আর্কাইভ  সোমবার ● ৩ নভেম্বর ২০২৫ ● ১৯ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ৩ নভেম্বর ২০২৫
রংপুর অঞ্চলের পরিস্থিতিও জটিল, ঘোষণা দিয়েও আলু কেনেনি সরকার

রংপুর অঞ্চলের পরিস্থিতিও জটিল
রংপুর অঞ্চলের পরিস্থিতিও জটিল, ঘোষণা দিয়েও আলু কেনেনি সরকার

শেখ পরিবারের তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য

শেখ পরিবারের তিন মামলায় আরও ১১ জনের সাক্ষ্য

প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

প্রাইজবন্ডের ১২১তম ড্র অনুষ্ঠিত, যেসব নম্বর পেল পুরস্কার

অবশেষে শাপলা কলিতে ‘সম্মতি’ এনসিপির

অবশেষে শাপলা কলিতে ‘সম্মতি’ এনসিপির

দিনাজপুরে ১১ কিলোমিটার রাস্তার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু

রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫, দুপুর ০১:৩৪

Advertisement

শাহ্ আলম শাহী,দিনাজপুর: দিনাজপুর শহরের পুলহাট থেকে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা খানপুর পর্যন্ত  ১১ কিলোমিটার রাস্তার পাশে সড়ক বিভাগের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। এনিয়ে আহাজারি করছে উচ্ছেদকৃত এলাকাবাসী।
আজ রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল থেকে বুলডোজার নিয়ে অভিযান শুরু করেছে সড়ক বিভাগ। তবে,সড়ক বিভাগের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি ঘোষণার পর ৩/৪ দিন আগে থেকেই অনেকে নিজ উদ্যোগে স্থানপনা ভেঙ্গে মালামাল নিজ হেফাজতে নিচ্ছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্সের অভিযোগ, এই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা হলে এক হাজার জমির মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এতে দুই হাজার মানুষের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙা পড়বে এবং প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়বে। 
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দিনাজপুর থেকে খানপুর পর্যন্ত (জেড-৫৮০২) মহাসড়কের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার উদ্দেশ্যে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা উচ্ছেদ অভিযানের পক্ষে মাইকিং করে চলেছেন। এর আগে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ কর্তৃক সার্ভে চলাকালীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, শিল্প ও অগণিত ছোট ছোট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি উচ্ছেদের লক্ষ্যে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সড়ক বিভাগ কোন জরিপের আওতায় (সিএস, এসএ) কোন দাগে, কত পরিমাণ জমি উচ্ছেদ করবে তার কোনো পরিসংখ্যান এলাকাবাসীকে জানানো হয়নি। এ ছাড়া জমি অধিগ্রহণ বিষয়ে ১৯৪২ সালে গেজেট হওয়ায় গত ৮৩ বছরের মধ্যে অধিগ্রহণকৃত জমি সড়ক বিভাগের রেকর্ডভুক্ত ও নথিভুক্ত করার কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এতে দীর্ঘদিন ধরে ওইসব জমি ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের রেজিস্ট্রার কর্তৃক দলিলাদি সম্পন্ন এবং নাম খারিজসহ খাজনাদি পরিশোধ হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এর আগেও ২০০২ সালে সড়ক বিভাগ গেজেটের আওতায় সবাইকে উচ্ছেদের নোটিশ প্রদান করেছিল। ওই নোটিশের বিরুদ্ধে অনেকেই অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন বা মিসকেস করেছিলেন। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষের কাগজপত্র ও প্রমাণাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সড়ক বিভাগকে বর্ণিত গেজেটে জমির পরিমাণ  উল্লেখ করে রেকর্ডভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আদেশ প্রদান করা হয়। রেকর্ডভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ প্রদান করা হয়। দিনাজপুর সড়ক বিভাগ এখন পর্যন্ত জমি রেকর্ডভুক্ত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। 
এ ছাড়া ২০০২ সালে উচ্ছেদ নোটিশের বিরুদ্ধে অনেকেই আদালতে উচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। ২০০২ থেকে ২০০৫ সালে দায়ের করা এসব মামলায় আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, যা এখনও বলবৎ আছে। ওইসব বিষয় যথাযথ প্রতিকার না করে দিনাজপুর সড়ক বিভাগ ফের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন এবং বিভিন্ন স্থাপনায় লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। বিষয়টি আদালত অবমাননার শামিল।
 
এবিষয়ে দিনাজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ওই জমি ১৯৪২ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছে। যেহেতু গেজেট হয়েছে, সেহেতু এসব জমির মালিকানা দাবি থাকবে না। আগামী ২ ও ৩ নভেম্বর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে এবং এটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন


Link copied