নিউজ ডেস্ক: বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন জাত বিনাধান-১৭ এর মাঠ দিবস কাউনিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে কাউনিয়া উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে ‘বিনার গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প’-এর অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় বিনা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিনা উপকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, বিনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম তরফদার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আশিকুর রহমান।
কাউনিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোছা: তানিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোতাব্বের রহমান, কৃষক প্রল্লাদ কুমার চন্দ্র প্রমুখ।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জানান, বিনাধান-১৭ স্বল্প সময়ে উৎপাদন সম্পন্ন হওয়ার কারণে পরবর্তীতে ওই জমিতে আলু কিংবা সরিষা করে আবারও ঠিক সময়ে বোরো ধান চাষ করা যায়। তাছাড়া বিনাধান-১৭ চাষে পানি কম লাগে এবং সারও কম লাগে, যার ফলে ধান উৎপাদনে চাষিদের ব্যয় কমে।
এছাড়াও বিনাধান-১১ বন্যা সহনশীল এবং অধিক ফলনশীল। ২৫ দিন পর্যন্ত পানিতে নিমজ্জিত থাকলেও এই ধানের কোনো ক্ষতি হয় না।
তিনি আরও বলেন, বিনাধান-১৭ ও বিনার অন্যান্য জাতের গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৫ টন থেকে সাড়ে ৭ টন পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়াও অন্যান্য জাতের ধানের চেয়ে বিনাধানে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। মাত্র ১১০ থেকে ১১৫ দিনের মধ্যে ধান কাটা যায় এবং পানি ও সার কম লাগার কারণে বিনাধান চাষে ব্যয় কম হয়।
চলতি মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকালীন ধানের প্রায় ১৭ টন বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রায় ৬ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। মাঠ দিবসে অত্র এলাকার কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।