শিল্পী আক্তার : কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। গতমাসে এ উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সুখের বাতী, সোনাপুর, ঘুঘুমারী,নামাজের চর এলাকায় অন্তত ১০০ পরিবারের ঘরবাড়ি ও ফসিল জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েক টি পরিবার, বিভিন্ন স্হাপনা,মসজিদ, বাজার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সরজমিনে দেখা যায়, নদীর পানি বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা।বসতভিটা হারিয়ে অনেক পরিবার অন্যের জমিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো অভিযোগ করেছেন স্হানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বারবার ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্হা না নিয়ে শুধু মাত্র নামমাত্র জিও ব্যাগ ফেলে দায় সারছে।
ভাঙন কবলিত এলাকায় ৮ এপ্রিল পরিদর্শনে যান রংপুর পাউবো সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব। পরে ১৮ এপ্রিল ঢাকা ডিজাইন সার্কেলের নির্বাহীপ্রকৌশলী ফাইয়াজ জালাল উদ্দীন উপবিভাগীয় প্রকৌশল মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান পরিদর্শন করেন। তবে ভুক্ত ভোগীদের অভিযোগ, পরিদর্শনের পরও আজ পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্হা নেওয়া হয়নি
বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া শিল্পী খাতুন বলেন," এক সপ্তাহ আগে আমার ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়েছি। সব হারিয়ে আমি এখন পথে। '' নাজমা খাতুন বলেন, বাবার বাড়িতে থাকতাম, সেটা ও নদীতে চলে গেছে। আমি এখন অন্যের বাড়িতে, বাবা আবার দাদার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
সাজেদা খাতুন জানান, " তিন দিন আগে আমার বসতভিটা ও ফসিল জমি নদীতে চলে গেছে। আমরা এখন নিঃস্ব। " এই পরিস্থিতিতে ক্ষতি গ্রস্তরা দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে স্হানীয় ব্যবস্হা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, জিও ব্যাগ ও বান্ডালের টেন্ডার বাতিল করা হয়েছে। অর্থ সংকটের কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় এসব টেন্ডার বাতিল করেছেন।
লেখিকা,
শিল্পী আক্তার।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিক বিভাগের শিক্ষার্থী
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।