হাসানুজ্জামান হাসান, লালমনিরহাট: টানা ভারী বৃষ্টিপাত আর উজানের ঢলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ফের বিপৎসীমার কাছাকাছি উঠেছে তিস্তার পানি। এতে লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে চতুর্থ দফা বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। চিন্তিত নদী পাড়ের মানুষ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড হয়েছে ৫২.১২ মিটার, যা বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) থেকে মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচে। ফলে যে কোনো সময় পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারসহ উত্তরের একাধিক নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
তিস্তাপাড়ের চরাঞ্চলে ইতোমধ্যে ভাঙন ও পানিবন্দী মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভাষ্য, নিচু এলাকায় কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জরুরি ত্রাণ সহায়তার দাবি জানানো হয়েছে।
তিস্তা ডালিয়া পয়েন্টের পানির লেভেল পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান, দুপুর থেকে তিস্তার পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, উজানের ঢল ও কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। দ্রুত কমে যাবে তিস্তার পানি। তিস্তার নিম্নাঞ্চল গুলোতে সার্বক্ষনিক খোঁজ নেয়া হচ্ছে।