স্টাফরিপোর্টার,নীলফামারী॥ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেছেন, ‘আমাদের আন্দোলন জনগনের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন, ক্ষমতা আমাদের কাছে মূখ্য নয়। এ আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণের হারিয়ে যাওয়া অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন।’ তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের গুম-মামলা-হামলার কথায় বলেন,‘এতো মামলা খাবার পরেও, জনে জনে গুম হবার পরেও সারা বাংলাদেশে বিএনপির একজন নেতার মুখের, একজন কর্মীর নেতার মুখের ম্লোগান কেড়ে নিতে পারেন নাই।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল আরো বলেছেন, নিশি রাতের ভোট চোর সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে। দেশে আন্দোলনের দাবানল শুরু হয়ে গেছে। ঘুর্ণীঝড় মোখা ১৫০ কিলোমিটারে এসেছিল। এবার জনগণ এই সরকারকে হঠাতে হাজার কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে। জনগণের সেই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। শ্রীলংকার সরকারের মত বাংলাদেশের জনগণও আওয়ামী লীগ সরকারকে এই রকম দৃশ্য পটে নিয়ে যাবে। সে দিন খুব বেশি দূরে নয়।
নীলফামারী জেলা বিএনপির সিনিয়র সহভাপতি সোহেল পারভেজের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জহুরুল আলমের সঞ্চালনায় শনিবার(২০ মে) বিকালে নীলফামারী শহরের পৌরমার্কেটস্থ জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোড শেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূনীর্তির প্রতিবাদের এবং ১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গন বিক্ষোভ সমাবেশের প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিব উন-নবী খান সোহেল বলেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির নামে এক লক্ষ মামলা হয়েছে। ৩৭ লক্ষ নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে। ৬০০ নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে। এখনো ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাঁর স্বামীর অপেক্ষায় আছেন। ইলিয়াস আলীর সন্তানেরা তাঁর পিতার অপেক্ষায় আছেন, এখনো চৌধুরী আলমের পরিবার অপেক্ষায় আছেন। কখন দরজায় এসে কড়া নারবেন তাদের প্রিয়জন।
দ্রব্য মুল্যের উর্দ্ধগতির কথা বলতে গিয়ে হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, বাজারে প্রতিটা জিনিসের দাম ধরা ছোয়ার বাহিরে। গরিব মানুষেরা মাসে একবারও তাদের সন্তানদের মুখে মাংস তুলে দিতে পারছেন না। ভালো মাছ খাওয়াতে পারছেন না। মানুষ হাসতে হাসতে বাজারে যায়, কাঁদতে কাঁদতে ফিরে আসেন।’ এসময় নীলফামারী শহরে বিএনপির চাহিদা অনুযায়ী স্থানে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মোস্তফা হক প্রধান, মীর সেলিম ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক সেফাউল জাহাঙ্গীর আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি আল মাসুদ চৌধুরী, ডোমার উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম, জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল, জেলা যুবদলের সভাপতি এইচ এম সাইফুল্লাহ প্রমুখ।