বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার চুক্তি ভঙ্গ করে জামানতের টাকা আটকে রাখায় উপাচার্য (ট্রেজারারের দায়িত্বে) মো. শওকাত আলীকে উকিল নোটিশ দিয়েছেন সাবেক ইজারাদার, সেইফ অ্যান্ড সেভ রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী মুরাদ মাহমুদ।
শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করেছেন মুরাদ মাহমুদ নিজেই।
১৩ আগস্ট প্রদান করা আইনি নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১.০৭.২০২৩ইং তারিখে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনার জন্য সেইফ অ্যান্ড সেভ রেস্টুরেন্টের সত্ত্বাধিকারী মুরাদ মাহমুদের সাথে পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদিত হয়। ক্যাফেটেরিয়া পরিচালনায় লোকসান হওয়ায় ইজারাগ্রহিতা ক্যাফেটেরিয়ার চুক্তি বাতিলের জন্য গত ১৪.০৫.২০২৪ইং তারিখে আবেদন করেন। এছাড়া চুক্তিপত্রের ১নং ধারা মোতাবেক চুক্তি প্রতি বছর নবায়ন করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও ইজারাগ্রহিতা চুক্তি নবায়ন করেননি। ফলে গত ০১.০৮.২০২৪ তারিখের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সেইফ অ্যান্ড সেভ রেস্টুরেন্টের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইজারাদারকে অব্যাহতি না দিয়ে তার সকল প্রকার ক্রোকারিজ মালামাল এবং জামানতের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আটকে রাখেন। ফলে সেইফ অ্যান্ড সেভ রেস্টুরন্টের মালিক মুরাদ মাহমুদ ব্যবসায়িক এবং আর্থিকভাবে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জানা গেছে, গত এক বছর মালামাল আটকে রাখার পর ৮ আগস্ট মালামাল ফেরত দিলেও জামানতের দেড় লক্ষ টাকা এখন পর্যন্ত ফেরত দেননি। ফলে সেইফ অ্যান্ড সেভ রেস্টুরেন্টের মালিক মুরাদ মাহমুদ পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং জামানতের টাকা ফেরত চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠান।
এ বিষয়ে সেভ রেস্টুরেন্টের মালিক মুরাদ মাহমুদ জানান, চুক্তির সকল প্রকার নিয়ম মেনে আমি চুক্তি বাতিলের জন্য আবেদন করি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মের কোনো তোয়াক্কা না করে আমার মালামাল এক বছর আটকে রেখেছে। এছাড়া আমার ফেরতযোগ্য জামানত এখন পর্যন্ত ফেরত দেননি। ফলে আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন-অর রশিদ বলেন, “আইনি নোটিশ আসছে কিনা আমার জানা নাই। উনার সাথে আমাদের সরাসরি কথা হয়েছে। উনার কয়েক মাসের ভাড়া বাকি ছিল, সেটি আমরা জামানতের টাকা থেকে কেটে নিয়েছি। আর বাকি টাকা উনাকে মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।”