আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫ ● ৪ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ আগস্ট ২০২৫
উত্তরের ১৬ জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন

সরকারি খাতায় সফল, আদতে ‘মাকাল ফল’

রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, দুপুর ১০:১২

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: ভিক্ষুক পুনর্বাসনের নামে উত্তরের ১৬ জেলায় ঢালা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। প্রকল্প ‘সফল’ বলে কর্মকর্তারা মুখে তুলছেন ফেনা। সরকারি প্রতিবেদনেও ‘হাজার হাজার ভিক্ষুক পুনর্বাসিত’ উল্লেখ করে কুড়াচ্ছেন বাহবা। বাস্তবতা এই, রাস্তায় রাস্তায় থালা হাতে দাঁড়িয়ে থাকছেন আগের ভিক্ষুকরাই! তাহলে বরাদ্দের টাকা গেল কই? যদি ভিক্ষুকরা পুনর্বাসিতই হবেন, তাহলে কেন ফিরলেন আগের পেশায়– এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে বরাদ্দের টাকা ইচ্ছামতো নয়ছয় ও অব্যবস্থাপনার কারণে পুরো প্রকল্প ব্যর্থ– অনুসন্ধানে সে প্রমাণ পেয়েছে সমকাল। 

ভিক্ষাবৃত্তি থেকে দরিদ্র মানুষকে দূরে রাখতে সরকারি এ প্রকল্প দেশজুড়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’ নাম দিয়ে কর্মসূচিটি চালাচ্ছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

২০১০ সালের আগস্টে কর্মসূচি শুরু হলেও সেই সময় পুনর্বাসন কার্যক্রম তেমন গতি পায়নি। পরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে একযোগে উত্তরের ১৬টিসহ দেশের ৫৮ জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে পরের ১৪ বছরে এই প্রকল্প ৮৭ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। এর মধ্যে ৫৪ কোটি ১০ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে কাগজে-কলমে পুনর্বাসনের সুবিধা পেয়েছেন ১৭ হাজার ৭১০ জন। বরাদ্দের প্রায় ২৮ কোটি টাকা ছিল উত্তরের ১৬ জেলায়। তবে এখানকার বেশ কয়েকটি জেলা ঘুরে ভিক্ষাবৃত্তি কমার বদলে উল্টো নতুন ভিক্ষুকের আবির্ভাব ঘটেছে। প্রকল্পের সুবিধা নিয়েও অধিকাংশ ভিক্ষুক ভিন্ন কর্মক্ষেত্রে স্থায়ী হননি।

সরকারি নথি বলছে, বরাদ্দের বড় অংশ খরচ হয়েছে জরিপ, প্রশিক্ষণ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে। জরিপে গেছে ১০ শতাংশ, প্রশিক্ষণে ২৫ শতাংশ আর অবকাঠামো নির্মাণে ৩০ শতাংশ। তবে এ প্রতিষ্ঠানের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, প্রশিক্ষণের নামে এ প্রকল্পে শুধু কাগজে-কলমে কর্মসূচি চলে। বাস্তবে কাজ না জানার কারণে পুনর্বাসিত ভিক্ষুকরা ফিরে যান পুরোনো পেশায়।

এ ব্যাপারে সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র) বগুড়া জেলা শাখার সম্পাদক কেজিএম ফারুক বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ থাকলেও এর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় নজরদারি না থাকায় ফলপ্রসূ হচ্ছে না কর্মসূচি। ভিক্ষুকরা পুরোনো পেশায় ফিরে যাওয়ার মাধ্যমেই প্রমাণ হচ্ছে অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চলছে প্রকল্প। পথঘাটে প্রতিদিন বাড়ছে ভিক্ষুক। ফলে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের উদ্যোগ প্রশ্নবিদ্ধ, বলাই যায়।

পুনর্বাসনের নামে অনিয়ম
ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরের বিভিন্ন জেলায় হয়েছে নানা রকম অনিয়ম-দুর্নীতি। কুড়িগ্রামের উলিপুরে প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউল ইসলাম মুকুলের বিরুদ্ধে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই কর্মকর্তা বরাদ্দের টাকা ভিক্ষুকের মধ্যে যথাযথভাবে বিতরণ করেননি। ওই এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম আবুল হোসেন বলেন, ‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নামে যে প্রকল্প আছে, সেটিই আমি জানি না। কোনো ভিক্ষুক সরকারি টাকা পেয়েছেন– এমন তথ্য আমার জানা নেই।’ জেলা সমাজসেবার উপপরিচালক হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমরা সতর্ক আছি, সহায়তা যাতে বিফলে না যায়। তবে বিষয়টি বাস্তবায়ন করা খুব কঠিন।’

গাইবান্ধার ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ। স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয় উপকারভোগীর তালিকা দিতে না পারলেও অনেকে উপকার পেয়েছেন বলে দাবি করে। উপপরিচালক ফজলুল হক বলেন, ‘এসব তালিকা চাইলেই দেওয়া যায় না। অনেক তথ্য ভেবেচিন্তে দিতে হয়। কারা সহায়তা নিয়েছেন, সেটি আমাদের খুঁজে দেখতে হবে।’

এদিকে রংপুরে ছয় বছর আগের জরিপের তথ্য অনুসারে, আট উপজেলা ও সিটি করপোরেশনে ১১ হাজার ২৭৬ ভিক্ষুক ছিলেন। এর মধ্যে পীরগঞ্জেই ২ হাজার ৭৩ জন। ২০২০ সালে ১০০ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়। ১ হাজার টাকা করে অনুদান পান তারা। এ ছাড়া সমাজসেবা কার্যালয় থেকে ৫০ জনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা দেওয়া হয়। সাহায্য পাওয়া ওই ব্যক্তিরা প্রায় সবাই এখন ভিক্ষাবৃত্তিতে রয়েছেন।

বগুড়াকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে শারীরিকভাবে কাজ করতে পারেন– এমন ব্যক্তিদের হাতে রিকশা-ভ্যান দিয়েছিল সমাজসেবা বিভাগ। অনেককে দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ। সমাজসেবা অধিদপ্তরের দাবি, ইতোমধ্যে ৭ হাজার ২৯১ ভিক্ষুকের তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ শতাধিক ভিক্ষুককে  পুনর্বাসন করা হয়েছে। তবে তাদের মুখের তালিকার সঙ্গে মেলেনি নিজস্ব বুলেটিনের তথ্য। সেখানে ৯৩ ভিক্ষুককে পুনর্বাসনের কথা উল্লেখ রয়েছে। জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, অনেক  নারী ও পুরুষ ভিক্ষুককে ক্ষুদ্র ব্যবসা, গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি ও সেলাই মেশিন দেওয়া হয়েছে। এটি চলমান।

তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দোকান পাওয়া সদরের শেরেবাংলা নগরের নাজমা বেগম, মালগ্রাম দক্ষিণপাড়ার ফজর আলী, পূর্ব গোদারপাড়ার মমিন হোসেন, আকাশতারার হারুনুর রশিদ, জয়পুরপাড়ার আরিফুল ইসলাম, নামুজার বাবুল মোল্লা, গাবতলীর লাংলুহাটের জাহিদুল ইসলাম, জয়ভোগা গ্রামের আছমা, শাজাহানপুরের রানীরহাটের ঈমান আলী, কামারপাড়ার আব্দুল জলিলের মধ্যে শুধু ঈমান আলী ছাড়া আর কেউ ভিক্ষুক নন। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু সাইদ কাওছার রহমান এ ব্যাপারে কোনো সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

কেমন আছেন তারা
বগুড়ার সাতমাথা মোড়ে দাঁড়িয়ে আছেন ৬০ পেরোনো রহিমা বেগম। বাড়ি নিশ্চিন্তপুর হলেও জীবন চলার পথ আঁকাবাঁকা, অনিশ্চিত। রাস্তার যানজটে গাড়ি থামতেই এগিয়ে এলেন। ‘কিছু দেন’ বলে কাঁপা কাঁপা হাতটি বাড়িয়ে দিলেন। পুনর্বাসনের দোকান তো দূরের কথা, কখনও সহযোগিতা জোটেনি– জানিয়ে বললেন, ‘বাড়ির পাশের বেবি বেগম নামে একজন গত জুনে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে দোকান পেয়েছে। তবে বেবি ভিক্ষুক নন, দিনমজুরি করেন। এখন সেই দোকানটি বন্ধ। শুনেছি, দোকানটি বিক্রি করা হবে।’ 

বগুড়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সরবরাহ করা ভিক্ষুক পুনর্বাসন তালিকার ১৩ জনের মধ্যে ৩ নম্বরে আছেন বেবি বেগম। শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার ঠিকানায় গিয়ে তাঁর দোকান চোখে পড়েনি। এলাকাবাসী জানান, বেবি ভিক্ষুক নন। তাঁর ছেলে রনি সমাজসেবা কার্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি করেন। সেই সূত্রে মাকে ভিক্ষুক বানিয়ে দোকান বরাদ্দ নিয়েছিলেন গত জুনে। এখন কাগজে-কলমে নাম থাকলেও দোকানের হদিস নেই। তবে এ ব্যাপারে জানতে রনির মোবাইল ফোন নম্বরে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি। তালিকার ১ নম্বরে থাকা ফুলবাড়ী উত্তরপাড়ার নুর হোসেনও ভিক্ষুক নন। তার পরও সমাজসেবা কার্যালয়ের ‘মাগনা’ দোকান তিনি পেয়েছেন। 

বগুড়ার আটাপাড়া এলাকার জুলফিকার বলেন, ‘হামাক একটা দোকান দিছলো। পরে কাগজে-কলমে সই করে লিয়ে কলো, আপনেরা সগলি লাখপতি হচেন। সেই ট্যাকা কুটি গ্যালো, কে জানে! হামাক যে দোকান দিচে, তাও বসলে লড়ভড় করে। ট্যাকার অভাবে এই দোকানডাও হামি চলাবার পারি না।’

শাজাহানপুরের রানীরহাটের ঈমান আলী। পেশাদার এই ভিক্ষুক সরকারি পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় দোকান পেয়েছিলেন। কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, তাঁকে মালপত্রসহ দোকান ও ব্যবসার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে দোকানদারিতে তাঁর মন টেকেনি এক মাসও। দোকানের মালপত্র বিক্রি করে তিন মাস আগে ফের ভিক্ষাবৃত্তিতে নামেন। ঈমান আলী বলেন, ‘বরাদ্দ পাওয়া মালপত্র নষ্ট ছিল। ৫ হাজার টাকার জিনিসপত্র দিয়ে ২৫ হাজার বলা হয়েছে। আমি সেগুলো বিক্রি করতে পারিনি। নিয়মিত দোকান চালাতে গেলে যে মূলধন দরকার, তা আমার নেই। লোকজন কেনাকাটা করতে আসত না। তাই ভিক্ষার থালা নিয়ে আবার রাস্তায় ফিরেছি।’

সমাজসেবা অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ভিক্ষুক আয়নাল হকের বাড়ি গাইবান্ধার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে। তিনি মারা যান বছরখানেক আগে। তাঁর স্ত্রী ফুলমতী বেগম জানান, তারা দোকানঘর পাননি। ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার মালপত্র ও ২ হাজার ৫০০ টাকা পেয়েছিলেন। সদর উপজেলার গিদারি ইউনিয়নের ভিক্ষুক সিরাজুল ইসলাম বেশ অসুস্থ। তাঁর ছেলে আনিছুর রহমান বলেন, ‘সমাজসেবা অফিস থেকে দোকানঘর করে দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। কর্মকর্তারা বলেছিলেন, সবসহ ৬০ হাজার টাকার মতো মাল দেবেন। বাস্তবে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকার মাল কিনে দিয়েছেন। এর পর আর কেউ খোঁজখবর নেয়নি।’

১৪ বছরে যত খরচ
২০১০-১১ অর্থবছরের শুরুতে ৩ কোটি ১৬ লাখের মধ্যে ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয় জরিপ পরিচালনা ও আনুষঙ্গিক খাতের জন্য। এর পর ২০১১-১২ অর্থবছরের বরাদ্দ বেড়ে মেলে ৬ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায় ময়মনসিংহে ৩৭ ও জামালপুরে ২৯ জনকে পুনর্বাসন করা হয়। ২০১২-১৩ অর্থবছরে বরাদ্দ মেলে ১০ কোটি টাকা। এ টাকার একটি অংশ আনুষঙ্গিক খাতে খরচ দেখানো হয়। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বরাদ্দের ১ কোটি টাকা কোনো জেলায় দেওয়া হয়নি। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বরাদ্দের ৫০ লাখ টাকার মধ্যে খরচ করা হয় ৭ লাখ ৯ হাজার টাকা। এই ব্যয়টি ছিল রাস্তায় বসবাসকারী শীতার্ত মানুষকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া ও আনুষঙ্গিক খাতের জন্য। 

২০১৫-১৬ অর্থবছরের বরাদ্দ ৫০ লাখের মধ্যে খরচ হয় ৪৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। উপকারভোগী হিসেবে দেখানো হয় ২৫১ জনকে। বিভিন্ন জেলা প্রশাসক ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালকের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বরাদ্দের ৫০ লাখ টাকার বিপরীতে খরচ হয় ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। উপকারভোগী ছিল ৪১০ জন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ জেলায়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বরাদ্দের ৩ কোটি টাকার সবই খরচ দেখানো হয়। বিভিন্ন জেলায় উপকারভোগী ছিল ২ হাজার ৭১০ জন। বরাদ্দ টাকার মধ্যে ৩৬ জেলায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা করে; ১৬ জেলায় ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা করে এবং ৬ জেলায় ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা করে অর্থ পাঠানো হয়। 

২০১৮-১৯ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৩ কোটি টাকা। পুরো টাকা খরচের বিপরীতে উপকারভোগী ছিল ২ হাজার ৭১০ জন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আরেক দফা ৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে ৩৮ জেলায় আরও ২ হাজার ৭১০ জনকে পুনর্বাসন ও অন্যান্য খাতে খরচ করা হয়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ কোটি ৭ লাখ টাকায় ৪১ জেলায় ২ হাজার ৭১০ জন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ কোটি টাকায় বিভিন্ন জেলায় ২ হাজার ৮৫০ জন। ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দের পুরোটাই ৩৭ জেলায় ৩ হাজার জনের পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২ কোটি টাকায় ৬৩ জেলায় ৩ হাজার তিনজনকে এবং ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১২ কোটি টাকায় ৩ হাজার জনকে পুনর্বাসন করা হয়।

যা বলছেন উপদেষ্টা
এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ এবং নারী ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ভিক্ষুক পুনর্বাসনের জন্য প্রতিটি জেলায় কর্মসূচি আছে। এই কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের আমলে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করছি। যারা অনিয়মে জড়িত, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, শুধু ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি নয়, পুরো সামাজিক সুরক্ষা খাত দুর্নীতিতে ডুবে ছিল। যেখানেই হাত দিচ্ছি, সেখানেই অতীতে লুটপাটের ক্ষত দেখা যাচ্ছে। দুর্নীতির কালো থাবা থেকে আমরা সামাজিক সুরক্ষা খাতকে মুক্ত করার চেষ্টা করছি। এই কর্মসূচিকে প্রকৃত দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাতে আমরা অনিয়ম-দুর্নীতি দূর করা, তালিকা প্রণয়ন, প্রযুক্তি উন্নয়নসহ নানা কাজ করছি। খবর- সমকাল

মন্তব্য করুন


Link copied