ডেস্ক: সরকার বা দলের যেকোনো সংকট মোকাবিলায় সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বছরজুড়ে তার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের সুফল পেয়েছে সরকার, দল ও দেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ। গণভবন থেকে মাঠ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি থেকে দলীয় নেতা— ভিডিও কনফারেন্সে যোগাযোগ করছেন সবার সাথে। দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত মোকাবিলার পাশাপাশি দেশের যেকোনো দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দায়দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজ কাঁধে। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত সরকারের কর্তাব্যক্তি বা দলীয় পদধারী প্রভাবশালী নেতাদের ছাড় দেননি একচুলও। দাঁড় করিয়েছেন বিচারের কাঠগড়ায়।
ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী তৃণমূল গঠনেও ছিলেন আপসহীন। মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিটে তুলে এনেছেন বিতর্কমুক্তদের। দল ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আশা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যোগ্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন নৌকার মনোনয়ন। বিএনপি-জামায়াতসহ আওয়ামী লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম ও গতিবিধি নজরে রেখেছিলেন নিজ দায়িত্বে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও যেকোনো সংকটে একমাত্র আস্থার প্রতীক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বপ্নের বছর ‘মুজিববর্ষ’ পালন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসাথে উদযাপন করেছে বাংলাদেশের সব শ্রেণিপেশার মানুষ। গত ১৬ ডিসেম্বর মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। বিভিন্ন দেশের সামরিক ও বেসামরিক প্রতিনিধিদলও বিজয় উৎসবে যোগ দেন। এর আগে ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিব চিরন্তন’ ও ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ শীর্ষক ১০ দিনব্যাপী ঐতিহাসিক এ আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ধারণকৃত বক্তব্য প্রদর্শন করা হয়। সশরীরে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বছরব্যাপী এসব অনুষ্ঠানে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয়। অথচ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী আগুনসন্ত্রাস, ভাঙচুর, অবরোধ, মারপিট করেছে সরকারবিরোধীরা। তবে সরকারপ্রধানের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের কারণে সুষ্ঠুু ও সফলভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে সরকার।
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছেন শক্ত হাতে
হঠাৎ করে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র্যাবের বর্তমান ও সাবেক সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা ও গুমের অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন অর্থ দপ্তরের ‘ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল অফিস’। মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের কারণে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না বলে ওই নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে কাতারভিত্তিক টেলিভিশন আল-জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দেশের গণমাধ্যম, সোস্যাল মিডিয়া ও সচেতন মহলে মাঝে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে আল-জাজিরার ওই প্রতিবেদন সাহসীকতার সাথে প্রত্যাখান করে সরকার। এ সময় সরকারের পক্ষে থেকে দাবি করা হয়, প্রতিবেদনটি রাষ্ট্রবিরোধী, সরকারবিরোধী, দেশের উন্নয়নবিরোধী ও আ.লীগবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। প্রতিবেদন সম্পূর্ণ বানোয়াট, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক উদ্দেশপ্রণোদিত, রাজনৈতিক মদতপুষ্ট অপপ্রচার ও মিথ্যাচার। চলতি বছরের দুটি ষড়যন্ত্রকে শক্তভাবে মোকাবিলা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বহির্বিশ্বের সাথের তার কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো হওয়ায় দেশে কোনো প্রভাব পড়েনি।
করোনায় কর্মঘণ্টা ভুলে সব কিছুতেই সার্বক্ষণিক মনিটরিং
চলতি বছরে দেশে শুরু হয় বৈশ্বিক মহামারি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং মানুষের জীবন ও জীবিকা সচল রাখতে কর্মঘণ্টা ভুলে সব কিছুতেই সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেছে সরকারপ্রধান। গণভবন থেকে মাঠ প্রশাসন, জনপ্রতিনিনিধি থেকে দলীয় নেতাকর্মী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সবার যোগাযোগ করছেন। দিয়েছেন প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা। করোনার গণটিকা প্রয়োগের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে, চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম, মানবিক সেবাসহ সব কিছুই সামাল দিয়েছেন শক্ত হাতে। সরকারপ্রধানের বাস্তবমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে মেগা প্রকল্পগুলোর নির্মাণকাজ। দৃশ্যমান হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল।
দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের দায়দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন নিজ কাঁধে
দেশের অভ্যন্তরে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে সবার আগে খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করতে সব দায়দায়িত্ব তুলে নেন নিজের কাঁধে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। ঢাকা থেকে প্রায় ৮০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হন। এখনো ৫১ যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রীয় সফরে মালদ্বীপ থেকেও এ ঘটনার সার্বিক খোঁজখবর রেখেছেন সরকারপ্রধান। ঘটনার দিনই আহতদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত এবং নিহতদের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তরের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রেখেছেন। এ ছাড়া যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনায় সামাল দিয়েছেন সমান তালে।
ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী তৃণমূল গঠনে ছিলেন আপসহীন
ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী তৃণমূল গঠনে আপসহীন ছিলেন আ.লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা-উপজেলার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসন, বলয়ভিত্তিক রাজনীতি ও নেতায় নেতায় বিভেদের রাজনীতি ভেঙে দিয়েছেন। তৃণমূলে মেয়াদোত্তীর্ণ ইউনিটের সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে বাদ দিয়েছেন বিতর্কিত ও হাইব্রিড নেতাদের। দলের দায়িত্বশীল পদ-পদবিতে দায়িত্ব দিয়েছেন মাঠপর্যায়ের পরীক্ষিত নেতাদের। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা-উপজেলায় সাংগঠনিক সফর, প্রতিনিধি সভা, কর্মিসভা করেছেন একঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা নেত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং তৃণমূলে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে মাঝে মধ্যে তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রে এনে বৈঠক করেছেন। ফলে বছরটি সাংগঠনিক সাফল্যের বছর হিসেবে দেখছেন আ.লীগের দায়িত্বশীল সিনিয়র নেতারা।
সরকার ও দলের বিতর্কিতরা ছাড় পায়নি কেউ
সরকারের দায়িত্বশীল কর্তা ব্যক্তি বা দলের পদধারী বিতর্কিতদের কাউকে ছাড় দেননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি চিত্রনায়িকা সাথের অশ্লীল ভাষায় অসৌজন্যমূলক কথা বলার অভিযোগের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে নির্দেশনা দেন তিনি। সরকার প্রধানের নির্দেশনার পর পদত্যাগ করেন মুরাদ হাসান। আ.লীগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করায় অভিযোগে মহানগর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় উপস্থিত নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। আ.লীগের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহনেওয়াজ শাহানশাহকে। গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চড় মারার ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। অসাংগঠনিক কার্যকলাপে লিপ্ত থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে দলীয় সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় মেয়র পদ হারাতে হয়েছে রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে। চলতি মাসে তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। শুধু মেয়র পদ নয়, বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ নামে একটি সংগঠন করতে গিয়ে আ.লীগের মহিলা-বিষয়ক উপকমিটি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। হেলেনা থেকে মেয়র জাহাঙ্গীর— যারাই সীমা লঙ্ঘন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে আ.লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মূলত দেশের মাটি আর কেউ যেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করতে না পারে। সে জন্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি।
পৌর-ইউপি নির্বাচনে মূল্যায়ন করেছেন ত্যাগীদের
বছরজুড়েই ছিল স্থানীয় সরকারের পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ডামাডোল। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে ক্ষমতাসীন আ.লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। চলমান এ নির্বাচনে দলের যোগ্য ও ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেছেন আ.লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণের সংখ্যা মাথায় নিয়ে নিয়মিত বসেছেন দলের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডসভায়। বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সাংগঠনিক রিপোর্ট, তৃণমূলের রেজ্যুলেশন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য-উপাত্ত ও প্রার্থীদের জীবন বৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই এবং চুলচেরা বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে দলের নিবেদিত, ত্যাগী, পরিশ্রমী, দুর্দিনের মাঠপর্যায়ের কর্মী ও পরীক্ষিত নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছেন নৌকার মনোনয়ন। দলীয় প্রার্থী নির্ধারণে বঙ্গবন্ধুকন্যার সঠিক সিদ্ধান্তের কারণে ভোটের মাঠে নৌকার জয়জয়কার। যদিও বিএনপিবিহীন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহীদের নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়তে হয়েছে আ.লীগকে। তবে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে যারা বিদ্রোহী হয়েছেন এবং যে সব এমপি-মন্ত্রী ও প্রভাবশালী নেতা বিদ্রোহীদের মদত দিয়েছেন তাদের তালিকাও তৈরি করেছেন আ.লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে মদতদাতাদের আর মনোনয়ন দেবেন না তিনি।
রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততায় নজর ছিল সরকারবিরোধী রাজনীতিতে
দল ও সরকারে সর্বোচ্চ শ্রম দেয়ার পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতসহ আ.লীগ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম ও গতিবিধি নজরে রেখেছিলেন দলটির সভানেত্রীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও মুক্তি আন্দোলনের নামে দলটি নেতাকর্মীরা আগ্নি সংযোগ, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও সরকারবিরোধী কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সর্বচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। খবর-আমাদের সংবাদ