আর্কাইভ  রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪ ● ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
আর্কাইভ   রবিবার ● ১৯ মে ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে উত্তরবঙ্গ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী       সৈয়দপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা টাকা দিতে অস্বীকার, জেলহাজতে চেয়ারম্যান প্রার্থী       নীলফামারীতে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ       চার বিভাগে হিট অ্যালার্ট জারি       জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণায় সৈয়দপুরে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা      

 width=
 

খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, দুপুর ১০:৫৬

ডেস্ক: রংপুর অঞ্চলের মানুষ গত ছয় মাস থেকে কাঙ্খিত বৃষ্টির দেখা পাচ্ছে না। ফলে খরার ঝুঁকিতে পড়েছে এই অঞ্চল। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফসলের চাষাবাদে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে। আবাহাওয়া অফিস এই বিষয়টিকে অস্বাভাবিক আবহাওয়া বলে মনে করছে। এই পরিস্থিতিতে বোরোসহ অন্যান্য ফসল এখন পুরোপুরি সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। অনেকস্থানে ক্ষেত ফেটে যেতে শুরু করেছে। অপরিকল্পিত সেচ যন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকদের বাড়তি খরচের পাশাপশি ভূগর্ভের পানিরস্তরও নেমে যাচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের হার ছিল শূন্যের কোঠায়। মার্চ মাসে এই অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে ৯৮ দশমিক ২ মিলিমিটার। এপ্রিলের ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও  আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে বৃষ্টিপাতের হার শূন্যের কোঠায়। গত দুই বছর থেকে অস্বাভাবিক হারে বৃষ্টিপাত কমে যাচ্ছে এই অঞ্চলে। তবে ২০২২ সালে এই অঞ্চলে ডিসেম্বরে ৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার, জানুয়ারিতে ৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার ও ফেব্রুয়ারিতে ৮২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। চলতি বছরের মার্চ মাসেও কাঙ্খিত বৃষ্টিপাত হয়নি। এপ্রিলেও বৃষ্টি দেখা নেই এই অঞ্চলে। ফলে অনাবৃষ্টির কারণে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে কৃষি ক্ষেত্রে। তথ্য মতে খরার ঝুঁকিতে রয়েছে রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও জেলা। জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানান কারণে বৃষ্টি শূন্য হয়ে পড়ছে। 

এদিকে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বোরো আবাদের মৌসুম চলছে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষকরা সেচ দিয়ে জমির ফসল রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। এতে কৃষকদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। ফলে ধানের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরোসহ অন্যান্য আবাদ পুরোপুরি সেচ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এতে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর চাপ বাড়ছে। পানি অভাবে অনেকস্থানে ক্ষেত ফেটে যেতে শুরু করেছে। রংপুর অঞ্চলে কয়েক লাখ সেচ যন্ত্র দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলণ করা হচ্ছে। ফলে পানিরস্তর নিচে নেমে গিয়ে কৃষি উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। আবাদি জমিও সেচ সংকটে পড়তে পারে এমনটা আশঙ্কা করা হচ্ছে । ফলে ভূ প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।  

রংপুর অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, অন্য সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কিছু বৃষ্টি হলেও গত সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে শুধু মার্চে বৃষ্টি হয়েছে ৯৮ মিলিমিটার। তাও স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এপ্রিলে এ পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। খবর-বাংলাদেশ প্রতিদিন

মন্তব্য করুন


 

Link copied