’খানেক আসনে বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সক্ষমতা রয়েছে জামায়াতের। বৃহত্তর নোয়াখালী এবং বগুড়ায় জামায়াতের অবস্থান ভালো হলেও, সেখানে বিএনপিই প্রধান শক্তি। 

এই মূল্যায়ন জানিয়ে ওই নেতা বলেন, নির্বাচনকে ‘বিএনপি বনাম সবাই’– রূপ দিতে পারলে যে কোনো ফল সম্ভব। আর এই বার্তা দিতে পারলে দোদুল্যমান ভোটারদেরও সমর্থন পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, বিএনপিকে হারানো সম্ভব– এই রব তুলতে না পারলে ভোট মিলবে না। ‘বিএনপিই সরকার গঠন করবে’– এই আওয়াজ থাকলে গ্রামগঞ্জের ভোটাররা অন্য কাউকে ভোট দেবে না। অতীতে দেখা গেছে দোদুল্যমান ভোটাররা ভোট দেন, কোন দল জয়ী হতে পারে সেই সম্ভাবনা দেখে। 

গত তিনটি নির্বাচন বিতর্কিত হওয়ায় মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকই জীবনে প্রথমবারের মতো প্রকৃত অর্থে ভোট দেবেন। অন্য দলগুলোকে টিকতে হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কোনো দলের পক্ষে একা তা সম্ভব নয়। এ কারণেই বৃহত্তর সমঝোতার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পরও সমঝোতা কীভাবে হবে– এমন প্রশ্নে জামায়াতের জ্যেষ্ঠ নেতারা বলেন, আসন সমঝোতা হলে প্রার্থীকে প্রত্যাহার করা, নিষ্ক্রিয় করাসহ নানা পদ্ধতি আছে। যেমন– একানব্বই সালে বিএনপি ও জামায়াত পর্দার আড়ালে সমঝোতা করে একে অন্যকে বিভিন্ন আসনে ছাড় দিয়েছিল। 

ইসলামী দলগুলোর সমঝোতা, অন্যদের সঙ্গে সহজ নয়
চরমোনাই পীরের দলের সঙ্গে মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জমিয়ত, খেলাফত, ইসলামী ঐক্যজোট এবং নেজামে ইসলাম পার্টি গত এপ্রিল থেকে সমঝোতার লক্ষ্যে আলাপ-আলোচনা করছে। লিয়াজোঁ কমিটিও গঠন করেছে। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামঘনিষ্ঠ এই দলগুলো বলছে, তারা ইসলামপন্থিদের ভোট আগামী নির্বাচনে এক বাক্সে আনতে চায়। 
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ  বলেন, জোট গঠন কঠিন কাজ। তাই সমঝোতা করা হবে। যে যার রাজনীতি করবে, কর্মসূচি পালন করবে। তবে চেষ্টা থাকবে, ইসলামী দলগুলোর যেন একক প্রার্থী থাকে প্রতিটি আসনে। 

জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতার চিন্তার কথাও বলেছেন ইউনুস আহমাদ। তিনি বলেন, যদিও অন্য দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতা ‘আকিদাগত কারণে কঠিন কাজ’ বলে মনে করা হয়। একজন নেতা এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলগুলোতে নেতাদের চেয়ে প্রভাবশালী হলেন ‘মুরব্বিরা’। দেওবন্দি ঘরনার এই আলেমরাই দলগুলোর প্রধান শক্তি। তারা জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর মতবাদের বিরোধী। সুতরাং ইচ্ছা থাকলেও জামায়াতের সঙ্গে জোট করা কঠিন। ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘জোট তো হবে না। একে অন্যের সঙ্গে সমঝোতা করবে।’ 

গত ২০ জানুয়ারি বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের সঙ্গে দেখা করে ইসলামপন্থিদের ভোট এক বাক্সে আনার কথা বলেন জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান। এর পরের সপ্তাহেই ইসলামী আন্দোলনের কার্যালয়ে গিয়ে ১০ দফায় সই করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে চরমোনাই পীরের দল, কয়েক মাস ধরেই নানা অভিযোগ তুলে বিএনপির সমালোচনা করছে। সংস্কারে অন্য দলের বিপরীত অবস্থানের কারণে অভিযোগ করছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে শেখ হাসিনার মতোই ফ্যাসিবাদী হতে চায়। ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, এ আলামত তো দেখা যাচ্ছে। 

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমীন  বলেন, ইসলামপন্থি দলগুলো ভোট এক বাক্সে আনতে একমত হয়েছে। একক ইশতেহার বা কর্মসূচি হয়তো হবে না, শুধু নির্বাচনী সমঝোতা হবে। 

এনসিপিসহ অন্য দলগুলোও সমঝোতা চায়, তবে বাধা আছে
নবগঠিত এনসিপির সঙ্গে এবি পার্টিসহ কয়েকটি দলের সমঝোতা হতে পারে। বিএনপি ইতোমধ্যে গণঅধিকারের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানকে আসন ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। তাদের সহায়তা করার জন্য স্থানীয় বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে। জেএসপির আ স ম আবদুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর মান্না এবং গণসংহতির জোনায়েদ সাকিকে কর্মসূচি পালনে সহায়তার জন্য বিএনপি চিঠি দিয়েছে স্থানীয় নেতাদের। 

একাধিক নেতা জানিয়েছেন, এ চিঠিই এখন তাদের বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপির স্থানীয় নেতারা শত্রু ভাবছেন চিঠি নিয়ে আসা যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দলগুলোর নেতাদের। পটুয়াখালীতে ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন নুরুল হক নুর। 

সমমনা হয়েও গণঅধিকার, গণসংহতি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জেএসডি, নাগরিক ঐক্যসহ কয়েকটি দল মৌলিক সংস্কারে বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। এতে দলগুলোর সঙ্গে এনসিপি, এবি পার্টিসহ অন্যরা কাছাকাছি এসেছে। মধ্য এবং মধ্যবামপন্থি এ দলগুলোও সমঝোতার চেষ্টাকে ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সমকালকে বলেন, সংস্কারের জন্য সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার কথা চলছে। নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে ভাবা হবে সংস্কারের পর। 
জামায়াত থেকে বেরিয়ে আসা নেতারা এবি পার্টি গঠন করেছে। এ দলটি যে বলয়ে থাকবে, তাদের সঙ্গে সমঝোতা করা কঠিন হবে জামায়াতের জন্য। এ তথ্য জানিয়ে এবির একজন নেতা বলেন, এবি পার্টিসহ মধ্যপন্থিদের মধ্যে সমঝোতা সম্ভব। সেই প্রচেষ্টা চলছে। 

মন্তব্য করুন


Link copied