আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু       কিশোরীগঞ্জে পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্যাক্তির রহস্যজনক মৃত্যু       উপজেলা নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হতে চান না কেউ      

 width=
 

যোগ্য পিতার, যোগ্য কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, সকাল ০৮:৪৪

শেখ মাজেদুল হক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ঘর  আলো করে মধুমতি বিধৌত পল্লী গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বাবা-মায়ের প্রথম সন্তান। শৈশব কৈশোর কেটেছে  টুঙ্গীপাড়ায় বাঙালির চিরায়ত গ্রামীণ পরিবেশে, বড় হয়ছেন দাদা-দাদির কোলে-পিঠে। পিতা শেখ মুজিবুর রহমান তখন জেলে বন্দি। জেল-জুলুম ছিল তাঁর নিত্য সহচর। রাজনৈতিক আন্দোলন এবং রাজনীতি নিয়েই শেখ মুজিবুর রহমানের যাপিত জীবন।

শেখ হাসিনার শিক্ষাজীবন শুরু হয় টুঙ্গীপাড়ার এক পাঠশালায়। ১৯৫৬ সালে শেখ হাসিনা ভর্তি হন টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে। ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর রোডের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর।  শেখ হাসিনা ১৯৬৫ সালে আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৬৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন ঢাকার বকশী বাজারের পূর্বতন ইন্টারমিডিয়েট গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ  যার বর্তমান  নাম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়। কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজনৈতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় কিশোর বয়স থেকেই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে পদচারণা।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী হিসাবে তিনি আইয়ুব-বিরোধী আন্দোলন এবং ৬-দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে থাকা অবস্থায় তার  আগ্রহে ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে শেখ হাসিনা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় বাঙালি জাতির ১১-দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেত্রী হিসেবে তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই গৃহবন্দি থাকাবস্থায় শেখ হাসিনার প্রথম সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে তিনি মুক্ত হন। ১৯৭২ সালের ৯ ডিসেম্বর তার কন্যা সন্তান সায়মা ওয়াজেদ পুতুল জন্ম লাভ করেন। ১৯৭৩ সালে শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। 

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এসময় বিদেশে থাকায় পরম করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ইডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিল অধিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।  

“সব হারিয়ে আমার শুধু দেবার পালা। মানুষের জন্য করে যাচ্ছি। দেশের মানুষের জন্য যে ত্যাগ করার করবো, আমি জীবন দিতেও প্রস্তুত।” এই ব্রত নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর সংগ্রামী আদর্শের পথ ধরে কন্যা শেখ হাসিনা বাংলার কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য লড়াই করে চলেছেন। বাংলাদেশ গড়ার রূপকার সময়ের সাহসী নেত্রী শেখ হাসিনা। সফলতার এক মূর্ত স্মারকের নাম শেখ হাসিনা। বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বর্ণালী ইতিহাসের অন্যতম সঙ্গী বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাম্প্রদায়িক শক্তির রোষানলে পড়ে বার বার ফিরে এসেছেন মৃত্যুর দোয়ার থেকে পরম করুণাময়ের অশেষ রহমত, জনগণের দোয়া আর ভালবাসার বরকতে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের দুঃসাহসী অভিযাত্রায় আন্দোলনের অগ্নি মশালের নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠান। যার অনুপ্রেরণা, প্রণোদনা এবং নেতৃত্বে বাংলার মানুষ স্বপ্ন দেখেছে। সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ায় উদ্দীপ্ত হয়েছে। শেখ হাসিনা এক গৌরবোজ্জ্বল আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির সার্থক উত্তরাধিকারী। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপসহীন নেত্রী। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নেতার চেয়েও বড় পরিচয় তিনি একজন যোদ্ধা, একজন অভিভাবক ও একজন ক্রাইসিস ম্যানেজার। জাতির পিতার রক্ত, স্বপ্ন, দ্রোহ আর বেদনা বুকে ধারণ করে তিনি হয়েছেন বাঙালির বিশ্বজয়ের স্বপ্নসারথি। আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বেই আজকের ঘুরে দাঁড়ানো বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর মতো তার চরিত্রে মানুষের প্রতি বিশ্বাস-ভালোবাসা, সততা, দক্ষতা, ধৈর্য ও ক্ষমাশীলতার বিশেষ গুণ বিদ্যমান। দেশের বাইরেও প্রশংসিত হয়েছে তার সাহসিকতা ও মানবতার রাজনীতি। সংকটকালে দাঁড়িয়েও ‘আরও সবুজ, আরও পরিচ্ছন্ন এবং আরও নিরাপদ’ বিশ্বের স্বপ্ন দেখেন তিনি।

শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। তাকে বলা হয় বাংলাদেশের বিস্ময়কর উত্থানের একমাত্র কারিগর। ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর সরকারের আমলেই ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি। সম্পাদিত হয় পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়।

মাদার অব হিউম্যানটি পুরস্কার প্রাপ্ত জনতার নেত্রী শেখ হাসিনার অর্জন পাহাড় সমান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেধা-মনন, সততা, নিষ্ঠা, যোগ্যতা, সৃজনশীলতা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। এক সময়ের কথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশকে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করতে হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণমুখী নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে।  ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আজ সফলতার সাথে টানা তৃতীয় মেয়াদে চতুর্থ বারের মতো দেশ পরিচালনা করছেন।

শুধু উন্নয়নই নয় বঙ্গবন্ধু কন্যার মানবিক নেতৃত্বে, বাংলার দুঃখী মানুষের জীবনমান আমূল বদলে গেছে। অভাব, মঙ্গা ও দারিদ্রের কড়াল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। গত এক দশকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লক্ষাধিক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। নতুন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে প্রায় এক কোটি মানুষের। নামমাত্র মূল্যে সার ও বীজ পাচ্ছেন প্রান্তিক কৃষকরা। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি, একাত্তরের ঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন করা, সংবিধান সংশোধনের মধ্য দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃ-প্রতিষ্ঠা, ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি ও সমুদ্রবক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমির নতুন দিগন্ত উন্মোচন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে মহাকাশ জয়, সাবমেরিন যুগে বাংলাদেশের প্রবেশ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন উড়াল সেতু, মহাসড়কগুলো ফোর লেনে উন্নীত করা, এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, যুগোপযোগী  শিক্ষানীতি প্রণয়ন, স্বাক্ষরতার হার উন্নীত করা, বছরের প্রথম দিনে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া, মাদ্রাসা শিক্ষাকে মূলধারার শিক্ষার সাথে সম্পৃক্ত করা ও স্বীকৃতি দান, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ, নারী নীতি প্রণয়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ, ফোর-জি মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার চাল, গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ সহ  অসংখ্য ক্ষেত্রে  কালোত্তীর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। এক বর্ণাঢ্য সংগ্রামমুখর জীবন জননেত্রী শেখ হাসিনার।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেমন এক কোটি শরণার্থীসহ প্রায় দুই লাখ স্থানচ্যুত মানুষকে পুনর্বাসন করেন, বস্তুহীনদের জন্য নির্মাণ করেন ৪৩ লক্ষ বাসগৃহ। তেমনি ১৯৯৮ সালের বন্যায়, দেশের ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ার পরেও তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করেন শেখ হাসিনা। বন্যার কারণে রোগবালাই এবং খাদ্যাভাবে এক কোটি মানুষ মারা যাবে বলে আগাম সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল বিশ্ব গণমাধ্যমে। কিন্তু ফলে কোনো লোকক্ষয় ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ দুর্যোগ শক্ত হাতে মোকাবিলা করেন তিনি। এরপরই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে শেখ হাসিনাকে ‘বিস্ময়কর’ নেতা বলে অভিহিত করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায়, কখনোই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো থেকে পিছপা হননি বঙ্গবন্ধুকন্যা। এ মানবিক নেত্রীর নির্দেশে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষদের মাথাগোঁজার ঠাঁই করে দিতে প্রায় নয় লাখ ঘর তৈরির কাজ অব্যাহত রেখেছে সরকার।

এমনকি সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য দেওয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। প্রথম শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে আনা হয়েছে নিয়মিত বৃত্তির আওতায়। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে সব শ্রেণির সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের। বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীসহ মোট ৯১ লাখ মানুষকে দেওয়া হচ্ছে সুরক্ষা ভাতা। নারীদের জন্য গর্ভকালীন ছুটি চার মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে, চালু হয়েছে পিতৃকালীন ছুটিও। মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের জন্য সম্মানী কয়েক ধাপে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা উত্তীর্ণ করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।মিয়ানমার যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, মাতৃস্নেহে বিশ্বজননীর কোলে তুলে নিয়েছেন বিশ্বনেতা জননেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার জীবনের বড় প্রাপ্তি মাদার অব হিউম্যানটি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া। শুধুমাত্র মানবিক কারণে নিজ দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ, নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা উপেক্ষা করে ১০ লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গাকে মানবিক আশ্রয় দিয়ে তিনি আজ বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশের নয় সারা বিশ্বের মানবিক নেতা। শেখ হাসিনা আজ মানবিকতার বাতিঘর। এই ঘরের আলো জ্বালিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলের।

শেখ হাসিনার সমগ্র রাজনৈতিক জীবনের সংগ্রাম ও সাধনার প্রতিচ্ছবি কাকে না আপ্লুত করে? শুধুমাত্র মত ও পথের পার্থক্য আছে এবং যারা জন্ম থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী তাদের কথা ভিন্ন। তাদের কাছে শেখ হাসিনা যেন গাত্রদাহ। তারা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে শেখ হাসিনা বেঁচে না থাকলে অনেক আগেই তাদের পূর্বপুরুষদের পেয়ারে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরে যেতে পারতো বাংলাদেশ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতো না। সাম্প্রদায়িকতার বিষ-বাষ্পে বাংলাদেশ হতো জঙ্গিরাষ্ট্র। 

শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা। তিনি তার পরিশ্রম ও কাজ দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। তার জনপ্রিয়তা এমন যে আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি। তার কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত আ’লীগ সহ সর্বদলীয় নেতাদের। বিভিন্ন বিশেষণে ভূষিত না হয়ে তাদের উচিত বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করা।’ দূরদর্শী নেতৃত্ব আর হিমালয়সম ব্যক্তিত্বের অধিকারী পিতা বঙ্গবন্ধুর গুণাবলী, আদর্শ কন্যা শেখ হাসিনা বুকে ধারণ করতে পেরেছেন। মাতা ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন ত্যাগের প্রতিমূর্তি। মাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ধৈর্য্যশীলতা, ন্যায় পরায়নতা, মানবিকতা, মমতাশীলতা, ত্যাগের মহান শিক্ষা কন্যার শেখ হাসিনার মননে ভালভাবেই বাসা বেঁধেছে।

শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে গত এক দশকে ডিজিটাল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা। করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের শুরুতে বিশ্ব যখন থমকে গিয়েছিল, সেই সময়টাতেও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ সরকার। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সরকার, ডিজিটাইজড সিস্টেমের মাধ্যমেই সচল রাখা হয়েছে দেশের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা ও আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। করোনা প্রতিরোধে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করতে নিয়মিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে প্রচারণা চালিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। উগ্রপন্থীদের প্রাণনাশী গুজব মোকাবিলা করে গণ-মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত করেছে সরকার। ভ্যাকসিন নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে শুধু শেখ হাসিনার বিচক্ষণতার কারণে। তার আধুনিক নেতৃত্বের কারণেই মহামারিকালেও থেমে নেই মানবিক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নিয়মিতভাবে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে সারা দেশে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এক কোটিরও বেশি মানুষের ঘরে। ডিজিটাল সুবিধা ব্যবহার করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫০ লাখ কৃষক-শ্রমিক-মজুরের হাতে।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তেমনই ইসলামের প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রেখে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তার নির্দেশেই দেশজুড়ে নির্মাণ করা হচ্ছে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ। এমনকি এই করোনাকালে সারা দেশের মসজিদ, মন্দির, মাদরাসা ও এতিমখানার উন্নয়ন এবং এসবের সঙ্গে যুক্ত প্রায় অর্ধ-কোটি মানুষের জন্য নগদ অর্থ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অর্থ সংগ্রহ করে এসব খাতে আড়াইশ’ কোটি অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। এজন্য বিশ্ব নেতারা উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার।

ইতোমধ্যে শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে ৬১টি জেলা। পাহাড় কিংবা দুর্গম চরেও পৌঁছে যাচ্ছে বিদ্যুতের সুবিধা। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে তিনগুণ। স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের ফলে বেড়েছে গড় আয়ু। ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে সহজ হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। চার লেনের সড়ক ব্যবস্থা বাস্তবায়িত হচ্ছে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া। নিজস্ব অর্থায়নে দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে বঙ্গবন্ধু টানেল ও রাজধানীর মেট্রো রেলের কাজও প্রায় শেষ। এতদিন টেলিভিশনের পর্দায় বিদেশের যেসব মেগা প্রকল্পের চোখ ধাঁধানো দৃশ্য আমরা দেখতাম, ঠিক সেসব অবকাঠামোই দেশের মাটিতে বাস্তবায়ন করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে বাঙালি জাতির জন্য পদ্মা সেতু এক বিরাট অর্জন। বাংলাদেশের যতগুলো অর্জন এবং গর্ব, মর্যাদা, অহংকার তার মধ্যে পদ্মা সেতুই সর্বেসর্বা। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত  পদ্মা সেতুর তাৎপর্য শুধু আর্থ-সামাজিক প্রভাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটা বাঙালি জাতির আত্ম-মর্যাদা ও আত্ম-প্রত্যয়েরও প্রতীক, হিমালয় পদানত করার চেয়েও অধিক গৌরবের।শত বাধা, ষড়যন্ত্র, দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, যন্ত্রণা, ইত্যাদি মোকাবিলা করে কিভাবে কাজ করে যেতে হয় তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সত্যি যোগ্য পিতার, যোগ্য কন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দূরদর্শিতার কারণে তিনি এখন বিশ্ব নেত্রী। ২০১১ সালে নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারী নেতৃত্বের মধ্যে তিনি ৭ম স্থানে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ফরচুনে প্রকাশিত তালিকা মতে, বিশ্ব সেরা ৫০ নেতার মধ্যে শেখ হাসিনা দশম স্থানে। যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন এ্যাফেয়ার্স সাময়িকীতে মানবজাতির উন্নয়ন ও কল্যাণের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মৌলিক চিন্তা, গবেষণা, উদ্ভাবন, সৃষ্টি এবং আকর্ষণমূলক কাজের জন্য বিশ্বের যে ১০০ শীর্ষ ব্যক্তির তালিকা করা হয় সেখানে শেখ হাসিনার অবস্থান ১৩তম।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকারপ্রধান হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বিশ্ব বিখ্যাত ফোর্বস ম্যাগাজিন জরিপে নভেম্বর ২০১৭ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় ৩০ তম অবস্থানে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স এর সর্বশেষ গবেষণায় বিশ্ব সেরা ৫ জন কর্মঠ এবং পরিশ্রমী সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ ১৭৩ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান হিসেবে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের ডেকিন ইউনিভার্সিটির ‘সেন্টার ফর হিউম্যান লিডারশিপ’ ২০১৭ সালের জন্য পোপ ফ্রান্সিস এবং বিল গেটসকে পিছনে ফেলে `মানবতার চ্যাম্পিয়ন’ হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি তাঁর মানব-কল্যাণী নীতি ও কর্মকাণ্ডের জন্যে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার, জাতিসংঘের আইসিটি পুরস্কার, ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার, প্ল্যানেট ফিফ্টি ফিফ্টি, চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কারসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যে বাংলাদেশকে যেখানে এনে দাঁড় করিয়েছেন, তা এক অসম্ভব সাফল্য, যা অনেক শাসকের কাছেই অকল্পনীয় ও ঈর্ষণীয়। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ এখন চমক। শুধু বাংলাদেশই নয়, বিশ্বকে এগিয়ে নেয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চে তার পরামর্শও এখন গ্রহণযোগ্য এবং প্রশংসনীয়। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি বলেছেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটেছে। কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়ন মন্ত্রী মেরি ক্লদ বিবেউ বলেছেন, শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে দক্ষিণ এশিয়ার স্তম্ভ।

বাংলাদেশে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও মধ্যম আয়ের আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে। দেশবাসীর মতোই আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোও ক্রমান্বয়ে তাঁর ওপর আস্থাশীল হয়ে ওঠছে। বাংলাদেশের শেখ হাসিনা আজ জাতিসংঘ তথা বিশ্ব পরিমণ্ডলে শান্তি ও ন্যায়ের এক মূর্ত প্রতীক। তিনি শুধু দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, বিশ্বের অন্যতম প্রধান নেতা হিসাবে নিজের দেশ ও জনগণকে তুলে ধরেছেন সবার ওপরে। অন্তত ২১ বার তাঁকে হত্যার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি অসীম সাহসে তাঁর লক্ষ্য অর্জনে থেকেছেন অবিচল। মেধা-মনন, সততা, কঠোর পরিশ্রম, সাহস, ধৈর্য, দেশপ্রেম ও ত্যাগের আদর্শে গড়ে উঠেছে তাঁর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। পোশাকে-আশাকে, জীবন-যাত্রায় কোথাও কোন প্রকার বিলাসিতা বা কৃত্রিমতার কোনো প্রকার ছাপ নেই। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান ও ধার্মিক। নিয়মিত ফজরের নামাজ ও কোরান তেলাওয়াতের মাধ্যমে তাঁর দিনের সূচনা ঘটে। পবিত্র হজব্রত পালন করেছেন কয়েকবার। অকৃত্রিম দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ় মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাঁকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং বাঙালি জাতির সকল আশা-ভরসার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। উন্নয়নে, অগ্রগতিতে, মানবিকতায়, ন্যায় নিষ্ঠতায়, সুশাসনে তিনি আজ সারা বিশ্বের বিস্ময়, অগ্রগতির দৃষ্টান্ত, বাংলার অহংকার।

প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শুভ জন্মলগ্নে তাঁর সুস্বাস্থ্যময় দীর্ঘ জীবন কামনায় মহান রাব্বুল আল আমিনের দরবারে দু’হাত তুলে ফরিয়াদ ব্যক্ত করছি।বঙ্গতনয়া  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে  জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।  জয় হোক জন-নেত্রীর, জয় হোক বিশ্বনন্দিত নেত্রী শেখ হাসিনার।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক ও সাবেক বিভাগীয় প্রধান,  মার্কেটিং বিভাগ।
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর।
smh.mkt@brur.ac.bd 

 

 

মন্তব্য করুন


 

Link copied