আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ● ২৯ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার

ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার

অভ্যুত্থানের সপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ: ড. ইউনূস

অভ্যুত্থানের সপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ: ড. ইউনূস

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত

শেখ হাসিনা খালাস পাবেন, আশা আইনজীবীর

বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, রাত ০৮:৩৩

Advertisement

নিউজ ডেস্ক:  গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত (স্টেট ডিফেন্স) আইনজীবী আমির হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রত্যাশা, বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তার মূল্যায়ন এবং মামলার সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন আইনজীবী আমির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার প্রত্যাশা আমার ক্লায়েন্টরা (মক্কেল) খালাস পাবে। এটা আমি বিশ্বাস করি।’

আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তার আগেই নিজের দৃঢ় প্রত্যাশার কথা জানালেন আইনজীবী আমির হোসেন।

মক্কেলদের খালাস পাওয়ার প্রত্যাশার কারণ ব্যাখ্যা করে আমির হোসেন বলেন, ‘সাক্ষীদের জবানবন্দি ও জেরার প্রেক্ষাপটে আমি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আনতে সক্ষম হয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে দালিলিক সাক্ষ্যের জায়গায় আমি কন্ট্রোভার্সি ক্রিয়েট করার চেষ্টা করেছি এবং বিভিন্ন সময় কন্ট্রোভার্সি ক্রিয়েট হয়েছে বলে আমি বিশ্বাস করি। সবকিছু মিলিয়ে আমি বিশ্বাস করি আমার ক্লায়েন্টরা খালাস পাবে।’

আমির হোসেন বলেন, এত কষ্ট করে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করায় আমি ট্রাইব্যুনালের সব বিচারকদের ধন্যবাদ জানাই। আমার দেখা মতে বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অস্বচ্ছতা আমি দেখিনি। আমাকে কেউ বাধা দেয়নি। মামলা পরিচালনায় যে সহযোগিতা লাগে যেমন দলিল-দস্তাবেজ, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আইন অনুযায়ী আমাকে দেওয়া হয়েছে। আমার কাজে রাষ্ট্রপক্ষ কোনো বাধা দেয়নি।

রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন আরও বলেন, ‘আমার প্রধান সীমাবদ্ধতা হচ্ছে আসামিদের অনুপস্থিতি। আসামি উপস্থিত থাকলে যেসব ডকুমেন্টারি এভিডেন্স হয়তো আমাকে ওনারা দিতে পারতেন সেগুলো দিয়ে আমি ফাইট করতে পারতাম, সেগুলো তো পারছি না। রাষ্ট্রপক্ষ কোনো ঘটনা যেভাবে বর্ণনা করেছে, তার বাইরে হয়তো অন্য কোনো বর্ণনা বা পেছনের তথ্য থাকতে পারত, যা আসামিরা অনুপস্থিত থাকায় আমি সংগ্রহ করতে পারেননি। আমার পক্ষ থেকে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না এবং আমার চেষ্টায় কেউ বাধা দেয়নি। এই সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমি আমার ক্লায়েন্টদের খালাস পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’

মন্তব্য করুন


Link copied