আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের       "শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে"      

 width=
 

কুড়িগ্রামে রতন উলিপুরে সাজু ও রাজারহাটে বাপ্পি বেসরকারিভাবে নির্বাচিত

বুধবার, ২২ মে ২০২৪, দুপুর ১২:২১

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত: কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় ধাপে ৩টি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটাররা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোট প্রদান করে।

নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর আসন থেকে আনারস প্রতীক নিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম রতন ৫২হাজার ৪৪ ভোট পেয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে পরাজিত করে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু  মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯হাজার ৮৩ভোট।

অপরদিকে উলিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাজাদুর রহমান তালুকদার সাজু আনারস প্রতীক নিয়ে ৫০হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বদন্দ্বি প্রার্থী সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উলিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ১৫ হাজার ৮৪ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।  

এদিকে রাজারহাট উপজেলায় ৩৮ হাজার ২৩ ভোট পেয়ে পুণরায় বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যোন জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি। তিনি মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে রাজারহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু নুর মো. আক্তারুজ্জামানকে ১৯ হাজার ৪৬৬ ভোটে পরাজিত করেছেন। আবু নুর আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৮হাজার ৫৫৭ভোট।

নির্বাচনে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৭লাখ ৮১হাজার ৬২৬জন। চেয়ারম্যান পদে কুড়িগ্রাম সদরে৫জন, উলিপুরে ৫জন এবং রাজারহাটে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কুড়িগ্রাম সদরে ৪জন, উলিপুরে ২জন ও রাজারহাটে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সদরে ৩জন, উলিপুরে ৩জন ও রাজারহাটে ৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোটগ্রহন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, তিন উপজেলায় আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর তৎপরতায় কোথাও কোন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। বিজিবি, আনছার, র্যাব ও পুলিশের ১২শ সদস্য নিবার্চনের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ভোটের পরিবেশ নিয়ে খুশি ভোটাররা।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ সাংবাদিকদের জানান, ভোটাররা যাতে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ শতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied