নিউজ ডেস্ক: জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-হংকং, চায়না ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকরা তখনও আয়েশ করে বসেননি। ম্যাচ যে কেবল শুরু। ছোট-খাট দু’একটা আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে বাড়ছিল ম্যাচের বয়স। তখনই আচমকা এক আক্রমণে বাংলাদেশকে লিড এনে হামজা চৌধুরী।
লেস্টার সিটি তারকার গোলে প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লিডে ছিল বাংলাদেশ। তবে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে বদলে যায় দৃশ্যপট। রাকিব হোসেনের ভুলে হংকংকে সমতায় ফেরান এভারটন কামারগো।
ম্যাচঘড়ির ১৩ তম মিনিটে ডি বক্সের বাহির থেকে কোনাকুনি শট নেন লেস্টার সিটি অধিনায়ক। যা হংকংয়ের এক ফুটবলারের মাথা ছুঁয়ে জালে জড়ায়। গোলকিপার ইয়াপ হাং ফাই ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা রুখতে পারেননি বল। জাতীয় দলের জার্সিতে দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যান হামজা। এর আগে ৪ জুন ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দশ মিনিট বেশ চাপে ছিল বাংলাদেশ। রেফারির বাঁশির সঙ্গে সঙ্গে স্বাগতিকদের চেপে ধরে অতিথিরা। মুর্হুমুহু আক্রমণ করে জামালদের থেকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলটি। সম্ভাব্য সব ঝুঁকি সুনিপণ দক্ষতায় সামাল দেন মিতুল মারমা।
৩৫ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় ডান প্রান্ত থেকে আক্রমণে যান রাকিব। যদিও তার সে চেষ্টা আলোর মুখ দেখেনি। বক্সের ভেতর নেওয়া তার শট ক্লিয়ার করেন হংকং, চায়নার এক ডিফেন্ডার। পরের মিনেট মিডফিল্ড থেকে ড্রিবলিং করে বল টেনে নেন সাদ উদ্দিন। তার সে কষ্ট বৃথা যায়।
৩৮ তম মিনিটে এগিয়ে যেত পারত হংকং, চায়না। এভারটর কামারগোর দারুণ এক শট নেন গোলমুখে। তার সে নিশানা ধূলিস্যাৎ করে স্বাগতিকদের বিপদমুক্ত করেন মিতুল। ১৩ নম্বর জার্সিধারী তরুণ গোলরক্ষক এমন বেশ কিছু শট রুখে দলকে রক্ষা করেন।
৪১ মিনিটে ঠিকই বিপদে পড়তে পারতো অতিথিরা। সতীর্থের পাস ধরে নিকোলাস বেনাভিদেস জালে বল জড়ান। তবে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের বহু আগেই বক্সে ঢুকে পড়েন হংকং ফুটবলার। মুহূর্তেই অফসাইটের বাঁশি বাজান রেফারি।
অতিথিদের কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত আসে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে। নিজেদের অর্ধে জটলার মধ্যে বল ক্লিয়ার করার জন্য হেড দেন মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন। উপকারের পরিবর্তে বিপদ বাড়ান তিনি। বলটি পড়ে বারের কয়েকগজ সামনে। গোল পোস্টের সামনে থাকা এভারটন কামারগো স্রেফ পা ছুঁইয়েই বল জালে জড়িয়েছেন।