আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ● ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৮ নভেম্বর ২০২৫
যে কারণে হাসিনার মামলায় লড়বেন না জেড আই খান পান্না

যে কারণে হাসিনার মামলায় লড়বেন না জেড আই খান পান্না

নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

নিবিড় পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

হাসিনাকন্যা পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড

হাসিনাকন্যা পুতুলের ৫ বছরের কারাদণ্ড

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের কারাদণ্ড

লালমনিরহাটে দুলুর নির্বাচনী জনসভা জনসমুদ্রে পরিনত, ধানের শীষে ভোট চাইলেন দুলু ‎

শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, বিকাল ০৭:২১

Advertisement

‎​লালমনিরহাট প্রতিনিধি: ‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি ও লালমনিরহাট-৩ (সদর) আসনের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলে তিনি সকল মানুষের নেতা হবেন, কেউ যেন মন খারাপ করতে না পারে সেজন্য সকলের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান এবং সকলকে সাথে নিয়ে এক সাথে কাজ করবেন। এজন্য নির্বাচনী প্রচারণায় নামার জন্য সকলের দোয়া ও সহযোগিতা চান।

‎বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারনা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি ধানের শীতের প্রথম দিনের নির্বাচনী প্রচারনা সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

‎অধ্যক্ষ আশাদুল হাবিব দুলু বলেন, আপনারা যদি আমাকে অনুমতি, দোয়া ও সহযোগীতা করেন, তাহলে তিনি আগামী ত্রয়োদর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লালমনিরহাট-৩ সদর আসনে বিএনপি'র ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করতে চান। ​তাঁর এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনসভায় উপস্থিত প্রায় লক্ষাধিক মানুষ হাত উঁচিয়ে তাঁকে সহযোগিতা এবং বিপুল ভোটে নির্বাচিত করার আশ্বাস দেন।

‎দুলু বলেন, আজকের এই বিশাল জনসমুদ্র প্রমাণ করে, আপনারা পরিবর্তন চান। আপনারা চান লালমনিরহাটে আবার স্বপ্নের বীজ বোনা হোক। আমি আপনাদের কাছে এসেছি শুধু ভোট চাইতে নয়, আপনাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়ে। আগামী নির্বাচনে আপনাদের উপরই লালমনিরহাটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

‎বেকার যুবকদের উদ্দেশ্য করে দুলু বলেন, বর্তমান সমাজে আপনারাই আগামীদিনের শক্তি, আপনারাই এই জেলার ভবিষ্যৎ। কিন্তু আজ আপনাদের চোখে হতাশা দেখি। ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকার যুবকের দীর্ঘশ্বাস আমাকে কষ্ট দেয়। আমাদের যুব সমাজ বোঝা নয়, তারা সম্পদ। আমরা শুধু সরকারি চাকরির আশায় বসে থাকব না। ছোট ও মাঝারি শিল্প স্থাপন, কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং ঋণ সহায়তার মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে আমাদের সরকারের এক নম্বর এজেন্ডা। লালমনিরহাটের প্রতিটি শিক্ষিত যুবক যেন আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমি করব, ইনশাআল্লাহ।

‎দুলু আরও বলেন, আমাদের সমাজের নীরব ঘাতক মাদক। মাদকের ভয়াবহতা থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। যে প্রজন্ম মাদকাসক্ত, সে প্রজন্ম কখনও উন্নত দেশ গড়তে পারে না। আমরা মাদক ব্যবসায়ী এবং এর পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব। আইনের চোখে কেউ ছাড় পাবে না। পাশাপাশি, মাদকাসক্তদের জন্য নিরাময় ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। লালমনিরহাটকে মাদকের অন্ধকার থেকে মুক্ত করে আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য একটি নিরাপদ ও সুস্থ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করব। ‎আমার রাজনীতির পথচলা আপনাদের নিয়ে।

‎​অনেকে বলেন, একা একজন মানুষ সব পরিবর্তন করতে পারে না। আমি বলি, আমি একা নই। আমার পাশে আছেন আপনারা, লালমনিরহাটের হাজার হাজার মানুষ। উন্নয়ন শুধু আমার বা একটি দলের কাজ নয়। এটি আপনাদের সকলের অংশগ্রহণে সম্ভব।

‎​তিনি তার বক্তব্যে বিগত সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, তিনি নির্বাচিত হলে এবং সরকার গঠন হলে লালমনিরহাটের উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দেওয়া হবে।

‎এছাড়াও তিনি লালমনিরহাটের সার্বিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং ধানের শীষের প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।

‎এর আগে দুপুরের পর থেকেই ​শহীদ আবুল কাশেম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভ্যানে, ট্রাকে, অটোরিক্সায় ও বাসে করে জমায়েত হতে থাকেন। বিকেল হতেই শহীদ আবুল কাশেম বিদ্যালয় মাঠটি পরিণত হয় এক বিশাল জনসমুদ্রে। মাঠে তিল ধারণের মতো কোনো জায়গা না থাকায় বিদ্যালয়ের ছাদে ও লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়কের আশেপাশে এবং এবং বাজার এলাকায় হাজার হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে অধ্যক্ষ দুলুর বক্তব্য শোনেন। এই বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে, নির্বাচনী প্রচারণায় নামার আগে তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন কতখানি।

‎লালমনিরহাট-৩ সদর আসনের ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারনা সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর সহধর্মিনী লায়লা হাবিব, জেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারন সম্পাদক একেএম মমিনুল হক, সায়েদুল ইসলাম পাটোয়ারী সাজু, পৌর বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম সহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নতারা।

মন্তব্য করুন


Link copied