নিউজ ডেস্ক: একটি কার্যকর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সময় এসেছে বিদ্যমান নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রতিনিধিত্বমূলক কাঠামোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি সময়োপযোগী বিকল্প হতে পারে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে রোববার ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ও জুলাই সনদের আইনিভিত্তি’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
এনডিএফ’র কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন ও জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. রুহুল কুদ্দুস বিপ্লবের যৌথ পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন এনডিএফ’র জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন। সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান, দৈনিক সংগ্রামের সাংবাদিক সাইফুল আবেদিন, দৈনিক নয়াদিগন্তের সাংবাদিক মাসুম খলিলি, এনডিএফের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল সেক্রেটারি ডা. এনএ কামরুল আহসান, এনডিএফ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. সাজেদ আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এনডিএফ সভাপতি ডা. মো. আতিয়ার রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তর এনডিএফ সভাপতি ডা. এসএম খালেদুজ্জামান ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ এনডিএফ সভাপতি ডা. এমজি ফারুক প্রমুখ।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধে বলা হয়, পিআর পদ্ধতিতে সবার জন্য ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি হয়। তাছাড়া প্রতিটি ভোটের কার্যকর ব্যবহারের ফলে জোট ও সমঝোতার মাধ্যমে বিভাজন হ্রাস হয়। এতে রাজনৈতিক সহাবস্থান ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত এবং সংসদে শক্তিশালী বিরোধী দলের অবস্থান থাকে। তাছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি, কালো টাকার প্রভাব কমানো এবং নারী ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।