আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রোববার থেকে নতুন সময়ে চলবে অফিস       নাশকতার আগে এক লাখ সিম যুক্ত হয় ঢাকার নেটওয়ার্কে       রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল      

 width=
 

এবার দাপট দেখাবে গরম

রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, সকাল ০৮:৩৯

ডেস্ক: শীতের মতো গরমেও এবার আবহাওয়ার বিরূপ আচরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী তিন মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি বিষয়ক আগাম বার্তায় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে। এ ছাড়া শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়, মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ এবং বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার বার্তা দিয়েছে সংস্থাটি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী তিন মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশের পশ্চিম, উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ৪ থেকে ৮ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হাল্কা অথবা মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এর বাইরেও দেশে ৩ থেকে ৫টি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। উল্লেখ্য, তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে মৃদু তাপপ্রবাহ এবং ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী ২০ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশের রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বর্তমানে ধীরে ধীরে গরম পড়া শুরু হয়েছে জানিয়ে এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ভোর রাতের দিকে শীত থাকে। এই সময়টাতে আবহাওয়ার ট্রানজিট পিরিয়ড চলছে। এ জন্যই শীত ও গরম পড়ছে। আগামী ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একই রকম অবস্থা বিরাজ করবে। এর পর থেকে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। মার্চের প্রথম দিক থেকে তাপমাত্রার দাপট অনুভব করা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, বর্তমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে অবস্থায় থাকার কথা, তার থেকে ওপরে আছে। গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যে পর্যায়ে থাকার কথা ছিল তার থেকে বেশি ছিল। তার মানে আমরা এবার ওয়ার্ম উইন্টার পার করলাম। এই ওয়ার্ম উইন্টারের মধ্যেই আমরা একটা তীব্র শীত পার করলাম। সুতরাং আমাদের এখন ওয়ার্মিং পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে হবে।

বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো বার্তা দিচ্ছে না বলে মনে করেন আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে যে শীত অনুভূত হয়েছে, সেটা আমাদের চিন্তার বাইরে ছিল। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য এটা হয়েছে। সুতরাং গরমেও এ রকম ওয়ার্মিং পরিস্থিতি আসবে। সার্বিক পরিস্থিতি হিসাব করলে এবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। এর ফলে গরমের হ্যাজার্ড আবির্ভূত হবে। যেগুলো নতুন কোনো এরিয়াতে বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। যেহেতু জানুয়ারিতে ওয়ার্ম উইন্টার পার করেছি, সেহেতু মার্চের শেষে তীব্র গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে সার্বিকভাবে সারাদেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম (১৫.৮%) বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে খুলনা বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের সঙ্গে পূবালী বায়ুপ্রবাহের সংযোগ ঘটায় ১৭ থেকে ১৯, ২০ থেকে ২৫ ও ৩০ থেকে ৩১ জানুয়ারি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক স্থানে হাল্কা থেকে মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ সময় জানুয়ারি মাসে সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ ৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

এ ছাড়া উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ২ থেকে ৫, ১২ থেকে ১৫, ১৭ থেকে ১৮ ও ২০ থেকে ৩০ জানুয়ারি দেশের অনেক স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

গত ২৮ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়। এ মাসে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন এবং অন্যত্র হাল্কা থেকে মাঝারি কুয়াশা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল এবং গড় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। শৈত্যপ্রবাহ, কৃষি আবহাওয়া এবং দেশের নদ-নদীর অবস্থা জানুয়ারি মাসের পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল।

মন্তব্য করুন


 

Link copied