আর্কাইভ  সোমবার ● ১০ নভেম্বর ২০২৫ ● ২৬ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   সোমবার ● ১০ নভেম্বর ২০২৫
সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা, জানেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরাই

ব্রাকসু নির্বাচন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা, জানেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরাই

রংপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য ডন সমর্থক নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

রংপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের জন্য ডন সমর্থক নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ

‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার

‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের নারী সদস্য গ্রেপ্তার

১৮ তে ১৮ : পরাজয় নেই খালেদা জিয়ার

১৮ তে ১৮ : পরাজয় নেই খালেদা জিয়ার

ব্রাকসু নির্বাচন

সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভা, জানেন না সাধারণ শিক্ষার্থীরাই

সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, রাত ১২:০০

Advertisement

বেরোবি প্রতিনিধি: রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) আবারও আটকে গেল রাজনীতির বেড়াজালে। বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও প্রশাসন বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একান্ত বৈঠকসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক ক্রিয়াশীল সংগঠন থাকা সত্ত্বেও কোনো সভা-সমাবেশে তাদের ডাকা হয় না। এমনকি সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হলেও সেখানে প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেখা মেলে না।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট রুমে ব্রাকসু নির্বাচন নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, শিবির, বামধারা ও কয়েকজন সমন্বয়ক। উপস্থিত ছিলেন সদ্য পদত্যাগ করা প্রধান নির্বাচন কমিশনারও।

সভায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরু হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নির্বাচন কমিশনার হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে সভা ত্যাগ করেন।

তিনি বলেন, আগামী ৫-৭ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট করে নতুন কমিশন দিন, নতুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও অস্থিরতা তৈরি হবে। পরে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলীও সভা ত্যাগ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, এখানে শুধু রাজনৈতিক সংগঠনের নেতারা সভায় থাকেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে সভা হয়, কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরাই জানে না। এখন রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে গেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ, সেখানে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া অগ্রহণযোগ্য।

সভায় কোনো সাংবাদিক বা সাংবাদিক সংগঠনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্যাম্পাসের সাংবাদিক নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা ড. ইলিয়াছ প্রামানিক বলেন, যদি কোনো অছাত্র এসে থাকে, আমরা তাদের বের করে দিতে পারতাম। ক্রিয়াশীল সংগঠনগুলোকেও অবশ্যই এসব সভায় মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে বিষয়টি খেয়াল রাখা হবে।

কেন রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হলো—এমন প্রশ্নে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদেরই ডেকেছি, কোনো রাজনৈতিক দলকে নয়। 

এদিকে প্রতিবেদক নিজেই বলেন আমি জানি না যে সভা ছিল সেখানে সাধারণ শিক্ষার্থী কিভাবে জানবে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, এইটা তো ছাত্র উপদেষ্টা জানে। তাকেই জিজ্ঞেস করো।

মন্তব্য করুন


Link copied