আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ● ৩০ কার্তিক ১৪৩২
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৪ নভেম্বর ২০২৫
হাসিনার উল্টো সুর, এখন বলছেন—‘উৎখাতের পেছনে আমেরিকার হাত নেই’

হাসিনার উল্টো সুর, এখন বলছেন—‘উৎখাতের পেছনে আমেরিকার হাত নেই’

ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার

ভারতকে খুশি করতে বারবার অস্ত্র উদ্ধার নাটক হাসিনার

অভ্যুত্থানের সপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ: ড. ইউনূস

অভ্যুত্থানের সপক্ষের দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে মহাবিপদ: ড. ইউনূস

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিলেছে

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দুর করবেন যেভাবে

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, দুপুর ০২:২৪

Advertisement

ডেস্ক: মানুষের শারীরিক মুত্যু একবার হলেও মানসিক মৃত্যু কিন্তু হয় বারবার। জীবনের বাস্তবতা ও আশপাশের পরিবেশই মূলত এর জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞরা মানুষের এই মানসিক মৃত্যুর জন্য দায়ী করছে বিষণ্নতা আর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাকে।

বিষণ্নতা আর অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মানুষের মানসিক মৃত্যু যেমন ঘটায়, তেমনি শারীরিক মৃত্যুকেও দ্রুত স্বাগত জানায়। কেননা বিষণ্নতা আর দুশ্চিন্তা থেকে আপনি শারীরিক আরও অনেক রোগের সম্মুখীন হতে শুরু করবেন। তাই মনোচিকিৎসকরা বলছেন, যদিও মানুষের বিষণ্নতা আর দুশ্চিন্তাকে বলে-কয়ে বিদায় জানানো যায় না, তবে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে দৈনন্দিন জীবনে অবশ্যই কিছু অভ্যাসের পরিবর্তন করা যেতে পারে। এগুলো হলো–

বেশি চিন্তা করা বন্ধ করা: অনেকেই আছেন যারা যেকোনো বিষয় নিয়ে অনেক বিস্তারিত ভাবতে শুরু করেন। এই গুণটি আপনার খারাপ তা বলব না, তবে অতিরিক্ত যারা বেশি ভাবেন, তারা জীবনকে তেমনভাবে উপভোগ করতে পারেন না।

পজিটিভ চিন্তাভাবনা: আপনার মধ্যে যেকোনো বিষয় সম্পর্কে পজিটিভ চিন্তাভাবনা  আনতে হবে। যা হচ্ছে সব ভালোই হবে–এমন পজিটিভ চিন্তা আপনার দুশ্চিন্তা অনেকটা কমিয়ে দেবে।

সমস্যার সমাধান খোঁজা: কোনো সমস্যায় পড়লে তা নিয়ে হা-হুতাশ না করে সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করুন। সমস্যার সমাধান খুঁজে সে অনুযায়ী কাজ শুরু করলে দুশ্চিন্তা আপনার অনেকটাই কমে আসবে।

কথা বলা: দুশ্চিন্তা কমাতে বেশি করে কথা বলুন। এতে আপনি দুশ্চিন্তার মধ্যে বন্দি না থেকে বরং হাঁপ ছেড়ে বাঁচবেন।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা: যদিও বাঙালি অনেক আবেগপ্রবণ জাতি। তবে আপনি যদি বেশি আবেগপ্রবণ হন, তবে আপনার ভালোর চেয়ে খারাপের পাল্লাটিই বেশি ভারী হবে। তাই যতটা সম্ভব নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন। এটা অবশ্য এক দিনে পেরে ওঠা সম্ভব নয়, তাই ধীরে ধীরে অভ্যাসটি আপনার মধ্যে গড়ে তুলুন।

নিজের জন্য সময় রাখা: বেশি চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করা আপনাকে সাগরের গভীর অতলে শুধু তলিয়েই নিয়ে যাবে। তাই চিন্তা বা দুশ্চিন্তা নামক সমুদ্রে ডুব না দিয়ে নিজেকে সময় দিন। নিজের পছন্দের কাজ যেমন: ছবি আঁকা, গান করা, বইপড়ার মতো কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন। এতে দুশ্চিন্তা ভুলে আপনি ফিরে পাবেন আপনার আত্মবিশ্বাস।

মেডিটেশন: দুশ্চিন্তা দূর করার আরেকটি সহজ উপায় হলো মেডিটেশন। নিয়মিত মেডিটেশনের অভ্যাস আপনাকে ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তামুক্ত হতে সাহায্য করবে।

মন্তব্য করুন


Link copied