আর্কাইভ  রবিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ● ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
রংপুরে ৩ মাসে ১৩ খুন, ধর্ষণ ৩৭

রংপুরে ৩ মাসে ১৩ খুন, ধর্ষণ ৩৭

রাজনীতির ‘হার্টবিট’ এখন এভারকেয়ার

রাজনীতির ‘হার্টবিট’ এখন এভারকেয়ার

সুদানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ

সুদানে শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিচয় প্রকাশ

হাদির ওপর হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন

সায়েরের চাঞ্চল্যকর তথ্য
হাদির ওপর হামলাকারী ভারতে পালিয়ে গেছেন

নির্বাচনে যাচ্ছে জাপা, হতে পারে বিএনপির সঙ্গে জোট!

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, দুপুর ১১:১০

Advertisement

নিউজ ডেস্ক: তফসিল নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া না দিলেও নির্বাচনের পথেই হাটছে জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি। বিএনপির সাথে নির্বাচনী জোট বাঁধার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে দলটির শীর্ষনেতাদের সাথে কথা বলে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, আমরা এককভাবে নির্বাচনের প্রস্ততি নিচ্ছি। শিগগিরই দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করা হবে। জোটগত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, বাস্তবায়ন না হওয়ার পর্যন্ত কোন বিষয়ে বলা কঠিন। জোট হতেও পারে, আবার নাও পারে।

পার্টি সুত্র জানিয়েছে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর বিশেষ বর্ধিত সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিতে পারেন জিএম কাদের। আর নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই জেলায় জেলায় চিঠি পাঠিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ১০ দিনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রেরণ করার জন্য বলা হয়েছে। চিঠিতে জেলা জাতীয় পার্টির বর্ধিত সভার মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রার্থীর নাম প্রেরণ করতে বলা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেছেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন মূখী দল, আমাদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজও চলমান রয়েছে। তবে নির্বাচনে যাওয়া, না যাওয়ার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত নয়, কারণ নির্বাচনের জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার, আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি না। আইনশৃঙ্খলের যে অবস্থা তাতেও নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

অন্তবর্তীকালীন সরকার আইনশৃঙ্খলের উন্নতি করতে পারবেও আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পার্টির বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ডাকা হয়েছে। তাদের মতামতের উপর নির্ভর করছে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি।

মামলা-হামলাসহ নানামূখী চাপের পরেও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে সরব। তিনি বরাবরেই বলে আসছেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, অন্তবর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষ নয়। তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতা ও সদিচ্ছা নেই। পাশাপাশি নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের পক্ষে তিনি।

সার্বিক পরিস্থিতি জাতীয় পার্টির জন্য নির্বাচনের অনুকূলে নয় বলে মনে করে দলটির নেতারা। নির্বাচনের বাইরে থাকলে তাদের দলীয় প্রতীক লাঙ্গল ও নিবন্ধন হাতছাড়া হতে পারে বলে শঙ্কা করছেন। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বেশি শঙ্কা তাদের মধ্যে।

লাঙ্গল প্রতীকের বিষয়টি ইতিমধ্যেই বিষয়টি কোর্ট গড়িয়েছে। ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের রীটের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে কারণ দর্শাতে বলেছে আদালত। কেন ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় পার্টির কাউন্সিলকে বৈধতা দেওয়া হবে না? এবং কেন তাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিকে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে না— তাও ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

যেভাবে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম অংশের সাথে দ্বন্দের সুত্রপাত!

২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে না পারায় ইসির কাছে দু’মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল জাপা। এরপর আবার চিঠি দিয়ে সময় বাড়িয়ে নেয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ মে প্রেসিডিয়ামের সভায় কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ওই ঘোষণার পর চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র ভাড়া করা হয় পার্টির পক্ষ থেকে। হঠাৎ করে সম্মেলন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ হল ভাড়া দিতে অপারগতা জানায়। এ কারণে সস্মেলনের তারিখ স্থগিত করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

তার একদিনের মাথায় ১৭ জুন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার যৌথ বিবৃতি দেন। বিবৃতিতে বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়াই সম্মেলন স্থগিত সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অনভিপ্রেত। এরপর জিএম কাদের অংশকে বাদ রেখে এক তরফা কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন জাতীয় পার্টির যাত্রা শুরু হয়। সেই কাউন্সিল ইস্যুতে রীট দায়ের হয়েছে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের গড়া জাতীয় পার্টি সম্ভবত রাজনৈতিক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি ভাঙ্গন কবলিত। এরশাদের জীবদ্দশায় জাপা, জেপি, বিজেপি ও জাপা (জাফর) নামে চার টুকরো হয়ে যায়। এরশাদের মৃত্যুর পর সহধর্মিণী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আরেকটি জাপার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও রওশন গ্রুপের তেমন কোন সাংগঠনিক কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। মাঝে মধ্যে বিবৃতির মধ্যে সীমাবদ্ধ ওই গ্রুপটির কার্যক্রম।জাপার গ্রুপগুলোর মধ্যে জেপি (মঞ্জু) আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ছিল।বিজেপি এবং জাপা (জাফর) রয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছে।

খবর-বার্তা২৪

মন্তব্য করুন


Link copied