নিউজ ডেস্ক: ইমরান খানের স্বাস্থ্যের অবনতি ও মৃত্যুর গুজব যখন পাকিস্তানজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের সামনে ঘটেছে আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তিন বোন—নুরিন খান, আলিমা খান ও উজমা খান—অভিযোগ করেছেন, তারা ভাইয়ের খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ তাদের ওপর ‘নৃশংসভাবে হামলা’ চালায়।
ইমরান খান ২০২৩ সাল থেকে আদিয়ালা জেলে আছেন। তার বোনদের দাবি, গত তিন সপ্তাহ ধরে কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। তারা জানান, শান্তিপূর্ণভাবে দাঁড়িয়ে থাকার পর হঠাৎ এলাকার স্ট্রিটলাইট বন্ধ করে অন্ধকার নামিয়ে আনে পুলিশ। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের ও উপস্থিত পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
৭১ বছর বয়সী নুরিন জানান, তাকে চুল ধরে টেনে ফেলে দেওয়া হয় এবং রাস্তায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। উপস্থিত আরও নারী সমর্থকদেরও কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খানের বোনেরা বলেন, পুলিশের এই আচরণ কোনো উসকানি ছাড়াই হয়েছে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনে তিন বছরের ধারাবাহিক বলপ্রয়োগের অংশ। তারা পাঞ্জাব পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ওপর ‘অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা চলছে। তারা বলছে, ইমরান খানকে পুরোপুরি একাকী অবস্থায় রাখা হয়েছে এবং আইনজীবীদের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
খানের আইনজীবী খালিদ ইউসাফ চৌধুরী অভিযোগ করেন, এমনকি বই ও প্রয়োজনীয় জিনিসও তার কাছে পৌঁছাতে দেওয়া হচ্ছে না। তার ভাষায়, ‘এখানে যেন জঙ্গলের আইন চলছে—যার শক্তি আছে, শুধু তারই অধিকার।’
পিটিআই জানিয়েছে, খাইবার-পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিও বারবার চেষ্টা করেও ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।