আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫ ● ১১ ভাদ্র ১৪৩২
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ২৬ আগস্ট ২০২৫
রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

রংপুরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় অবকাঠামোসহ এসিগুলো নষ্ট

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

উগ্রবাদ নিয়ে সতর্ক বিএনপি

তদন্ত হবে আড়ি পাতার

রাজনৈতিক সরকার এ ব্যবস্থা ধরে রাখতে চায়
তদন্ত হবে আড়ি পাতার

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর

সংঘর্ষের মধ্যে এবার সড়কে নেমেছেন ইডেন শিক্ষার্থীরা

সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, রাত ০২:৪৮

Advertisement Advertisement

নিউজ ডেস্ক ;  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের মধ্যে সড়কে নেমে এসেছেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। কলেজের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে সড়কে নেমে আসেন তারা।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে গেটের তালা ভেঙে ইডেন মহিলা কলেজের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নেন।

এ সময় তারা ঢাবি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন। কলেজ প্রশাসন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলে তাদের উদ্দেশ্যেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তারা।

ইডেন কলেজ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঢাবির শিক্ষার্থীরা অন্যায়ভাবে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। এমনকি তারা সাত কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে বলেও শোনা যাচ্ছে। তাই আমরা আমাদের ভাইদের সহযোগিতার জন্য বের হয়েছি।

এদিন সন্ধ্যায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পাঁচ দফা দাবিতে সায়েন্স ল্যাব মোড় ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করেন। এতে সায়েন্স ল্যাব এলাকা, নীলক্ষেত মোড় ও এলিফ্যান্ট রোডসহ আশপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরে ফেরা মানুষ।

জানা গেছে, সাত কলেজের ভর্তির আসন কমানোসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে বিকেলে শতাধিক শিক্ষার্থী আলোচনা করতে ঢাবির প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদের কার্যালয়ের সামনে যান। অধ্যাপক মামুন আহমেদ দুই-তিনজন প্রতিনিধিকে তার কার্যালয়ে এসে কথা বলতে অনুরোধ করেন। তবে সে অনুরোধ উপেক্ষা করে সবাই কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকেন। এসময় ‘মব’ সৃষ্টি অধ্যাপক মামুন তাদের সঙ্গে আর কথা বলেননি। পরে এর প্রতিক্রিয়ায় সেখান থেকে তারা বেরিয়ে অবরোধ শুরু করেন।

ডিএমপির রমনা বিভাগের নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার তারিক লতিফ বলেন, সাত কলেজে ভর্তির আসন কমানোসহ পাঁচ দফা দাবি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিসহ ইউনিটের দায়িত্বরত শিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। শিক্ষকেরা নাকি তাদের কথার কোনো গুরুত্ব দেননি। এরই প্রতিবাদে তারা সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। 

এ সময় সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের ফোকাল পারসন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম অনুযায়ী ঢাবির উপ-উপাচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাননি। আমরা সব শিক্ষার্থী মিলে উপ-উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করতে যাব।

রাত ১০টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (শিক্ষা) বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা কলেজে প্রবেশ করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এরপর ঢাকা কলেজের আবাসিক হল থেকে আরও শিক্ষার্থী নিয়ে রাত ১১টার দিকে ঢাকা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বার মুক্তি ও গণতন্ত্রের তোরণের কাছে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের বোঝানোর জন্য সাত কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরও এসে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।তবে উপ-উপাচার্য ক্ষমা না চাইলে সেখান থেকে যাবেন না জানিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন।

অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা এএফ রহমান হলের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থানের এ পর্যায়ে রাত পৌনে ১২টার দিকে ধাওয়া-পালটার ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধাওয়া দিলে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেতের দিকে চলে যান। পরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড  নিক্ষেপ করে। একপর্যায়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছু হটে। পরবর্তীতে রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে তারা আবার পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ফের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে। 

মন্তব্য করুন


Link copied