আর্কাইভ  শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫ ● ৮ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   শনিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২৫
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
মা–বাবার সঙ্গে দুই ছেলের একসঙ্গে যাত্রা, একসঙ্গেই মৃত্যু

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

নারী কাণ্ডে চাকরি হারালেন বেরোবি সমন্বয়ক রহমত

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

চীন যাচ্ছেন নাহিদসহ এনসিপির ৮ নেতা

পিআরের বিরুদ্ধে অনড় বিএনপি

♦ শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা
♦ জুলাই সনদ নিয়ে আশাবাদী
পিআরের বিরুদ্ধে অনড় বিএনপি

লাঠি হাতে তরুণকে পেটানো নেত্রকোনার সেই ইউএনও’কে প্রত্যাহার

শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫, রাত ০৮:০৫

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক: পুলিশের কাছ থেকে লাঠি কেড়ে নিয়ে দুর্জয় (১৮) নামের এক তরুণকে পেটানো নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুয়েল সাংমাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. মোখতার আহমেদের স্বাক্ষরিত আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

আদেশ অনুযায়ী, রুয়েল সাংমাকে আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদ থেকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন ও অভিযোগপত্রের বরাতে জানা যায়, ২৪ মার্চ কোরবানির ঈদের আগে ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণ চলছিল। একপর্যায়ে চাল নিতে আসা লোকজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি সৃষ্টি হয়। অনিয়মের খবর পেয়ে ইউএনও রুয়েল সাংমা সেখানে যান। তখন ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে চাল নিতে আসা ১৭ বছরের ওই কিশোর ইউএনওর শরীরে পড়ে যান। পরে তাকে ইউএনও লাঠি দিয়ে মারধর করেন।

এ ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ২০ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভিড়ের মধ্যে ইউএনও রুয়েল সাংমা এক কিশোরকে মারধর করছেন। এ সময় সেখানে আনসার ও পুলিশ সদস্যদের দেখা যায়। কেউ কেউ ইউএনওকে ফেরানোর চেষ্টা করেন। মারধরের মধ্যে একবার ইউএনওকে পড়ে যেতেও দেখা যায়।

পরে ওই কিশোরের চাচী মুচলেকার মাধ্যমে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। ভয়ে দুর্জয় ও তার অসচ্ছল পরিবার ঘটনা চেপে যায়।

কিন্তু বিষয়টি ধীরে ধীরে এলাকায় জানাজানি হলে ওই দিনের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়া হলে ভাইরাল হয়।

অভিযুক্ত ইউএনও অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তিনি কাউকে মারধর করেননি; বরং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ভুক্তভোগী দুর্জয় বলেন, ‘আমার মা হুসনা আক্তার অসুস্থ থাহনে আমি সেই দিন ১২টার সময় ভিজিএফের চাউল আনতাম যাই। লোকজনের ঠেলা-ধাক্কায় পরিষদের সামনে দেওয়া বাঁশের বেড়া খুইল্লা গেলে আমি সামনে গিয়া পইড়া যাই। এ সময় ইউএনও স্যার আইয়া আমারে মারধর করেন। পরে আমারে চারটা পর্যন্ত আটকাইয়া রাইখা একটা কাগজে স্বাক্ষর কইরা ছাইড়া দিছেন।’

মন্তব্য করুন


Link copied