পাবর্তীপুর, প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে ৩১টি ইটভাটার বিরুদ্ধে জাল রিট ও ভুয়া আদেশ দেখিয়ে ভাটা পরিচালনার অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান। দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তর গত সপ্তাহ আগে সেই ৩১ ইটভাটাসহ অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনাকারীদের কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দিয়েছিল।
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবৈধভাবে ইটভাটা কার্যক্রম পরিচালনা করে গত দুইদিনে ৬টি ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৪টি ইটভাটার চিমনি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩টি ইটভাটার মালিককে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
৩ দিনের অভিযানে পার্বতীপুর শহরের মেলার ডাঙ্গা এলাকার মেসার্স শাফী ব্রিকসের মালিক কে ৩ লাখ টাকা, হাবড়া ইউনিয়নের মরনাই এলাকার মেসার্স বারী ব্রিকস মালিককে ৩ লাখ টাকা ও কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং হামিদপুর ইউনিয়নের ঢেড়েরহাট এলাকায় মেসার্স ভাই ভাই ব্রিকসের স্বত্বাধিকারীকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মোমিনপুর ইউনিয়নের হয়বৎপুর এলাকার মেসার্স যমুনা ব্রিকস, সৈয়দপুর দূর্গাপুর গ্রামের যশাই মেসার্স আর টি ব্রিকস, হামিদপুর ইউনিয়নের ঢেড়েরহাট এলাকার মেসার্স এআরবি ব্রিকস ও মেসার্স সততা ব্রিকস নামে ইটভাটার চিমনি ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেই সকল ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভ্রমমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের (সদর দপ্তর) মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল। এ সময় দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুন্নাহার সীমা, পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হুসাইন রাজু এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের রিসার্স অফিসার রুনায়েত আমিন রেজাসহ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, দিনাজপুর র্যাব-১৩, পুলিশ এবং পার্বতীপুর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (এডি) বদরুন্নাহার সীমা দৈনিক দেশ রূপান্তরকে বলেন, গত সপ্তাহ আগে ৩১ ইটভাটাসহ অবৈধভাবে ভাটা পরিচালনাকারীদের কার্যক্রম বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তারপরও তারা ইট ভাটা পরিচালনা করছেন। দিনাজপুরে সেই ৩১টি ইটভাটার বিরুদ্ধে জাল রিট ও ভুয়া আদেশ দেখিয়ে ভাটা পরিচালনার অভিযোগে আদালতে মামলা চলমান আছে, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ, ২০২০ সালে পার্বতীপুর মডেল থানায় দিনাজপুরে ৩১টি ইটভাটার বিরুদ্ধে জাল রিট ও ভুয়া আদেশ দেখিয়ে ভাটা পরিচালনার অভিযোগে একটি মামলা হয়। বর্তমানে মামলাটি আদালতে চলমান রয়েছে।