আর্কাইভ  শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪ ● ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৭ জুলাই ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুরে ১২ মামলায় গ্রেপ্তার ১৭৫       আহতরা যেই দলেরই হোক, চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী       ২৭শে জুলাই রংপুর বিভাগের আট জেলায় কারফিউ শিথিল       সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান বেরোবি প্রশাসনের       "শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে"      

 width=
 

গাইবান্ধায় নির্বাচনী সহিংসতা : আ.লীগ নেতাসহ কারাগারে ১১৯

মঙ্গলবার, ৪ জুন ২০২৪, সকাল ০৯:৩৮

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় উপজেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কোচাশহর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডলসহ ১১৯ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৩ জুন) বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (চৌকি আদালত) ১১৯ জন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। পরে বিচারক নাজমুল হাসান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ফিরোজ খানুন, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, উপজেলা কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক বোরহান উদ্দিন লেলিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য জলিল, কোচাশহর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আশাদুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল হোসেন, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান রোকন আকন্দ। এ ছাড়া মামলার এজাহার নামীয় ২০ থেকে ২৫ জন (মোটরসাইকেল) প্রতীকের কর্মী-সমর্থক হলেও বাকি সবাই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।  

সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আদালতে হাজতি একজন ও ১১৮ জন স্ব-শরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

শুনানি শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী ভবেশ চন্দ্র বলেন, একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলায় আদালত ১১৯ জনের জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের জেরেই বাদী শহিদুল ইসলাম উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে মামলাটি করেন। আসামিদের জামিনের জন্য জজ আদালতে আবেদন করা হবে। 

বাদীর অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধানের কর্মী-সমর্থক সংঘবদ্ধ হয়ে তার বাড়িতে এসে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে তার দুই কোটি পঁয়তাল্লিশ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাই এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তিনি মামলা করেছেন।

উল্লেখ, দ্বিতীয় ধাপে গত ২১ মে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে বেলা ১১টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পাড়া কচুয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের বসতবাড়িতে হামলা, মারপিট, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৫ মে রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা একটি মামলা করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied