স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে জনগণের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেলকে। তিনি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত হয়ে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই আসনটি মহাজোট হিসাবে নৌকার দলীয় প্রার্থী গোলাম মোস্তফাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। ফলে এই আসনে জাপার প্রার্থীর বিপরীতে দলটির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য কাজী ফারুক কাদের (কেটলি)।
অপর প্রার্থীরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক স¤পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল (কাঁচি), জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি মার্জিয়া সুলতানা(ঈগল পাখি), জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক আবু সাঈদ শামীম (মোড়া) ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক হুকুম আলী খান (ট্রাক), তৃণমূল বিএনপির খলিলুর রহমান (সোনালী আঁশ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বাদশা আলমগীর (হাতঘড়ি)।
জানা যায়, বিভিন্ন সময় জাতীয় পার্টির উক্ত প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকেভোট চাইতে পথসভা সহ হাটবাজারে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। জলঢাকার গোলমুন্ডা ও বালাগ্রাম বাজারে গণসংযোগে গেলে তোপের মুখে পড়েন তিনি। এ ঘটনার এক মিনিট ৩৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেতা-কর্মীদের নিয়ে জনসংযোগ করার সময় স্থানীয় ভোটাররা রানা মোহাম্মদ সোহেলের কাছে জানতে চান, ২০১৮ সালের ভোটের পর তিনি এমপি হয়ে বিগত পাঁচ বছরে এলাকার কি উন্নয়ন করেছেন, কতটা খবর রেখেছেন স্থানীয় জনগণের। আবারো কেন তাকে ভোট দেওয়া হবে। এমন নানা প্রশ্নের জবাবে রানা মোহাম্মদ সোহেলকে বলতে শোনা যায়, আমি দুর্নীতি যেহেতু করি নাই, টেন্ডারবাজি করি নাই, মামলাবাজি করি নাই, পয়সা নেই নাই। একটা ছুটে গেছে, যোগাযোগ রাখি নাই। সেটা এবার কাভার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এ বিষয়ে রানা মোহাম্মদ সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, যেভাবে তারা আশা করেছিল, সেভাবে আমি যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি নাই। এ কারণে তাদের মান অভিমান থেকে তারা আমাকে এসব প্রশ্ন করেছেন। আমি বলেছি আগামীতে তা পূরণ করে দেব।