আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

♦ যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রেও
♦ নির্বাচনে আগ্রহীরা ঘুরছেন এলাকায়
রাজনীতিতে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ

মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

সাবেক তিন গভর্নর ও ছয় ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, রাত ১২:৪৪

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সাবেক তিনজন গভর্নর ও ছয়জন প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করেছে।

আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগের অংশ হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুরোধের ভিত্তিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সাবেক এই তিন গভর্নর হলেন—ড. আতিউর রহমান, ফজলে কবির ও আব্দুর রউফ তালুকদার। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনকালে দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, তাদের সময় দেশের ব্যাংকিং খাতকে পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করা হয়েছিল।

ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে সাবেক ছয়জন ডেপুটি গভর্নরেরও। তারা হলেন—সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, মাসুদ বিশ্বাস, এস এম মনিরুজ্জামান, আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান, কাজী ছাইদুর রহমান ও আবু ফরাহ মোহাম্মদ নাসের।

সাবেক গভর্নরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

ড. আতিকুর রহমানের সময় নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান দুর্বল ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে হল মার্ক ও ব্যাসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি সম্ভব হয়। ২০১৬ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দিতে তিনি ‘মাস্টারমাইন্ড’ ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত তার পদত্যাগের কারণ হয়।

ফজলে কবিরের সময় ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের বিতর্কিত অধিগ্রহণ অনুমোদনের অভিযোগ রয়েছে, যা ব্যাংকে ব্যাপক লুটপাটের পথ সুগম করেছে। তিনি ঋণ নীতিতে শিথিলতা আনেন, সুদের হার কৃত্রিমভাবে ৯ শতাংশ রাখেন এবং ঋণ খেলাপীদের সীমিত পরিশোধে ছাড় দেন।

আবদুর রউফ তালুকদার দুই বছর গভর্নর ছিলেন। তার সময়ও বিতর্কিত সিদ্ধান্তের অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি পদত্যাগ করে আত্মগোপনে চলে যান। অভিযোগে বলা হয়েছে, তার সময়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাতের মাধ্যমে ঋণ বিতরণে জালিয়াতি হয়েছে।

তিন সাবেক গভর্নরের মধ্যে ড. আতিকুর রহমান দেশ ছেড়ে গেছেন বলে ধারণা করা হয়, যদিও তার পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে। ফজলে কবির দেশের মধ্যে রয়েছেন, কিন্তু প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। আবদুর রউফ তালুকদার ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে রয়েছেন, তবে দেশে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তদন্তের আওতায় ডেপুটি গভর্নররাও

সাবেক ডেপুটি গভর্নরের মধ্যে সীতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ও মাসুদ বিশ্বাস বর্তমানে আইন বর্হিভূত আয়ের মামলায় কারাগারে আছেন। বাকিরা হলেন—এস এম মনিরুজ্জামান, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ব্যাংক পরিদর্শন বন্ধ রাখা। রাজী হাসান, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়া। কাজী সাইদুর রহমান, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। আবু ফারাহ মোহাম্মদ নাসের, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঋণ নীতি শিথিল করে ব্যাংকিং খাতকে দুর্বল করা।

মন্তব্য করুন


Link copied