আর্কাইভ  শনিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৫ ● ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২৫
সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

সেনাপ্রধানকে ‘সেনাবাহিনী পদক’ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

যে কারণে কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পান না

যে কারণে কিছু মানুষ ভূমিকম্প টের পান না

মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়ে ভূমিকম্পে প্রাণ গেল মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউলের

মায়ের সঙ্গে বাজারে গিয়ে ভূমিকম্পে প্রাণ গেল মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউলের

যার মাথায় উঠলো মিস ইউনিভার্সের মুকুট

যার মাথায় উঠলো মিস ইউনিভার্সের মুকুট

টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হুমকির অভিযোগ

বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫, বিকাল ০৫:৫১

Advertisement

নিউজ ডেস্ক ; শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমেদ বিন কাসেমের (ব্যারিস্টার আরমান নামে পরিচিত) স্ত্রীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার আরমান। ফিন্যান্সিয়াল টাইমস বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।

তিনি জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে কাসেম পরিবার ইস্যুতে টিউলিপকে প্রশ্ন করেন ব্রিটিশ এক সাংবাদিক। এর জেরে আহমেদের বাসায় অভিযান চালান বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তারা আহমেদের স্ত্রীকে ‘মুখ বন্ধ’ রাখার হুমকি দিয়েছিলেন। 
   
গণমাধ্যমটিকে ব্যারিস্টার আরমান আরও বলেন, চ্যানেল-৪ নিউজের এক সাংবাদিক টিউলিপকে প্রশ্ন করার ফুটেজটি সম্প্রচারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আরমানের স্ত্রীকে ‘মুখ বন্ধ’ রাখার হুমকি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, গণমাধ্যমে যেন এ বিষয়ে কোনো আলাপ না ওঠে। 

নিখোঁজ আরমানের ব্যাপারে ২০১৭ সালে শেখ হাসিনার বোনের মেয়ে টিউলিপকে প্রশ্ন করেছিলেন এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। টিউলিপ যেহেতু ব্রিটেনের নাগরিক ও এমপি ছিলেন। তাই ওই সাংবাদিক মনে করেছিলেন, হাসিনার কাছে একটি ফোন করলে আরমান হয়ত মুক্তি পেতে পারেন।

টিউলিপের সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়া ভালো চোখে দেখেনি শেখ পরিবার বলে মন্তব্য করেছেন এই ব্যারিস্টার। তিনি বলেন, যার ফলে তারা প্রশাসন দিয়ে আমার পরিবারকে নতজানু করার চেষ্টা করেছে।

ফিইন্যান্সিয়াল টাইমস বলছে, ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত হাসিনার গোপন কারাগারে বন্দী ছিলেন মীর আহমেদ বিন কাসেম। বিনা বিচারে দীর্ঘ আট বছর তাকে ওই গোপন বন্দীশালায় আটক রাখা হয়। হাসিনার পতনের পর গত ৬ আগস্ট সেই অন্ধকার কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

ব্যারিস্টার আরমান লন্ডনে পড়ালেখা করেছেন। ২০১৬ সালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে তার বাবার বিচার চলাকালে তিনি তার আইনজীবীর ভূমিকা পালন করছিলেন। ঠিক তখনই তাকে গুম করা হয়।

এ ব্যাপারে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার দল লেবার পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু কেউই কোনো কথা বলেননি। তবে টিউলিপের এক সহযোগী বলেছেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ব্যারিস্টার আরমানের বিষয়টি নিয়ে ফরেন অফিসে পত্র পাঠিয়েছিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন


Link copied