আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪ ● ৭ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: উত্তরবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে শীত; তাপমাত্রা ১৭.৮       আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি       প্রবাসী সরকার: কী বলছে আ.লীগ ও ভারত       রংপুরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল        ব্যারিস্টার সুমন আটক      

 width=
 

তিস্তা নদী বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই ২০২৩, রাত ১১:০৪

স্টাফ রিপোর্টার,নীলফামারী॥ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বর্ষণে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে তিস্তা নদীর পানি। বৃহস্পতিবার(১৩ জুলাই) বিকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়াস্থ দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প এলাকা তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার (৫২.৫০) উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল এবং পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। এই পয়েন্টে তিস্তার বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে। 
এর আগে সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৩৪) উপর দিয়ে ও বিকাল তিনটায় বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 
নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি,  খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, গয়াবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ১৫ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। এসব পরিবারের মধ্যে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। 
ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, বুধবার(১২ জুলাই) রাত থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এতে করে বৃহস্পতিবার সকালে আমার ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই এবং ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে। দুপুর ১২টায় পানি কিছুটা কমলে স্বস্তি ফিরে পরিবারগুলোর মধ্যে। বিকাল তিনটায় ফের পানি বৃদ্ধিতে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়েসরে যাচ্ছেন। 
খালিশাচাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুজ্জামান সরকার বলেন, পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের ছোটখাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। দুপুরে পানি কিছুটা কমলেও বিকালে ফের বাড়তে শুরু করেছে। 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, উজানের ঢলে বুধবার রাতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেণ্টিমিটার ওপরে ওঠে। সকাল নয়টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকার পর বেলা ১২টায় ছয় সেণ্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বিকাল তিনটায় ফের চার সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৭ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহি হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে। 
তিস্তা ব্যরাজ পয়েন্টে বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত নদীর পানি বিপৎসীমার তিন সেণ্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিপৎসীমার দুই সেণ্টিমিটার নিচে ছিল। সোমবার বেলা তিনটায় সেখানে পানি প্রবাহ ছিল ২৩ সেণ্টিমিটার নিচে। 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদদৌলা বলেন, উজানের ঢলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত ব্যরাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টায় ছয় সেণ্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১৩ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বেলা তিনটায় খানিকটা বেড়ে ১৭ সেণ্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতি স্বভাবিক রাখতে ব্যরাজের সবকটি জলকপাট (৪৪টি) খুলে রাখা হয়েছে।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, আমরা সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছি। স্থানাীয় ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে পানিবন্দী মানুষের তালিকা তৈরী করতে বলা হয়েছে। সেটি পেলে জানা যাবে কি পরিমান মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রযেছে। প্রয়োজন হলেই আমরা ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। 

মন্তব্য করুন


 

Link copied