আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩ ● ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ৮ জুন ২০২৩
 width=
 width=
শিরোনাম: এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা       আদানির কেন্দ্র থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু       নীলফামারীতে মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম রাজস্ব খাতে নিতে স্বারকলিপি প্রদান       নীলফামারীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন       নীলফামারীতে শিশু শ্রম নিরসন বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত      

মৃতের সংখ্য ছাড়াল ১৫ হাজার

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, সকাল ০৯:১৫

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার। দেশ দুটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৩৯১; অন্যদিকে সিরিয়ায় ২ হাজার ৯৯২ জন। 

এর আগে ১৯৯৯ সালে ৭.৪ মাত্রার এক ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হরান; আহত হন ৩৩ হাজারের বেশি। এরই মধ্যে এবারের ভূমিকম্পে আহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। 

এবারের দুর্যোগে তুরস্কের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি শহরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের স্মরণে ঘোষণা করা হয়েছে সাত দিনের জাতীয় শোক। এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। 

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারাস প্রদেশে উদ্ধার তৎপরতা পরিদর্শনে যান এরদোয়ান। এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা ছিল। এ শহরটিই ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্র এবং প্রথম ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে। 

উদ্ধারকাজ বিলম্ব হওয়ার জন্য তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করেন। তবে তিনি বলেছেন, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে। 

তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যা কিছু আছে তার সবই আমরা কাজে লাগিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাষ্ট্র তার কাজ করে যাচ্ছে।’ 

তবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দারা ধীরগতির অভিযোগ তুলে উদ্ধারকাজের সমালোচনা করছেন। তারা বলছেন, সরকার পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে এবং এ কারণেই ভূমিকম্পে এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। 

পরিবারের নিখোঁজ সদস্যদের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে খুঁজে বের করতে প্রয়োজনীয় সাহায্য তারা পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied