১৪৪টি দলের নিবন্ধন আবেদন যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে মাত্র।
নিউজ ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন শর্ত পূরণ হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রতীক বরাদ্দ পেতে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়ে গেছে।
নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির তিনটি প্রতীক পছন্দের তালিকায় থাকার পরেই এবার সরব হয়েছে আরও দুটি দল।
নিবন্ধন প্রত্যাশী এনসিপি তাদের দলীয় প্রতীকের অগ্রাধিকারে রেখেছে ‘শাপলা’। ২২ জুন নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়ার সময় শাপলা’র সাথে আরও দুটি প্রতীক ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ চেয়েছে দলটি।
এর আগেই ১৭ জুন নিবন্ধিত দল নাগরিক ঐক্য তাদের ‘কেটলি’ প্রতীক পরিবর্তন চেয়ে শাপলা ও দোয়েল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করে।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ‘শাপলা’ মার্কা তাদের প্রতীক তালিকায় না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এনসিপি বলেছে, আরও দুটি প্রতীক পছন্দ থাকলেও শাপলা ছাড়া তাদেরও কোনো বিকল্প নেই। প্রয়োজনে রাজনৈকিভাবে লড়বে।
এরইমধ্যে ‘কলম’ ও ‘মোবাইল ফোন’ প্রতীক তাদের বরাদ্দের জন্য আগেও আবেদনের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে মনে করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি (বাজপ) ও জনস্বার্থে বাংলাদেশ।
সোমবার জনস্বার্থে বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট মো. বাবুল হোসেন মোবাইল প্রতীক এনসিপিকে বরাদ্দ না দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবের কাছে আবেদন করেছেন।
জানতে চাইলে দলটির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, “আমরা ২০২২ সালের অক্টোবরে তৎকালীন ইসির কাছে নিবন্ধন চেয়ে আবেদনের সময়ই মোবাইল প্রতীক চেয়েছি। মোবাইল নিয়ে আমরা দলের প্রচারেও রয়েছি। এবারও আমরা আবেদনের সময় একই প্রতীক চেয়েছি।”
এমন পরিস্থিতিতে কোনোভাবেই মোবাইল প্রতীক অন্য কোনো দল পেতে পারে না বলে মনে করেন তিনি।
“এনসিপিও প্রতীকটি চেয়েছে; তাদেরকে যেন বরাদ্দ দেওয়া না হয়। গণমাধ্যমে জানতে পেরেছি এনসিপিকে মোবাইল দেওয়া হতে পারে। এমন সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এনসিপিকে মোবাইল বরাদ্দ না দেওয়া এবং বিষয়টি সুরাহা করতে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য ইসিকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে রোববার কলম প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে আবারও আবেদন করেছে বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টি।
দলটির মুখপাত্র কাজী শামসুল ইসলাম বলছেন, ২০২৪ সালের ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ জাগ্রত পার্টির জন্মলগ্ন থেকে কলম প্রতীক ‘ব্যবহার’ করছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি দলের প্রতীকের জন্য ‘কলম’ বরাদ্দ চেয়ে একদফা আবেদন করে রাখা হয়। ১ জুন নিবন্ধন আবেদন জমার সময় দলটির অনুকূলে কলম প্রতীক বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
“এখন দেখছি বেশ কয়েকটি দল কলম প্রতীক চেয়েছে। কিন্তু সবকিছু বিবেচনায় আমরাই নৈতিকভাবে কলম প্রতীকের প্রথম দাবিদার, এ প্রতীকের একমাত্র হকদার বাজপ। এ বিষয়ে ইসি সচিবের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সংসদ নির্বাচনের জন্য ১১৫টি প্রতীক চূড়ান্ত করতে বিধিমালা সংশোধন করেছে।
এ প্রতীক তালিকায় কলম ও মোবাইল ফোনও রয়েছে।
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৪৪টি দলের ১৪৭টি আবেদন জমা পড়েছে। এসব আবেদন যাচাই-বাছাই শুরু হয়েছে। কয়েকটি ধাপ শেষে নিবন্ধন শর্ত পূরণ করলেই প্রতীকসহ দলের নিবন্ধন চূড়ান্ত হবে, এবার ক’টি দল নিবন্ধন পাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ প্রতীক বরাদ্দের বিষয়ে ইতোমধ্যে বলেছেন, নিবন্ধন শর্ত পূরণ করার পরই দলগুলোকে প্রতীক বরাদ্দের বিষয়টি আসবে। এ ক্ষেত্রে দলের পছন্দ ক্রমকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। একই প্রতীক একাধিক দল চাইলে, কমিশন স্বীয় বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেয়।