আর্কাইভ  রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫ ● ২০ আশ্বিন ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ৫ অক্টোবর ২০২৫
তারেক রহমান দেশে ফিরে ঘোষণা করবেন প্রার্থী তালিকা

বিএনপির মনোনয়ন পাচ্ছেন কারা
তারেক রহমান দেশে ফিরে ঘোষণা করবেন প্রার্থী তালিকা

আমেরিকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ! আরাকান বাংলাদেশে যুক্ত হচ্ছে ?

মানচিত্রে বড় পরিবর্তন আসবে?
আমেরিকায় চাঞ্চল্যকর ঘটনা ! আরাকান বাংলাদেশে যুক্ত হচ্ছে ?

স্বর্ণের ভরি দুই লাখ ছুঁইছুঁই

স্বর্ণের ভরি দুই লাখ ছুঁইছুঁই

‘গাজার নৌ-বহর ও শহিদুল আলমের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’

বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা
‘গাজার নৌ-বহর ও শহিদুল আলমের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে’

শীতে স্বাস্থ্যকর খাবার

শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, দুপুর ০১:০১

Advertisement

লাইফস্টাইল ডেস্ক :  শীতকালে শিশু এবং বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় থাকে। এ সময় সর্দিজ্বর, তাছাড়া শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন বেশি হয়ে থাকে। আরও কিছু রোগ যেমন- সাইনোসাইটিস, নিউমোনিয়া ও বাতের ব্যথার তীব্রতাও শীতে বেড়ে যায়। এ সময় শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে বেশি শক্তি ব্যয় হয়। কিছু খাবার আছে যেগুলো এ সময় খাদ্য তালিকায় রাখলে অনেকটাই আরামে থাকা সম্ভব।


টমেটো : এতে আছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন; যা এই শীতে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ইনফেকশনের ঝুঁকি হ্রাস করে।


বাদাম : বাদাম হলো গুড ফ্যাটের উৎকৃষ্ট উৎস। শীতে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বক সুন্দর ও মসৃণ থাকবে।


মাছ ও ডিম : শীতকালে মাছ ও ডিম খাওয়ার পরে যদি কিছু সময় রোদে কাটানো যায় তবে ভিটামিন ডি’র অভাব দূর হবে, ফলে হাড়ের ব্যথাও লাঘব হবে।


আপেল : অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি ফল, এই ফল শীতকালীন স্বাস্থ্য জটিলতা কমিয়ে দেহকে রাখে সুস্থ।

দুধ ও জাফরান : গরম দুধের সঙ্গে জাফরান মিশিয়ে খেলে শীতে যেমন তাপ উৎপাদন হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ঠিক থাকে, পাশাপাশি ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বজায় থাকে।


গোলমরিচ : গোলমরিচে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান পাওয়া যায়; যা শীতকালীন ব্যথা প্রদাহ উপশমকারী ভূমিকা পালন করে। যারা বাতের ব্যথায় আক্রান্ত তারা প্রতিদিনের রান্নায় গোলমরিচ ব্যবহার করুন, দেখবেন কতখানি উপকার পাচ্ছেন।


খেজুর : শীতকালে ভিতর থেকে উষ্ণতা বজায় রাখতে খেজুরের জুড়ি নেই। এটি দ্রুত তাপশক্তি উৎপাদন করে তাপমাত্রা ঠিক রাখে।


ঘি বা মাখন : শিশু ও যারা স্বাভাবিক ওজনে আছেন তারা খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন ঘি বা মাখন। এ খাবারগুলো তাপ উৎপাদন করে ও দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।


মাশরুম : শীতকালীন খাবারে অবশ্যই রাখুন মাশরুম। মাশরুমের বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে ভিটামিন বি, সি, ডি এবং ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, মিনারেল, আরগোথিওনিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাছাড়া কিছুটা ব্যায়াম করলে শরীর চাঙ্গা থাকবে এবং তাপমাত্রা ঠিক থাকবে। তাছাড়া রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। পাশাপাশি পানি পান করতে হবে। প্রয়োজনে ডাবের পানি বা ফলের রস দিয়েও দেহের আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে। তবেই শীতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুস্থ থেকে শীতকাল উপভোগ করা সম্ভব। শীতের সময় আমরা বেশি অলস ও নিদ্রাহীনতা অনুভব করি। ফলে, কাজের সময় শরীরে কষ্ট অনুভব হয়। তাই শীতকালে সময়মতো সঠিক নিদ্রার প্রয়োজন। তবেই সতেজ এবং চাপমুক্ত থাকা যায়।

মন্তব্য করুন


Link copied