তিনি আরও জানান, আদালতের মাধ্যমে তিন কিশোরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কিশোর সংশোধনাগারে নেওয়া হবে। তিনজনের বাড়ি উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নে। শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।
ভুক্তভোগীর মা জানান, এক মাস আগে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ে দেন তিনি। যৌতুক না পেয়ে স্বামী তাকে ছেড়ে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার মেয়ের সর্বনাশ করল তিন প্রতিবেশী।
ভুক্তভোগীর স্বজন জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে কয়েকজন এসে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে জানায়, তাদের ছাগল চুরি গেছে। খুঁজে পেতে হলে তাদের সঙ্গে যেতে হবে। তরুণী সরল বিশ্বাসে বের হলে স্থানীয় লিচু মিয়ার পুকুর পাড়ে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে তিন কিশোর।
মেয়েটির বাবার অভিযোগ, ঘটনার পর রাতে মেয়েকে হাসপাতালে নিতে গেলে তিন কিশোরের অভিভাবক বাধা দেন। তারা স্থানীয়ভাবে বিচার সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু আমি রাজি হইনি। আইনের আশ্রয় নিয়েছি। জড়িতদের বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কিশোরদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, তাদের সন্তানরা নির্দোষ। কোনোভাবেই এমন অপকর্মে জড়িত না। কেন মামলায় নাম এসেছে, তারা বুঝতে পারছেন না। ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় বাধা দেওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তারা।