নিউজ ডেস্ক: গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। প্রধম ধাপে সাতজন জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ৮টার পর জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
জিম্মি ও নিঁখোজ পরিবারগুলোর সংগঠনের তথ্যমতে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন- গালি বারমান, জিভ বারমান, এইটান আব্রাহাম মর, ওমরি মিরান, মাতান আংগ্রেস্ট, আলোন ওহেল, গাই গিলবোয়া-ডালাল।
এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার কিংবা দেশটির সামরিক বাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
আজ মোট ২০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে- হামাস এর আগে মুক্তিপ্রাপ্তদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ মেনে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তার ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর চতুর্থ দিনে সোমবার মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম আল শেখে ‘শান্তি’ সম্মেলনে বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ইতিমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিসরে সম্মেলন শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তার আগে ইসরায়েলে যাচ্ছেন ট্রাম্প, সেখান থেকে তার মিসরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বন্দীদের মধ্যে ২২ শিশুও রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৬৭ হাজার ৮০৬ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ০৬৬ জন আহত হয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলায় ইসরায়েলের মোট ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দী করা হয়েছিল।