ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শনিবার গণভবনে বৈঠক করেন রওশন এরশাদ। বৈঠকে রওশনের সঙ্গে ছিলেন তার পুত্র ও রংপুর-৩ আসনের এমপি রাহিগর আল মাহি (সাদ এরশাদ), নিজের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ও মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশিদ। শনিবারের বৈঠকের চার দিনের মাথায় কাজী মামুনের নিয়োগকৃত প্রেসউইং থেকে গতকাল কথিত এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছাড়া হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরদিনই রবিবার সাদ, গোলাম মসীহ ও কাজী মামুনসহ রওশনপন্থিরা সভা করে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেই দলের কাউন্সিল আয়োজনের ঘোষণা দেন। এমনকি রওশনের নেতৃত্বে জাপা নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও ঘোষণা দেন তারা।
জাপার দায়িত্বশীল নেতাদের মতে, রওশনের সঙ্গে থাকা এসব লোকজন গণভবনে বৈঠকের চার দিনের মাথায় এমন প্রেস বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে এমন একটি ধারণা দিতে চেয়েছে যে—এর পেছনে সরকার প্রধানের ইঙ্গিত রয়েছে। এমনকি গণভবনে বৈঠকের পরদিনই নিজেরা সভা করে কাউন্সিলের কথা জানিয়েও তারা এমন একটি বার্তা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। অথচ, প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে কিছু না জানলেও জাপার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে তাকে বিতর্কে জড়ানোর হীন চেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগেও রওশনের সঙ্গে থাকা এসব লোক এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন রওশন। জি এম কাদেরও গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকে। পরদিন রাতে আচমকা রওশনকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন এসব লোক। অবশ্য, ৪৫ মিনিট পর ঘোষণাটি স্থগিতও করা হয়েছিল।