আর্কাইভ  রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫ ● ২০ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫
তারেক রহমান দেশে ফিরে ঘোষণা করবেন প্রার্থী তালিকা

বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা
তারেক রহমান দেশে ফিরে ঘোষণা করবেন প্রার্থী তালিকা

আমেরিকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ! আরাকান বাংলাদেশে যুক্ত হচ্ছে ?

মানচিত্রে বড় পরিবর্তন আসবে?
আমেরিকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ! আরাকান বাংলাদেশে যুক্ত হচ্ছে ?

স্বর্ণের ভরি দুই লাখ ছুঁইছুঁই

স্বর্ণের ভরি দুই লাখ ছুঁইছুঁই

‘গাজার নৌ-বহর ও শহিদুল আলমের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’

বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা
‘গাজার নৌ-বহর ও শহিদুল আলমের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’

সব নিত্যপণ্যের দাম অসহনীয়

কাঁচামরিচের কেজি ৪০০ টাকা

শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫, দুপুর ০৩:৫১

Advertisement

নিউজ ডেস্ক :  বৃষ্টির অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে ফের অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরবরাহ নেই এমন অজুহাতে এক লাফে দ্বিগুণ বাড়ানো হয়েছে কাঁচামরিচের দাম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের খুচরা পর্যায়ে এই মরিচ সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সবজির দামও। একাধিক সবজি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কিছু সবজির দাম ১০০ টাকার ওপরে গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে মাছের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও উচ্চমূল্যে কিনতে পারছেন না ক্রেতা। সঙ্গে মুরগির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০-৪০ টাকা। এতে শুক্রবার ছুটির দিন নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস উঠেছে।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩০০-৩২০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেলেও নয়াবাজারে এই মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩৫০-৩৬০ টাকা। পাশাপাশি মালিবাগ কাঁচাবাজারে এই মরিচ সর্বোচ্চ প্রতিকেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। মালিবাগ কাঁচাবাজারে মরিচ কিনতে আসা মো. সোলাইমান বলেন, গত শুক্রবার প্রতিকেজি কাঁচামরিচ সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় পাওয়া গেলেও এখন বিক্রেতারা ৪০০ টাকা চাইছে। বৃষ্টি হলেই বিক্রেতারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করছে। কিন্তু বাজারে মরিচের কোনো সংকট নেই।

একই বাজারের বিক্রেতা মো. শাহ আলম বলেন, বৃষ্টিতে আড়তে সরবরাহ কমেছে। আড়তদাররা বাড়তি দামে আমাদের কাছে বিক্রি করেছে। তাই আমাদেরও ক্রেতার কাছে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। বাড়তি দামে কিনলে আমাদেরও বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হয়।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, বৃষ্টিতে কৃষি খেত নষ্ট হয় এটা স্বাভাবিক। দামও কিছুটা বাড়তে পারে। তবে এক লাফে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৪০০ টাকা হবে এটা স্বাভাবিক নয়। এটা বিক্রেতাদের কারসাজি। যা তদারকি সংস্থাগুলোর নজর দিতে হবে।

এদিকে বৃষ্টিতে সরবরাহ কমার অজুহাতে সবজির দামও বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়, কচুরলতি প্রতিকেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপশি প্রতিকেজি গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, বরবটি ১০০-১১০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, দুন্দুল ৮০-৮৫ টাকা, পটোল ৭০-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সঙ্গে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, শিম ২০০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, যা একদিন আগেও ১৮৫ টাকা ছিল। আর সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, যা একদিন আগেও ২৮০ টাকা ছিল। আর সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা। পাশাপাশি দেশি মুরগি প্রতিকেজি ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকা, আর প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি মাঝারি আকারের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২৩০০-২৫০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০-১৮০০ টাকা। আর ছোট আকারের প্রতিকেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা। পাশাপাশি প্রতিকেজি রুই ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা, পাঙাশ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৪৫০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা ও চিংড়ি কেজিপ্রতি ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশালে এক সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিগুণ হয়েছে সবজির দাম। বেশি বেড়েছে কাঁচামরিচ। তবে সপ্তাহের আগে কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে ১৪০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার বরিশালের পাইকারি সবজির বাজার, বহুমুখী সিটি মার্কেট, বড়বাজার, পোর্ট রোড বাজার, বটতলা বাজার, নতুন বাজার, বাংলাবাজার, চৌমাথা বাজার, সাগরদী বাজারসহ বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণ এবং পূজার ছুটিতে বর্ডার বন্ধ থাকায় সবজি পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। যার ফলে সবজির মূল্যে প্রভাব পড়েছে। তবে পূজার ছুটি শেষে বর্ডার খুললে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে। নগরীর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা করে কেজি বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ৩৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। বরবটি গত সপ্তাহে কেজি ৪০ টাকা হলেও এ সপ্তাহে ৭০ টাকা, করলা গত সপ্তাহে ৪০ টাকা করে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১০০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, পটোল ৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে বেগুন প্রকারভেদে ৮০-৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, লাউ আকারভেদে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি হালি কাঁচকলা ৩৫-৪০ টাকা ও লেবুর হালি ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি খুচরা বাজারে ২৫-৩৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মন্তব্য করুন


Link copied