আর্কাইভ  রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫ ● ৯ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ২৪ আগস্ট ২০২৫
জয়ের জটিল সমীকরণ

জয়ের জটিল সমীকরণ

হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ
সীমাহীন বর্বরতা
হাসিনার মামলায় ১৬ চানখাঁরপুল মামলায় ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

ছুটিতে পাঠানো সেই ১২ বিচারপতি কোথায়?

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

হাসিনার পলায়ন উদযাপনের জনস্রোতে কেন এত গুলি, কেন এতো আক্রোশ

পঞ্চগড়ে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড!

রবিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, রাত ০৮:৪৫

Advertisement Advertisement

ডিজার হোসেন বাদশা, পঞ্চগড় প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় জমির জন্য আপন বড় ভাইকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছোট ভাই ফিরোজ জামালকে (৩৬) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শরীফ হোসেন হায়দার এ রায় দেন। একই সঙ্গে ফরোজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে আদালত।

এর আগে গত ২১ সালের ৭ এপ্রিল নিহতের আরেক ভাই রেজাউল করিম রাজু বাদী হয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ছোট ভাই ফিরোজের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফিরোজ জামাল জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের লালগছ গ্রামের সারাফত আলীর সপ্তম ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ছোট থেকেই বদমেজাজ প্রকৃতির ছিল ফিরোজ। বাবা সারাফত আলীর নিজ নামে পঞ্চগড় শহরের ইসলামবাগ ডোকরো পাড়া স্কুলের পিছনে ১৭ শতক জমি আছে। এর মাঝে বড় ভাই নিহত রবিউল ইসলাম জীবিত থাকাকালীন ওই জমিতে বাড়ি করে বসবাস করে আসতেন। সেই জমির মধ্যে ৭ শতক জমি বাবার কাছ থেকে কৌশলে একায় নিতে চায় ফিরোজ। বিষয়টি অন্য ভাইয়েরা জানতে পেরে তাকে বাঁধা দেয়। বড় ভাই রবিউলের মাধ্যমে অন্য ভাইদের দলিল করার বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয় ফিরোজ। গত ২১ সালের ৬ এপ্রিল বড় ভাই রবিউল পঞ্চগড় থেকে রাতে গ্রামের বাড়ি লালগছে যান। এর মাঝে মায়ের দেয়া রাতের খাবার খেতে বসেন তিনি। পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ফিরোজ সে সময় দেশীয় অস্ত্র (হাত দা) দিয়ে বড় ভাই রবিউল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী মারতে থাকে। এসময় ঘাতকের মারে চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রবিউল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করে ৭ এপ্রিল তেঁতুলিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করে পরিবার।

মামলা চলাকালীন সময়ে আসামী পক্ষের কোন আইনজীবী না থাকায় আদালত আইনজীবী নিয়োগ করে। এসময় আসামী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম।

এদিকে মামলার বাদী রেজাউল করিম রাজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর একদিন আত্মগোপনে চোলেযায় ফিরোজ। পরে ৭ এপ্রিল মামলা দায়ের হলে ৮ এপ্রিল পুলিশের হাতে নিজেকে ধরা দেয় সে। সে ছোট থেকে যে অবস্থার, আদালত থেকে ছাড় পেলে আবারও পরিবারের কাউকে হত্যা করতে পারে। আদালতের এ রায়কে সাধুবাদ জানাচ্ছি।

মন্তব্য করুন


Link copied