নিউজ ডেস্ক : অবশেষে উত্তরবঙ্গে চালের বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতি কেজিতে খুচরা বাজারে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম কমেছে। ব্যববসায়ীরা বলছেন, পাকিস্তান-ভারত ও মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি করায় দেশে কমতে শুরু করেছে দাম। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নতুন আমন ধান। বগুড়া খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তিন দেশ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আদমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে ১৪ হাজার ৬৫৮ মেট্রিক টন চাল ভারত থেকে বিভিন্ন স্থালবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এই চাল বাজারজাত করার পর প্রতি কেজিতে খুচরা বাজারে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম কমেছে। এর সঙ্গে সরকারি ওএমএসের চাল ভোক্তাকে ৫ কেজি করে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করায় চালের বাজারে অস্থিরতা থেমে গেছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম নওগাঁয় প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ১-২ টাকা। দিনাজপুরেও চালের দাম কমতে শুরু করেছে। এদিকে বগুড়ার শেরপুরে যমুনা অটো রাইচমিলের পরিচালক আইয়ুব আলি জানান, কিছু দিন আগে বগুড়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে চালের দাম বাড়ছিল। এখন তা কমতে শুরু করেছে।
জানা গেছে, দিনাজপুরের হিলি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ও সাতক্ষীরা জেলার ভোমড়া স্থলবন্দর দিয়ে চলতি সপ্তাহে ১৪ হাজার ৬৫৮ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও ১৮ মেট্রিক টন আতপ চাল বাংলাদেশে ঢুকেছে। সূত্র বলছে, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে চাল আসা শুরু করলে দাম আরও কমে আসবে। এ ছাড়া বোরো ধান আসা পর্যন্ত বাজার স্থিতিশীল থাকবে।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের সবচেয়ে বড় চালের মোকাম নওগাঁয় প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের দাম কমেছে ১-২ টাকা।
জিরাশাইল চাল আগে ছিল ৭৫-৭৬ টাকা বর্তমানে ৭৪-৭৫ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল আগে ছিল ৫৩-৫৪ টাকা আর এখন ৫১-৫২ টাকা, নাজিরশাইল চাল আগে ছিল ৭৭-৭৮ টাকা আর এখন ৭৬-৭৭ টাকা। চালের দাম কমার কারণ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাজারে চালের আমদানি বাজারে বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম কমেছে।