ডেস্ক: জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয় দখলে নিয়ে সকালে ‘আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম’ শুরুর ঘোষণা দেন রওশনপন্থিরা। তবে রওশনপন্থিরা বের হয়ে যাওয়ার পর দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ফের নিজেদের দখলে নেন জিএম কাদেরপন্থিরা।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার পর কাকরাইলের পাইওনিয়ার রোডের পাঁচ তালাবিশিষ্ট ওই কার্যালয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। যদিও সেসময় দুইপক্ষের কোনো নেতাকর্মীকেই দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
এর আগে, এদিন সকাল ৮টায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে থাকা দলের প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রওশনপন্থি নেতাকর্মীরা। এর মাধ্যমে তারা ওই কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দেন। ফুল দেওয়া এবং মোনাজাত শেষে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কার্যালয় পরিদর্শন এবং সেখানকার স্টাফদের খোঁজখবর নেন রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ।
এরপর উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অব্যাহতি পাওয়া চুন্নুর (মুজিবুল হক চুন্নু) চ্যালেঞ্জ প্রতিহত করেই শত শত নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে আমরা কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি। দেখি কে প্রতিহত করে? কার কত বুকের পাটা আছে, তা আগামীতেই প্রমাণ হবে।’
দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে অবস্থান শেষে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন কাজী মামুনুর রশীদ ও রওশনপন্থি নেতাকর্মীরা। এরপর দুপুর দুইটার দিকে জাতীয় পার্টির কাকরাইল কার্যালয়ে যান জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক। এসময় দেখা যায়, এরশাদের প্রতিকৃতিতে নেই রওশনপন্থিদের দেওয়া ফুল। ভবনের সামনে ঝুলছে জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর পক্ষ থেকে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানানো বিশাল ব্যানার। তবে এসময় কার্যালয়ের সামনে দলটির কোনো পক্ষের নেতাকর্মীই চোখে পড়েনি।
দুই ঘণ্টারও বেশি সময় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে ভবনের মূল ফটকে তালা ঝুলানো ছিল। কারা তালা ঝুলিয়েছেন, ফুল কারা সরিয়েছেন- এসব বিষয়ে বারবার জানতে চাইলেও কার্যালয়ে দায়িত্বে থাকা দুই নিরাপত্তাকর্মী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে কার্যালয়ের সামনে থাকা দোকানগুলোর কর্মচারীদের সঙ্গে কথা কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই ফুল ছিল এরশাদের প্রতিকৃতির সামনে। জুমার নামাজের পর আর দেখা যায়নি। পরে খোঁজ করে পার্টি অফিসের পাশের এক ভবনের নিচতলায় কাজী মামুনুর রশীদের দেওয়া পুষ্পস্তবক পড়ে থাকতে দেখা যায়।