আর্কাইভ  বুধবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৫ ● ২১ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বুধবার ● ৫ নভেম্বর ২০২৫
তিস্তা ব্যারেজ থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

তিস্তা ব্যারেজ থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

৭ পদক্ষেপেই বদলে ফেলুন ‘ব্যর্থতা’র গল্প

৭ পদক্ষেপেই বদলে ফেলুন ‘ব্যর্থতা’র গল্প

আলু এখন কৃষকের বোঝা

আলু এখন কৃষকের বোঝা

সাক্ষী না আসায় ফের পেছাল আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

সাক্ষী না আসায় ফের পেছাল আবু সাঈদ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ

তিস্তা ব্যারেজ থেকে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫, দুপুর ০৩:০৩

Advertisement

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ থেকে মেঘমুক্ত আকাশে উকিঁ দিচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে দর্শনার্থীর ভিড়ও বাড়ছে এসব এলাকায়। 

বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও সানিয়াজান নদীর তীর থেকে স্পষ্ট দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।

জানা গেছে, শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে উত্তর আকাশে আবারও দেখা মিলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘার। টানা কয়েকদিনের মেঘলা আবহাওয়ার পর গত তিন দিন ধরে মেঘমুক্ত আকাশে দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত তিস্তা ব্যারেজ থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা।

ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দিগন্তজোড়া সাদা রুপালি চূড়া যেন নতুন দিনের সৌন্দর্যে যোগ করেছে অন্য রকম আবেশ। আকাশ পরিষ্কার থাকায় সকাল থেকেই তিস্তা ব্যারেজ ও সানিয়াজান নদী এলাকায় ভিড় করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীরা। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করছেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করছেন।

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে কয়েকদিন ধরে দূর আকাশে দেখা মিলছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভারত বা নেপালে না গিয়ে বিনা পাসপোর্টেই তিস্তা ব্যারেজ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাওয়ায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা।

ভূগোলবিদদের মতে, কাঞ্চনজঙ্ঘা হিমালয়ের পূর্বাংশে নেপাল ও ভারতের সিকিম রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত। এর উচ্চতা ৮ হাজার ৫৮৬ মিটার (২৮ হাজার ১৬৯ ফুট), যা এভারেস্ট ও কে-টু’র পর বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। তিস্তা ব্যারেজ থেকে এই শৃঙ্গের দূরত্ব তুলনামূলক কম হওয়ায় আকাশ পরিষ্কার থাকলে প্রায়ই ধরা দেয় এর অপরূপ সৌন্দর্য।

এক দর্শনার্থী মেহেদী হাসান শুভ বলেন, ১০ কিলোমিটার দূর থেকে এসে সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পেয়েছি, মনে হয় যেন সাদা বরফে মোড়া কোনো স্বপ্নের পাহাড়। এমন দৃশ্য দেখতে পেয়ে আমরা আনন্দিত।

প্রকৃতিপ্রেমী আরএম রিমন বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য শীতের অল্প সময়ের জন্য হলেও, তিস্তাপাড়ের সৌন্দর্যকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমি মনে করছি, এই দৃশ্যকে কেন্দ্র করে তিস্তা ব্যারেজকে দ্রুতই একটি আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ রয়েছে।

মন্তব্য করুন


Link copied