আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের       "শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে"      

 width=
 

কিছু মানুষ সরকার উৎখাত করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী

বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২, রাত ০৮:২৮

ডেস্ক: বর্তমান সরকারের সঠিক পদক্ষেপে তৃণমূলের মানুষ উপকৃত হচ্ছে জানিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও সরকার বিরোধীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা যে সরকার উৎখাত করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যেটা আসলে কী।

আজ বুধবার কৃষক লীগের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু মানুষ বিদেশে নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ব্যস্ত, তারা সরকার উৎখাতে ব্যস্ত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটি কথা আমি একটু বলতে চাই, আমাদের দেশের কিছু নেতা আছে, দুঃসময়ে মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছে সেটা জানি না। করোনার সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করেছে কি না, সেটারও কোনো লক্ষণ আমরা দেখি নাই। তবে তারা খুব আন্দোলনের জন্য ব্যস্ত, এই সরকারকে হটাতে হবে। কোন সরকার? আওয়ামী লীগ সরকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার প্রশ্ন, আওয়ামী লীগের অপরাধটা কী? আমরা যে ২০০৮ সালে সরকারে এসেছিলাম, সেই সময় যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম, সেখানে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম। নির্বাচনী ইশতেহারের লক্ষ্য অর্জন করেছি। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন করেছি। সেই সময় আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছি। আমার প্রশ্ন, এটা কি তাদের ভালো লাগেনি? সেই জন্য তারা এই সরকারকে হটাতে চায়?’

ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘর দেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি মানুষ, যার জমি নাই, ঘর নাই, কিছু নাই। একটি ঘর পাওয়ার পর জীবন-জীবিকার পথ খুঁজে পাচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে। এটা কি আওয়ামী লীগের অপরাধ? এই জন্যই কি এই সরকারকে হটাতে হবে?’

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্ধারিত সময়ের আট মাস আগেই নির্মাণ করায় সরকারের ১৫০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করে, এত বড় বড় প্রকল্পের প্রয়োজন কী? শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে গেলে বিদ্যুৎ তো আমাদের তৈরি করতেই হবে। আমরা সেখানে যে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার মতো বাঁচাতে পারলাম, এই কথাটা তো কেউ বলেন না। ’

তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমরা গ্রাম পর্যায়ে রাস্তা, ব্রিজ, সেতু নির্মাণ করে দিচ্ছি। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষকে যেখানে কাদা পায়ে হাঁটতে হতো, এখন তা হয় না। সেই রাস্তাঘাট করে দিচ্ছি। বোধ হয় এটাও তাদের কাছে অপরাধ।’

কৃষক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যখন যে কাজ করতে বলেছি, সেইভাবে করেছেন। ভবিষ্যতেও আপনারা কৃষকের পাশে থাকবেন।’ কৃষকের সুখ-দুঃখের সাথি হবে সংগঠনটি বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন নতুন দাবি তোলা লাগবে না, এই দেশের কৃষকের জন্য কিসে মঙ্গল, সেটা আমরা ভালোভাবে জানি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। বাংলার কৃষকই আমাদের প্রাণশক্তি।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied