নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল রাজনৈতিক সমাবেশে জোরালো হুংকার দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন দক্ষিণী সিনেমার সুপারস্টার ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়। সম্প্রতি লাখো সমর্থকেন উপচে পড়া জনসভায় বিজয় বলেন, আমাদের একমাত্র আদর্শগত শত্রু বিজেপি। আজ আমরা ফ্যাসিবাদী বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।
মুহূর্তেই জনসভাস্থলে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে উপস্থিত জনতা। এই মহাসমাবেশের আয়োজন করে বিজয়ের নিজস্ব রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে)। এর আগে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রথম জনসভায় অংশ নেওয়ার মাত্র ৯ মাসের ব্যবধানে দলটি দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। এবার মাদুরাই আসন থেকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিলেন বিজয়।
চেন্নাইয়ে জন্ম নেওয়া যোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখরকে ভক্তরা ভালোবেসে ডাকেন ‘থালাপতি’, অর্থাৎ সেনাপতি। একের পর এক সুপারহিট সিনেমার মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় তারকায় পরিণত হন। তবে ঝলমলে ক্যারিয়ারের শিখরে থাকতেই রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার ভাষায়, রাজনীতি সিনেমার মতো সহনশীলতার জায়গা নয়, এটি যুদ্ধক্ষেত্র। তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে আমি বেছে নিয়েছি লড়াইয়ের পথ।
বিজয়ের এমন সাহসী অবস্থানের পরও ভারতের বেশিরভাগ জাতীয় গণমাধ্যম তার বক্তব্য প্রচারে নীরব থাকে। তবে দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিজয়ের বক্তব্যের ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, মাথা ও হাতে কমলা-হলুদের ওড়না বাঁধা বিজয় জনতার প্রতি অভিবাদন জানাচ্ছেন, চারপাশ মুখর হয়ে উঠেছে জনতার উল্লাসে।
বিজয়ের রাজনৈতিক অবস্থান শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশেও ভক্তদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। নেটিজেনদের মন্তব্য, সিনেমার নায়ক থেকে তিনি এখন বাস্তবের নায়ক। অনেকেই বলছেন, বিজয় তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে এখন জনগণের সেবায় আত্মনিয়োগ করছেন, যা সত্যিকারের নেতৃত্বের পরিচায়ক।
থালাপতি বিজয়ের ঘোষণানুযায়ী, তার লক্ষ্য ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে জনসেবায় আত্মনিয়োগ করা। তিনি বিশ্বাস করেন, রাজনীতি কোনো পেশা নয়, এটি জনগণের প্রতি দায়িত্ব।