আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪ ● ৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন       রংপুরে মিস্টি ও সেমাই কারখানায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা       হিলিতে কেজিতে ২০ টাকা কমল পেঁয়াজের দাম       ‘অবন্তিকা’ই যেন শেষ হয়... প্লিজ       রংপুরে দিনে গরম রাতে শীত, ভাইরাসজনিত জ্বর-সার্দির প্রকোপ বৃদ্ধি      

 width=
 

রুপালি পর্দা- প্রেম, বিয়ে, সন্তান কেন এত অসম্মান?

শুক্রবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, দুপুর ০৪:১৯

রেজানুর রহমান

কথায় আছে যা কিছু রটে তা কিছু বটে। রটনাই কখনো কখনো ঘটনার জন্ম দেয়। গত কয়েকদিন ধরে দেশের একজন চিত্রনায়িকার মা হওয়ার সংবাদ বিভিন্ন মহলে বেশ আলোচিত হচ্ছে। একজন বিবাহিত নারী তিনি মা হবেন এতে হইচই করার কি আছে? যথার্থ প্রশ্ন। ওই নারী একজন আলোচিত চিত্র নায়িকা বলে কথাটা উঠেছে। যদিও ওই চিত্রনায়িকা তার মা হওয়ার ব্যাপারে মুখ খোলেননি। তবে প্রচার মাধ্যমে বলেছেন আমি মুসলিম মানুষ। যদি কিছু হয়েই থাকে তাহলে আমি খুব শিগগিরই সকলকে জানাবো। এই ‘যদি’ ‘কিন্তু’ শব্দ দুটোই রহস্যের সৃষ্টি করেছে। বিয়ে, সন্তান জন্মদান নারী পুরুষের জীবনের পবিত্র কাজ।

অথচ বিয়ে, সন্তান জন্মদান নিয়ে কেন এত লুকোচুরি? সবচেয়ে জরুরি প্রশ্ন হলো, উল্লিখিত নায়িকা যদি সত্যি সত্যি সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন তাহলে তার সন্তানের পিতা কে? এই প্রশ্নের শাখা-প্রশাখা, ডাল-পালায় দেশের একজন স্বনামধন্য চিত্র নায়কের নামও দোল খাচ্ছে। তাকে ঘিরে মুখরোচক, কৌতুকপূর্ণ নানান ধরনের আলোচনা এখন চলচ্চিত্র পাড়াসহ দেশের গোটা সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পাশাপাশি অফিস আদালত এবং বাসাবাড়িতেও তুঙ্গে। সর্বত্রই কানাঘুষা, ফিসফাঁস। কিছু একটা ঘটেছে। জানেন অনেকে। মুখ ফুটে বলছেন না কেউই।  নায়িকার নাম বুবলী। বেশ আদুরে নাম। তার সন্তানের পিতা হিসেবে বাংলা সিনেমার যুবরাজ শাকিব খানের নাম নিয়েই জল্পনা-কল্পনা চলছে। বিব্রতকর সত্য হলো, এই শাকিব খানের সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাস এবং তাদের বিয়ে, সন্তান নিয়েও একই ঘটনা ঘটেছিল।

সিনেমায় দুর্দান্ত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও হঠাৎ অভিনয় থেকে সরে যান অপু বিশ্বাস। অনেক সিনেমার শুটিং আটকে যায়। একাধিক প্রযোজক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অপু বিশ্বাস কোথায়? এই নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হলেও ঘটনার নায়ক শাকিব খান একবারও মুখ খোলেননি। অপু বিশ্বাসের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ার কারণে একাধিক ছবির শুটিং আটকে যায়, একাধিক প্রযোজক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। শাকিব খানের চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটেছে। অথচ তিনি ছিলেন নীরব দর্শক। যেন ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানেন না।  কথায় আছে সত্য কখনো চাপা থাকে না। ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সেই কথা প্রমাণ করতেই অপু বিশ্বাসই একদিন তার সন্তান কোলে নিয়ে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হলেন। টেলিভিশন চ্যানেলটিতে সরাসরি অনুষ্ঠানে কাঁদতে কাঁদতে কোলের সন্তানকে দেখিয়ে বললেন, আমি বিবাহিত। শাকিব খান আমার স্বামী। আমার কোলের সন্তানের পিতা শাকিব খান।  অপু বিশ্বাসের এই কথায় দ্বিমত পোষণ করেননি শাকিব খান। কিন্তু অপু বিশ্বাসের ওপর দারুণ চটে গিয়ে বলেছিলেন, হ্যাঁ ঘটনা সত্য। তবে অপু এভাবে একটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি অনুষ্ঠানে বিয়ে, সন্তান নিয়ে কথা বলবেন এটা শোভন হয়নি। যদিও পরবর্তিতে অপু আর শাকিব খান এক ছাদের নিচে থাকার চেষ্টা করেছিলেন।

 কিন্তু এর স্থায়িত্বকাল ছিল সামান্য। শেষ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।  এই সময়ই শাকিব খানের জীবনে আসেন বুবলী। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের জনপ্রিয় খবর পাঠিকা। টেলিভিশনে খবর পড়তে দেখেই বুবলীর প্রতি আকৃষ্ট হন শাকিব খান। তাকে সিনেমার নায়িকা বানান। তখনই অবশ্য ফিসফাঁস, কানাঘুষা শুরু হয়েছিল বুবলী ও শাকিব খানকে ঘিরে। প্রেমের কানাঘুষা, ফিসফাঁস। নতুন প্রেমে মজেছেন শাকিব খান। তবে ঘটনাটা যে একই বৃত্তে ঘুরপাক খাবে এমনটা আশা করেননি অনেকে। কারণ বিয়ে, সন্তান জন্ম দেয়াকে কেন্দ্র করে একজন মানুষ কতোবার লুকোচুরির আশ্রয় নিতে পারে? কথায় আছে ন্যাড়া একবারই বেলতলায় যায়। কিন্তু শাকিব খান তো দেখি এই কথাকেও গ্রাহ্য করেননি। বুবলী যদি সত্যি সত্যি সন্তান জন্ম দিয়ে থাকেন আর ওই সন্তানের পিতা যদি শাকিব খানই হন তাহলে কেন আবারো এই লুকোচুরি খেলা? বুবলী অবশ্য অপু বিশ্বাসের মতো এখনো কোনো টিভি চ্যানেলে হাজির হননি। তবে তিনি তার বাস্তব জীবনের ট্রেলর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছেন। নিজের ফেসবুক ওয়ালে বেবি বাম্পের দুটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন- আমি ও আমার জীবন। ফিরে দেখা আমেরিকা। ছবির ক্যাপশন দেখেই সবাই অনুমান করছেন বুবলী মা হয়েছেন। ঘটনাটা ঘটতে পারে ২০২০ সালে। ওই সময়টায় প্রায় ১১ মাস যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন বুবলী। তখনই হয়তো তিনি সন্তান জন্ম দিয়েছেন।  

বুবলি এখন ঢাকায়। নিয়মিত সিনেমার শুটিং করছেন। ফেসবুক ওয়ালের ছবি ও ক্যাপশনের সূত্র ধরে কৌতূহলী বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম তার মুখোমুখি হয়েছিল। বুবলী কথা বলেছেন। তবে ধরা দেননি। ক্যামেরার সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের বুদ্ধিদীপ্ত উত্তর দিয়েছেন। বুবলী বলেছেন, আমার ব্যক্তিগত জীবনকে কখনই ক্যামেরার সামনে আনতে চাই না। বরাবরই আমি বলি... আমার প্রফেশনাল লাইফটাকেই ফোকাস করতে চাই। পারসোনাল লাইফ নিয়ে খুব একটা কথা বলতে চাই না। তারপরও সাংবাদিক বন্ধুদের অনেক আগ্রহ থাকে, দর্শকেরও আগ্রহ থাকে। তো, সেই জায়গা থেকেই বলি ডেফিনিটলি কিছু ব্যাপার তো আছেই... একটা ঘটনার পেছনে আরও অনেক ঘটনা থাকে। একটা বিষয় আপনারা দেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। ইস্যুটা খুবই সেনসেটিভ। আমি চাইবো কেউ যেন সবকিছু না জেনে ভুল ব্যাখ্যা না করেন। আমি একজন মুসলিম মানুষ। সো, সবকিছুর পেছনে অবশ্যই একটা ব্যাখ্যা আছে। সবকিছু অবশ্যই সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। আমি কয়েকদিনের মধ্যে বিষয়টা আপনাদের সামনে ক্লিয়ার করবো। কাজেই আপনারা কেউ ভুল ব্যাখ্যা দেবেন না, প্লিজ...  বুবলীর একটি কথা বিশেষভাবে গুরুত্বের দাবি রাখে। বুবলী বলেছেন, সবকিছু অবশ্যই সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো কী সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে হয়েছে? বিয়ে ও সন্তান জন্মদান? তাহলে সে বিষয়গুলো প্রকাশ্যে জানাতে বাধা কোথায়? নাকি বুবলী কারও বাধার মুখে পড়েছেন? বুবলীর সন্তানের পিতা যদি শাকিব খানই হয়ে থাকেন তাহলে তিনিই কি বুবলীকে বাধা দিচ্ছেন? অপু বিশ্বাসকেও এভাবেই বাধা দিয়েছিলেন মাকিব খান।

 ফিল্মী ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যেতে পারে এই ভয়ে অপুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে এই তথ্য গোপন রাখতে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। অপুর ভাষ্য, শাকিব খান নাকি তাকে বলেছিলেন বিয়ের কথা গোপন রাখো। এতে তোমার আমার ফিল্মী ক্যারিয়ারে ভালো হবে। আর যদি বিয়ের কথা প্রকাশ করতে চাও তাহলে তোমাকে ফিল্ম থেকে সরে যেতে হবে। অনেকেই ধারণা করছেন অপু বিশ্বাস যে পথে হেঁটেছেন বুবলী বোধকরি সেই পথেই হাঁটছেন। শাকিব-অপুর বিয়ে হয় ২০০৮ সালে। অপু আড়ালে চলে যান ২০১৬ সালে। সন্তানসহ প্রকাশ্যে আসেন ২০১৭ সালে। তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় ২০১৮ সালে। এর আগেই বুবলীর সঙ্গে শাকিব খানের প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। ২০২০ সালে ‘বীর’ সিনেমার সময় গুঞ্জন ওঠে বুবলী অন্তঃসত্ত্বা। অপুর মতোই বুবলীও আড়ালে চলে যান। আবার প্রকাশ্যে আসেন এক বছর পর। মাত্র কয়েকদিন আগে বুবলীর বেবী বাম্পের ছবি প্রকাশ পায়।  অভিজ্ঞ মহলের ধারণা বুবলীও বোধকরি এমন কোনো বাধ্যবাধকতার মুখোমুখি পড়েছেন। যে কারণে তিনি আসল ঘটনা বলতে গিয়েও বলার সাহস হারাচ্ছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি প্রশ্নের জবাব দেয়া সংক্রান্ত বুবলীর একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে। একটি সিনেমার শুটিং সেটে বুবলীর সঙ্গে কথা বলেছেন কয়েকটি মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীবৃন্দ। 

বিশিষ্ট অভিনেত্রী মুনিরা মিঠুসহ অন্যান্যরা বুবলীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বুবলীর কথা শেষ হলে মুনিরা মিঠু সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বুবলীর কথা শুনতে শুনতে আমার চোখে পানি এসে গিয়েছিল। আপনারা প্লিজ তাকে একটু সহানুভূতির চোখে দেখবেন, এই সময় বুবলী কান্না লুকানোর চেষ্টা করেন। তবুও তিনি কেঁদে ফেলেন।  এখন প্রশ্ন হলো বুবলীর এই কান্নার অর্থ কি? একটা মানুষ কখন কাঁদে? বিপদে পড়লে কাঁদে। তার বিরুদ্ধে অন্যায় হচ্ছে অথচ তার প্রতিকার পাচ্ছে না তখনো মানুষ কাঁদে। ন্যায্য অধিকার না পাওয়ার কষ্টেও মানুষ কাদে? বুবলী নিশ্চয়ই এই তিন ক্যাটাগরির কোনো একটা ক্যাটাগরিতে জড়িয়ে পড়েছেন। হয়তো ভাবছেন, আজ না হোক কাল সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আশা আছে বলেই তো মানুষ বাঁচার স্বপ্ন দেখে।  কিন্তু বাস্তবতা কি বলে? সাবেক স্ত্রী অপু বিশ্বাসের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও একমাত্র পুত্র জয় আব্রাহামের জন্মদিন উপলক্ষে অতি সম্প্রতি অপুর সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়েছে শাকিব খানের। অপু বিশ্বাসও ইদানিং প্রচার মাধ্যমে শাকিব খান সম্পর্কে প্রশংসাসূচক কথা বলছেন। 

এটাকেই অশুভ ইঙ্গিত ভেবেই কী বুবলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেবী বাম্পের ছবি দুটো আপলোড করেছেন। বুবলী কি অশুভ কোনো ইঙ্গিত পেয়েছেন? বুবলী কি ভয় পাচ্ছেন? চলচ্চিত্রাঙ্গনে রটনা। ঘটনা সবই থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে নীতি-নৈতিকতার চর্চা থাকবে না? আবারো বলি বিয়ে একজন মানুষের জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কাজেই বিয়ের ব্যাপারে কোনো ছলচাতুরি কাম্য নয়। বিশেষ করে তারকাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যে যাই বলি না কেন জনপ্রিয় তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন তার, তাদের ভক্তদের উপর বিশেষভাবে প্রভাব ফেলে। কাজেই তারকাদের উচিত ব্যক্তিগত জীবনযাপনে এমন অন্যায়, অনিয়ম অনাচার না করা যা দেখে তাদের ভক্ত সাধারণ মানুষও এমন অন্যায়, অনাচার অন্ধকার জগতে পা বাড়াতে আগ্রহী হয়।  প্রথমে ভেবেছিলাম কে কাকে বিয়ে করলো, কে কার বাচ্চা অথবা কে কার স্বামী এইসব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার কোনো মানে হয় না। পরে যখন মনে হলো খবর তো শুধু বিয়ে সন্তান নিয়েই নয় এখানে নীতি-নৈতিকতারও প্রশ্ন জড়িত। শাকিব খান নিঃসন্দেহে আমাদের সিনেমার অন্যতম কাণ্ডারি। কাজেই তার নীতি-নৈতিকতার ওপরও শুধু সিনমা নয় সমাজের নানা ক্ষেত্রে মূলবোধ তৈরির ব্যাপারটি নির্ভর করে। তিনি একজন ভালো মানুষ। কিন্তু তার মাঝে নীতি-নৈতিকতার বালাই নাই। নারীকে সম্মান দেন না। বিয়ের নামে লিভ টুগেদার করেন। 

সমাজে এই ধরনের ভালো মানুষের আদৌ কি প্রয়োজন আছে? আশার কথা, দেরিতে হলেও আমাদের সিনেমা অঙ্গন আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে হাওয়া, পরাণ, বিউটি সার্কাসসহ উল্লেখযোগ্য কিছু সিনেমা দর্শকের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। সামনে আসছে আরও কিছু ভালো সিনেমা। সময় বিবেচনায় এখন দরকার সিনেমা পরিবারের মানুষগুলোর ঐক্যবদ্ধ পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি। অথচ তারা মশারীর ভিতর মশারী টাঙ্গিয়ে বিভেদের রেখা তুলে ঐকবদ্ধতার কথা বলছেন। যা কখনই কাম্য নয়।  গত কয়েকদিনে দেশের প্রচার মাধ্যমে বুবলীর মা হওয়া সম্পর্কিত যত খবর প্রকাশ ও প্রচার হয়েছে তার ছিটেফোটাও একটি ভালো সিনেমার জন্য হয়নি। এই দৈন্যতার অবসান দরকার। সেই সঙ্গে নায়িকা বুবলীর সন্তানের বাবা কে তাও নিশ্চিত হওয়া জরুরি। (যদি সত্যি সত্যি বুবলীর সন্তান হয়ে থাকে) বুবলীই নিশ্চিত করে বলতে পারবেন তার সন্তানের বাবা কে? কেন তিনি মুখ খুলছেন না এটাই বড় প্রশ্ন।  সব শেষে বিশিষ্ট প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুর একটি বক্তব্য তুলে ধরতে চাই।

 তিনি বলেছেন, একজন প্রযোজক হলেন একটি সিনেমার মূল কাণ্ডারী। তিনিই অর্থ লগ্নি করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা প্রযোজকরা তথাকথিত ব্যস্ত শিল্পীদের কাছে বড়ই অসহায়। তারা শুটিং এর কোনো নিয়মকানুন মানতে চান না। সকালে শুটিং আসেন বিকালে। এসেই বলেন, সোনারগাঁওয়ের খাবার লাগবে। আউটডোরে গেলে কেউ কেউ বোতলজাত পানি ছাড়া গোসল করতে চান না। এর ফলে সিনেমার আসল চরিত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরসঙ্গে মাঝে মাঝেই যুক্ত হয় শিল্পীদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনের টানাপড়েন। এভাবে একটি ইন্ডাস্ট্রি চলতে পারে না। আমাদের সিনেমাকে সত্যিকার অর্থে যদি আমরা বাঁচাতে চাই তাহলে নীতি-নৈতিকতা ও নিয়ম পালনের বিকল্প নাই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied