আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪ ● ৭ কার্তিক ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২২ অক্টোবর ২০২৪
 
 width=
 
 
 width=
 
শিরোনাম: উত্তরবঙ্গে ঘনিয়ে আসছে শীত; তাপমাত্রা ১৭.৮       আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি       প্রবাসী সরকার: কী বলছে আ.লীগ ও ভারত       রংপুরে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল        ব্যারিস্টার সুমন আটক      

 width=
 

দিনাজপুরে টিকটকের অন্তরালে ‘সমকামী ভিডিও তৈরির অভিযোগে দু'যুবক গ্রেফতার

বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪, বিকাল ০৭:৩৮

শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে টিকটকের অন্তরালে স্কুল ও মাদ্রসার শিক্ষার্থীদের দিয়ে ‘সমকামী ভিডিও’ তৈরির অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল থেকে সমকামী ভিডিওসহ শতাধিক অ্যাডাল্ট ভিডিও জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় এ নিয়ে ঘোড়াঘাট থানা কমপ্লেক্সে প্রেস ব্রিফিং করেছে পুলিশ। 

প্রেস ব্রিফিং এ ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) আ.ন. ম.নিয়ামত উল্লাহ্ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ' গ্রেফতারকৃতরা হলেন,ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার কালিতলা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মোতাহার হোসেন (৩২) ও মরিচপাড়া গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে মেজবা মিয়া (২৭)।
তিনি বলেন,ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে ওই দু'যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেজবা নিয়মিত টিকটক বানান এবং মোতাহার রিকশাচালক। তবে তাদের দু'জনের মূল পেশা সমকামী ভিডিও তৈরি করা। স্কুল ও মাদ্রাসাপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে টাকার প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সমকামী ভিডিও তৈরি করে আসছিলো তারা। নিজেরাও সরাসরি  তৈরি করতেন এমন কুরুচিপূর্ণ ভিডিও।'
 এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক কিশোরের মা বাদী হয়ে বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা করেছেন। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিকেলে দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং এ আরো জানানো হয়, গ্রেফতারকৃত দু'জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা এর সঙ্গে আরও কয়েকজনের জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছি। তাদের শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। গ্রেফতার দু'জন মূলত স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টার্গেট করতো।
 
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ  জানান, ‘তারা দু'জনেই যোগসাজশ করে স্কুল,মাদ্রাসা ও কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সমকামী ভিডিও তৈরি করতে বাধ্য করতেন।  ভিডিও ধারণ শেষে আরও ভিডিও তৈরি করতে চাপ প্রয়োগ করতো তারা। এতে অস্বীকৃতি জানালে, তারা ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ারও হুমকি দিতো। তাদের মুঠোফোনে আমরা বেশ কিছু সমকামী ভিডিও পেয়েছি। যা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ। '

মন্তব্য করুন


 

Link copied