ডেস্ক: উত্তরের আকাশে উঁকি দিচ্ছে সাদা মেঘের শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেছে। এ সময় স্থানীয়রা স্মার্টফোনে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন।
পর্যটক সেবা প্রতিষ্ঠান তেঁতুলিয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের রবিউল ইসলাম রতন বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তেঁতুলিয়ার উত্তরের আকাশে নয়নাভিরাম কাঞ্চনজঙ্ঘা উঁকি দিয়েছে। আমরা পর্যটকদের জানান দিতে স্মার্টফোনে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করেছি। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পর্যটকরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
স্থানীয় হুমায়ুন কবির বলেন, এ বছর গতকাল প্রথম কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেল। পর্যটকদের জন্য এটি আনন্দের সংবাদ। কারণ হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে প্রতি বছর পাসপোর্ট-ভিসা করে নেপালে গিয়ে দেখতে হয়। আর সেখানে কোনো পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই তেঁতুলিয়ায় এসে জেলা পরিষদ ঐতিহাসিক ডাকবাংলোর পিকনিক কর্নার থেকে খালি চোখে দেখা যাচ্ছে।
ডাকবাংলো পিকনিক কর্নারে ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী আফিয়া জান্নাত স্বর্ণা ও সাদিয়া আক্তার মিম জানায়, খুব ভালো লাগলো কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে। এ বছরের প্রথমেই দেখতে পেলাম। খুব ভালো লাগলো। এখন যে কেউ আসতে পারেন দেখতে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। ছবির মতো ভেসে উঠা শুভ্র কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ দৃশ্য ছাড়াও দেখা মেলে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চল।
তেঁতুলিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্যটকদের কাছে বহুল কাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। যারা পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়া কাছ থেকে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে চান, এ সময়টা তাদের জন্য উপযুক্ত সময়। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এই যুগল পর্বতশৃঙ্গ দেখতে পঞ্চগড়ে ভ্রমণ করে থাকেন। এ বছরও অনেকে ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করতে দেখছি। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা, অবকাশ যাপনকেন্দ্র ও স্যানিটেশনসহ আকর্ষণীয় কিছু অবকাঠামো নির্মাণ করেছি।