আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ● ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যোগ্যতা ছাড়াই ১২ বছর ধরে বেরোবিতে শিক্ষক, তদন্তে কমিটি

যোগ্যতা ছাড়াই ১২ বছর ধরে বেরোবিতে শিক্ষক, তদন্তে কমিটি

বেরোবির সেই আওয়ামী পন্থী শিক্ষককে অব্যাহতির দাবি

বেরোবির সেই আওয়ামী পন্থী শিক্ষককে অব্যাহতির দাবি

সন্তানের সামনে অভিভাবকদের যেসব কাজ করা উচিত নয়

সন্তানের সামনে অভিভাবকদের যেসব কাজ করা উচিত নয়

বেরোবিতে প্রভোস্ট ছাড়া হল, এবার খাবারে মিলল বড় আকৃতির পোকা

বেরোবিতে প্রভোস্ট ছাড়া হল, এবার খাবারে মিলল বড় আকৃতির পোকা

দিনের শুরুতে কিশমিশ ভেজানো পানি বাড়তি কী কী উপকারিতা মিলবে?

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:৫৪

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: কারও সঙ্গী ভেজানো আমন্ড, আবার কারও কিশমিশ। সকালে প্রথম খাবার হিসেবে বেছে নেন এমন স্বাস্থ্যকর বিকল্প। জল থেকে বাদাম-কিশমিশ তুলে খেয়ে নেন। আর জলটা কী করেন? ফেলে দেওয়ার মতো বোকামি করেন না তো? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় একই পুষ্টিগুণ রয়েছে কিশমিশ ভেজানো জলে। ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে খেতেই পারেন ওই জল। ভেজানো কিশমিশ খাওয়ার মতোই উপকারিতা মেলে কিশমিশ ভেজানো জলে। রোজ সকালে এই পানীয় খেয়ে দিন শুরু করুন।

কিশমিশ ভেজানো জল খেলে কী কী উপকারিতা মেলে?

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
কিশমিশের মধ্যে পলিফেনল, ফ্ল্যাভনয়েড ও ফেনোলিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং ক্রনিক অসুখের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে। এমনকী বার্ধক্য জনিত রোগের হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখে। ক্যান্সারের মতো মারণরোগের ঝুঁকি কমায়।

হজমের সমস্যা দূর করে
বাঙালির রোজের সঙ্গী গ্যাস-অম্বল। হজম ক্ষমতা দুর্বল হলে ভুগতেই হবে বদহজমে। এই সমস্যা এড়াতেও কিশমিশ ভেজানো জল খেতে পারেন। কিশমিশের মধ্যে ফাইবার রয়েছে, যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বজায় রাখে এবং পেট সাফ করে। এ ছাড়া এই পানীয়তে প্রিবায়োটিক রয়েছে, যা অন্ত্রে মাইক্রোবিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে শরীর খাবার থেকে পর্যাপ্ত পুষ্টি শোষণ করতে পারে এবং গ্যাস-অম্বল থেকে মুক্তি মেলে।

কাজ করার এনার্জি মেলে
কিশমিশের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়। বিশেষত কালো কিশমিশে আয়রনের মাত্রা বেশি থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত আয়রন থাকলে গোটা দেহে অক্সিজেন সরবরাহ সচল থাকে এবং শরীরে ক্লান্তি থাকে না। তাই সকালবেলা কিশমিশ ভেজানো জল খেলে সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকা যায়।
 
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
কিশমিশের মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। হাইপারটেনশনের ঝুঁকি কমায় কিশমিশ ভেজানো জল। পাশাপাশি এই পানীয়তে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি প্রতিরোধ করে।

ত্বকের জেল্লা বাড়ায়
কিশমিশ ভেজানো জল ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। কিশমিশের মধ্যে ভিটামিন সি, ই-এর মতো পুষ্টি পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও উপযোগী। ত্বকে কোলাজেন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে চামড়া টানটান রাখতে সাহায্য করে কিশমিশ ভেজানো জল। দিনের শুরুতে এই পানীয় খেলে ত্বকের যত্ন নিয়েও আর বেশি ভাবতে হবে না। তাই ব্যালেন্সড ডায়েটের সঙ্গে কিশমিশ ভেজানো জল রাখতেই হবে।

মন্তব্য করুন


Link copied