নিউজ ডেস্ক:আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। সাতটি বিভাগের সঙ্গে একটি মেট্রো দল নিয়ে এবারের আসর হবে। পুরো টুর্নামেন্টে দায়িত্ব সামলাবেন অভিজ্ঞ-নবীনসহ দেশীয় কোচরা। ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ক্রিকেটাররাও অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
মুলত বিপিএলের আগে নিজেদের প্রমাণ করার মঞ্চ হিসেবেই দেখা হচ্ছে এনসিএলকে। এবার ঢাকা বিভাগীয় দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মিজানুর রহমান বাবুল, যিনি বিপিএলে ফরচুন বরিশালের কোচ হয়ে ২০২৪ ও ২০২৫ মৌসুমে দলকে শিরোপা জেতানোর স্বাদ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।
চট্টগ্রামের দায়িত্বে আছেন মাহবুব আলী জ্যাকি, দীর্ঘদিন ধরে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করে আসছেন এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড় গড়ে তুলতে অবদান রেখেছেন। সিলেটের কোচ রাজিন সালেহ তো পরিচিত মুখ, বয়সভিত্তিক দল গঠন ও খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করতে তার বেশ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
রাজশাহী বিভাগীয় দল সামলাবেন আব্দুল করিম জুয়েল, যিনি এ অঞ্চলের ক্রিকেট কাঠামোর সঙ্গে বহু বছর ধরে যুক্ত। বরিশালের কোচ হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে টেস্ট সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়া এই ব্যাটার কোচিং পেশায় অনেক আগেই নাম লিখিয়েছেন। গেল বিপিএলে সফলভাবে কাজও করেছেন। এবার ঘরোয়া টুর্নামেন্টে প্রধান কোচ হিসেবে দেখা যাবে তাকে।
খুলনা বিভাগের দায়িত্বে আছেন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল ব্যাটার তুষার ইমরান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১ হাজারের বেশি রান করা তুষার অবসরের পর বিভিন্ন ক্লাব ও বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কোচিং করিয়েছেন। রংপুরের দায়িত্বে আছেন সাইফুল ইসলাম খান, তিনিও স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে কোচিং করিয়ে আসছেন।
এ ছাড়া ঢাকা মেট্রোর দায়িত্বে থাকবেন নাজমুল হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার আগে থেকেই কোচিং পেশায় মনোনিবেশ করেছেন। এবার তাকে ঢাকা মেট্রোর প্রধান কোচ হিসেবে দেখা যাবে। যদিও এই আসরের পরে ঢাকা মেট্রো দল আর থাকছে না।