আর্কাইভ  রবিবার ● ১১ মে ২০২৫ ● ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
আর্কাইভ   রবিবার ● ১১ মে ২০২৫
কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা ট্রাম্পের

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টা না যেতেই কাশ্মীরে বিস্ফোরণ!

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

আক্রমণের জন্য সেনা মোতায়েন করছে পাকিস্তান, দাবি ভারতের

বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

যুদ্ধের দামামা
বল এখন ভারতের কোর্টে: পাকিস্তান

সম্পর্কে সন্দেহ

বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩, সকাল ০৯:৩৯

Advertisement

ডেস্ক: প্রতিটি সম্পর্কেই একটা ‘সুর’ থাকে। এই সুরের মাঝে ‘বেসুরো’ আচরণ চোখে পড়লেই জন্ম নিতে পারে সন্দেহের মতো বিষাক্ত বীজ। সুস্থ-স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখতে এই বিষ থেকে নিজেদের মুক্ত রাখা জরুরি। কোনো একটি পক্ষের মধ্যে যদি সন্দেহ একবার ঢুকে যায়, এতে দু’পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দু’পক্ষেরই এ ক্ষেত্রে আগে জানা প্রয়োজন সম্পর্কে কেন সন্দেহ তৈরি হয়। সন্দেহ দূর করতে দু’জনেরই সচেতনতা ও চেষ্টা থাকা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক সম্পর্কে সন্দেহ তৈরি হওয়ার কারণ, দূর করার উপায় এবং এ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।

সন্দেহ কেন সৃষ্টি হয় প্রথমেই বলেছি, সম্পর্কে ‘সুরের’ কথা। এই সুর মূলত জীবনাচরণ-সংশ্লিষ্ট। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব জীবনাচরণ রয়েছে। দাম্পত্য জীবন বা প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একজনের কাছে অন্যজনের জীবনাচরণে কিছুটা হলেও অভ্যস্ততা চলে আসে বা বিষয়গুলো মুখস্থ হয়ে যায়। হঠাৎ যদি দু’জনের কারও মধ্যে এ আচরণে পরিবর্তন দেখা যায়, তখন সুর কেটে গেছে বলে মনে হয়, বেসুরো লাগে। তখনই অন্য পক্ষের মধ্যে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ার ক্ষেত্র বা সুযোগ তৈরি হয়। কোনো কারণে অন্য পক্ষের যদি মনে হয় আপনি আগের মতো তাঁকে কেয়ার করছেন না, সময় দিচ্ছেন না কিংবা আপনার দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্মের ধরন এবং সময়ও বদলে গেছে, অন্যমনস্ক থাকছেন বা অযথা ঝগড়া করছেন। এমন নানা কারণে সন্দেহ তৈরি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সন্দেহ তৈরি হওয়ার আরেকটি কারণ হলো আস্থার অভাব বা অনিশ্চয়তা। কেউ যখন প্রিয়জনকে নিয়ে কারণে- অকারণে অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকে, তখন না চাইলেও সন্দেহ জন্ম নিতে পারে। আস্থার অভাব থাকলেও এমনটি হতে পারে। দু’পক্ষেরই ভূমিকা জরুরি যেহেতু প্রত্যেক মানুষেরই মনোজগৎ আলাদা, সে কারণে চিন্তাভাবনাসহ সবকিছুতেই ভিন্নতা থাকে। তাই সব সময়ই যে কাছের মানুষগুলো আপনাকে ঠিকঠাক বুঝতে পারবে, তা মনে করা ভুল।

এ ছাড়া পুরুষ ও নারীর সাইকোলজির গঠন আলাদা হওয়ায় একজন অন্যজনকে বুঝতে অসুবিধা হবে, চিন্তার অমিল থাকবে– এটাই স্বাভাবিক। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনো কারণে যেন মানসিক দূরত্ব তৈরি না হয়। মানসিক দূরত্ব থাকলে সন্দেহের বীজ আরও শক্তিশালীভাবে গেড়ে বসার আশঙ্কা থাকে। তাই সন্দেহমুক্ত একটি সুস্থ সম্পর্ক চাইলে দু’পক্ষেরই সচেতন ভূমিকা পালন করা উচিত। বিশ্বাস, আস্থা বা যত্নে কখনও শিথিলতা চলে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিত্যদিনের কর্মকাণ্ডে বিশেষ কোনো সিদ্ধান্তে হঠাৎ পরিবর্তন বা এ রকম কিছু হলে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে তা খোলাসা করুন। যাতে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ার সুযোগ না থাকে। অকারণ বাতিকের শিকার হচ্ছেন মনে হলে কেন সন্দেহ করছে, সেটি চিহ্নিত করুন। নিজেকে সংশোধন করুন। বিষয়টি পরিষ্কার ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে বুঝিয়ে বলুন। সত্য ও সঠিক বিষয়টি ধৈর্য নিয়ে বুঝিয়ে বলতে পারলে ছোট হবেন না, ঠকবেন না বরং সমাধান মিলবে।

ইগো পরাস্ত হবে, জিতে যাবেন আপনি। পরিস্থিতি বুঝতে পারার সক্ষমতা কারও হঠাৎ আচরণে পরিবর্তন মানেই যে সেটা সন্দেহজনক, তা নয়। তার দিকের বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এমনও হতে পারে তার সঙ্গে এমন কিছু ঘটছে, যেটা এই মুহূর্তে আপনাকে বুঝিয়ে বলা সম্ভব না, তাই অস্বাভাবিক আচরণ করছে। এ জন্য কোনো আচরণে খটকা লাগলে প্রথম ধাপেই সন্দেহ না করে অপেক্ষা করুন, আরও কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করুন। আপনি যা ভাবছেন, আসলেই তা ঠিক কিনা, সেটা নিশ্চিত হোন। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক কামাল চৌধুরী বলেন, প্রেম বা দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সন্দেহের ব্যাপারটা বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। এর ধরন অনুযায়ী সমাধান খুঁজতে হবে। তিনি বলেন, যে বিষয় নিয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে, সেগুলোর ভিত্তি আছে নাকি নেই, সেটি আগে নিশ্চিত হতে হবে। যদি ভিত্তি না থাকে, তাহলে দু’জন মিলে আলোচনার মাধ্যমেই সেটির সমাধান করা সম্ভব। আর ভিত্তি থাকলে যে বিষয়গুলো নিয়ে সমস্যা, সেগুলো আগে দূর করতে হবে। তবে যদি বিষয়টি শুধু সন্দেহবাতিক বা মানসিক সমস্যা বলে মনে হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। 

মন্তব্য করুন


Link copied