আর্কাইভ  সোমবার ● ১৭ জুন ২০২৪ ● ৩ আষাঢ় ১৪৩১
আর্কাইভ   সোমবার ● ১৭ জুন ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ৩ লাখ মুসল্লি’র সমাগমে অন্যতম সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত       মিয়ানমার ইস্যুতে সরকার কথা বলতেও ভয় পাচ্ছে: মির্জা ফখরুল       বাজারে আসছে হাঁড়িভাঙা আম, ২৫০ কোটি টাকা বিক্রির প্রত্যাশা       রংপুরে ইউসেপের আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি       দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে ইদের জামাত উপলক্ষ্যে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা      

 width=
 

এমপি আনার খুনে ‘হানিট্র্যাপ’, কে এই সিলিস্তি রহমান?

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, দুপুর ০৩:৩৫

ডেস্ক: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার ভারতের কলকাতায় গিয়ে পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। রহস্যে ঘেরা তার এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সামনে এসেছে সিলিস্তি রহমান নামে এক নারীর নাম। এরই মধ্যে ওই তরুণীকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) আটক করে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমপিকে হত্যার জন্য কলকাতার নিউটাউনে অভিজাত ‘সঞ্জীবা গার্ডেন্সে’ যে ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়, সেখানে অবস্থান করেছিলেন সিলিস্তি। সে খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনের বান্ধবী। হত্যাকাণ্ড শেষে মূল ঘাতক আমানউল্লাহ আমান দেশে ফেরার সময় তার সঙ্গে সিলিস্তিও গত ১৫ মে দেশে ফেরেন।

কলকাতা পুলিশও ফ্ল্যাট কম্পাউন্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছে, ১৩ মে ওই ফ্ল্যাটে তিনজন একসঙ্গে ঢোকেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। একদিন ফ্ল্যাটে অবস্থানের পর বের হয়ে আসেন এক পুরুষ ও এক নারী। ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীই সিলিস্তি। ১৩ মে তিনি আমানউল্লাহ ও এমপি আনারের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ঢুকে থাকতে পারেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সূত্র বলছে, তাদেরও ধারণা ওই নারীই সিলিস্তি। কারণ তিনি ১৫ মে বিমানযোগে দেশে ফেরেন। তার সঙ্গে দেশে ফেরেন মূল ঘাতক আমানউল্লাহ। সূত্রটি আরও জানায়, ধারণা করা হচ্ছে এমপি আনারকে কলকাতা নিতে সিলিস্তিকে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন। কারণ সব পরিকল্পনা করে শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এলেও সিলিস্তি থেকে যান কলকাতায়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের সময়ে সিলিস্তি তিনতলা ফ্ল্যাটের একটি তলায় অবস্থান করছিলেন। তবে সামনে ছিলেন না। হত্যাকাণ্ড ঘটানোর পর তিনি নিচে নেমে আসেন। ওই নারী সিলিস্তি কি না, তদন্ত চলছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৩ মে নিউটাউনের আবাসনেই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় আনারকে। খুনের পর টুকরো টুকরো করে কাটা হয় মরদেহ। ১৬ থেকে ১৮ মে পর্যন্ত তিনদিন ধরে খণ্ডিত অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়। কিছু অংশ ওই ফ্ল্যাটের ফ্রিজে রাখা হয়। এমনকি ফ্ল্যাট থেকে প্লাস্টিক ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, প্লাস্টিক ব্যাগে ভরেই খণ্ডিত অংশ বিভিন্ন জায়গায় ফেলা হয়েছে। তবে কারা ফেলেছে, কোথায় ফেলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখন পর্যন্ত এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। মরদেহের পাশাপাশি চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড কে? আরও কারা জড়িত? এসবের প্রশ্নের উত্তরও খুঁজছে কলকাতা পুলিশ।

তবে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত একটি নাম এসেছে জোরালোভাবে। তিনি বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিন। আখতারুজ্জামান শাহীন আনারের বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার। শাহীন কলকাতায় এসেছিলেন আমেরিকার পাসপোর্ট ব্যবহার করে। শাহীন কলকাতায় এক লাখ রুপিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন এক বছর আগে। হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে শাহীনের নিখুঁত ছকে। ৫ কোটি টাকার চুক্তিতে হত্যা মিশনে অংশ নেন ভাড়াটে কিলাররা। পরিকল্পিতভাবে খুন করে কলকাতা ছেড়ে বাংলাদেশ হয়ে ইতোমধ্যে তিনি আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের একাংশ।

এদিকে, হত্যায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে বাংলাদেশের তিনজন ও কলকাতায় একজনকে আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিছু তথ্য জানতে পেরেছেন বাংলাদেশ ও কলকাতা পুলিশের কর্মকর্তারা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied