নিউজ ডেস্ক : হাসপাতালে মানুষ আসেন সুস্থতার আশায়। কিন্তু সুস্থ না হয়ে সেখান থেকেই যদি রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যান, তাহলে বিষয়টি কেমন হয়! হ্যাঁ, তেমনই হচ্ছে অহরহ! জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়ে মারা যাচ্ছেন নিউমোনিয়া কিংবা অন্য কোনো সংক্রমণে। এটিকে বলা হয় হসপিটাল অ্যাকোয়ার্ড ইনফেকশন বা হেলথকেয়ার অ্যাসোসিয়েটেড ইনফেকশন (এইচএআই)। এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
হাসপাতালের বিছানা, রোগীর ফাইল, টয়লেট, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, ভিজিটর ও সেবা প্রদানকারীদের মাধ্যমে একজন থেকে আরেকজনে রোগের জীবাণু ছড়ায়। হাসপাতালে ৪৮ ঘণ্টার বেশি ভর্তি থাকা প্রতি তিন রোগীর একজন নতুন করে কোনো না কোনো জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি যে রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন, সেটা ছাড়াও অন্য আরেকটি রোগের জীবাণুতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর চেয়ে বেশি ক্রস ইনফেকশন নেই।
হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ ছড়ানো এবং হাতের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আইসিডিডিআরবি ঢাকার ১১টি বড় হাসপাতালের ওপর দুটি গবেষণা পরিচালনা করা হয়। তাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সম্প্রতি ওয়াসার এক কর্মকর্তা জানান, তার এক আত্মীয় জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সুস্থও হয়ে গিয়েছিলেন। হঠাৎ করে তার অবস্থা খারাপ হয়ে গেল। তাকে আইসিইউতে নিতে হলো। তিনি আর ব্যাক করলেন না। তার মৃত্যু হলো।
এই মৃত্যু সম্পর্কে ওই দুটি গবেষণা প্রধান ও আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী মো. গোলাম দস্তগীর হারুন বলেন, ‘এই মৃত্যু হাসপাতাল থেকে সংক্রমিত হওয়ার কারণে হতে পারে। আইসিইউতে যারা ভর্তি হন, তাদের অ্যাপারেশন নিউমোনিয়া ডেভেলপ করে। মারা যান নিউমোনিয়ায়। হাসপাতালে থাকার কারণে ও হাসপাতালের ডিভাইস ব্যবহারের কারণে অথবা আরেক রোগীর কাছ থেকে অথবা ডাক্তার-নার্স অথবা হাসপাতালের এনভায়রনমেন্ট থেকে গিয়ে তার ইনফেকশনটা হয়। এটা দেশে খুব বড় সমস্যা।’
তিনি বলেন, ‘দেখা গেল একজনের সার্জারি খুব ভালো হয়েছে। পরে অন্য ইনফেকশন হয়েছে। স্ট্রোকের শুধু নিউরোজিক্যাল ট্রিটমেন্ট ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা নেই। দুদিন পর তার জ্বর আসা শুরু করেছে। কেন জ্বর এসেছে। তাকে ক্যাথেটার দিয়েছে। এটি ক্যাথেটার অ্যাসোসিয়েটেড ইনফেকশন। কারও স্যালাইন দিল, ওখান থেকে ইনফেকশন হয়েছে। ভেন্টিলেটর দিয়ে ইনফেকশনাল নিউমোনিয়া হয়। এই সবগুলোই হেলথকেয়ার অ্যাসোসিয়েটেড ইনফেকশন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীর স্বজন থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা তেমন একটা হাতের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু হ্যান্ড হাইজিন মানলেই হাসপাতালে ৫০ শতাংশ ইনফেকশন কমানো সম্ভব। হাইজিন না মেনে স্পর্শ করায় তা থেকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য রোগীর।
বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, যত রোগব্যাধি বেশির ভাগই হাতে থাকা জীবাণুর মাধ্যমেই শরীরে প্রবেশ করে। তাই হাত জীবাণুমুক্ত রাখা খুবই জরুরি। তিনি সব সময় হাতের কাছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে- শুধু বিছানাতেই নয়; ফ্লোরেও রোগী রয়েছেন। ধারণক্ষমতার চেয়ে এই হাসপাতালে সব সময় রোগী বেশি থাকেন। রোগীর বিছানায় একাধিক লোককে বসে থাকতেও দেখা গেছে। রোগী দেখার আগে বা পরে হ্যান্ড হাইজিন করছেন না চিকিৎসক-নার্স কেউ। আর ক্লিনার কিংবা ওয়ার্ডবয়দের হ্যান্ড হাইজিনের প্রশ্নই ওঠে না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের বড় একটি অংশ দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। এর নেপথ্যেও একটি বড় কারণ হাসপাতালের সংক্রমণ। জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়ে মৃত্যু হলে মানুষের আস্থার জায়গা নষ্ট হয়ে যায়। তখনই রোগীদের বিদেশমুখী প্রবণতা চলে আসে।
বিজ্ঞানী মো. গোলাম দস্তগীর হারুন বলেন, ‘ভারতে চিকিৎসার জন্য মানুষ যায়, কারণ সেখানে ইনফেকশন প্রতিরোধের প্র্যাকটিস করা হয়। আমাদের সেই রকম প্র্যাকটিস শুরু হয়নি। ভারতে যদি প্রাইভেট হাসপাতালে যান, দেখবেন ওখানে কোনো ডাক্তার হ্যান্ড হাইজিন না করে রোগী স্পর্শ করেন না। হাসপাতালের এনভায়রনমেন্ট খুব ভালো।’
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর হারুন বলেন, ‘ওই হাসপাতালে যিনি সার্জারি করেন, ওনাকে ঢাকা মেডিক্যালে সার্জারি করতে বলেন। বেসরকারি সেই হাসপাতালে ইনফেকশন রেট ১ থেকে ২ শতাংশ। আর ঢাকা মেডিকেলে দেখবেন তা হবে ২৫ শতাংশ। কেন? সার্জন বা ডাক্তার সমস্যা নয়। সমস্যা ম্যানেজমেন্টের।’
দুটি গ্রুপ ইনফেকশন ছড়ায় বলে উঠে আসে আইসিডিডিআরবির গবেষণায়। স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা ও রোগীর স্বজনরা। বিজ্ঞানী গোলাম দস্তগীর ব্যাখ্যা করেন কীভাবে এই দুটি গ্রুপের মাধ্যমে ইনফেকশন ছড়ায়।
তিনি বলেন, ‘সার্ভিস প্রোভাইডার; ডাক্তার-নার্স-ক্লিনাররা কীভাবে ছড়াচ্ছেন? ডাক্তার রোগী দেখার আগে বা পরে হ্যান্ড হাইজিন করছেন না। একসঙ্গে আপনাকে-আমাকে-ওনাকে দেখে যাচ্ছেন। নিয়ম হচ্ছে, প্রতি রোগী দেখার আগে এবং পরে হ্যান্ড হাইজিন করা। তাহলে আর একজন থেকে আরেকজনে ছড়াবে না। একইভাবে নার্সরাও ছড়াচ্ছেন। হাসপাতালে যে কলম দিয়ে তারা লেখেন, তাতেও জীবাণু থাকে। হাসপাতালে কোনো কিছু ধরার আগে-পরে হ্যান্ড হাইজিন করে নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত পাঁচটি মুহূর্তে যদি হ্যান্ড হাইজিন করা যায়, তাহলে ৫০ শতাংশ ইনফেকশন কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি জীবাণু থাকে পেশেন্ট ফাইলে। পেশেন্ট ফাইল কারা দেখেন, ডাক্তার, নার্স ও ক্লিনার। আমি গেলাম আমি দেখব, আরেকজন গেলে সে দেখবে। ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাচ্ছে এই টেস্ট করতে হবে। পেশেন্ট ফাইল সব জায়গা থেকে কন্টামিনেটেড হয়। পেশেন্ট ফাইল ধরার আগে ও পরে হ্যান্ড হাইজিন করতে হবে। অনেকে রোগীর বেডের পরে পেশেন্ট ফাইল রাখেন। এটাও করা যাবে না।’
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ক্লিনাররা একটা গ্লাভস পরে হাসপাতালে সব ধরনের কাজই করে থাকেন। খাবার আনা, কখনো কখনো ক্যাথেটার লাগানো, ক্যাথেটারের ইউরিন পরিষ্কার, টয়লেট পরিষ্কার, অনেক সময় রোগীকে সেলাইও করে দেন ক্লিনার। ক্যানটিন থেকে শুরু করে ডিরেক্টরের রুম পর্যন্ত তাদের যাতায়াত থাকে। ওটি থেকে এসে ওই অবস্থায় গিয়ে শিঙাড়া নিয়ে আসারও নজির রয়েছে। এদের থেকে খুবই বেশি জীবাণু ছড়ায়।
আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীরা আড়াই শতাধিক ক্লিনারের কাজ দেখার জন্য তাদের কয়েক দিন ধরে ফলো করেন। তাদের কাজ দেখে গবেষকরা খুবই হতাশ হয়েছেন। দেখেছেন, তারা যখন-যেভাবে খুশি সেভাবে কাজ করেন। টয়লেটের মপ দিয়ে হাসপাতালে ফ্লোর পরিষ্কার করতেও দেখেছেন।
আইসিডিডিআরবির সহযোগী বিজ্ঞানী ডা. মো. নুহু আমিন মন্তব্য করে বলেন, ‘কী করে কন্ট্রোল করবেন। ইনফেকশন কন্ট্রোল করছেন নাকি স্প্রেড করছেন? এখানে পার্থক্য রাখতে হবে। টয়লেট যে ক্লিন করবেন, তিনি ওয়ার্ড ক্লিন করবেন না।’
ক্লিনিং স্টাফদের জীবাণু কন্ট্রোলের বিষয়ে কোনো ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিং দেওয়া হয় না উল্লেখ করে আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী গোলাম দস্তগীর বলেন, ‘তাদের হাত ধোয়ার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। ফরমাল কোনো ইনস্টিটিউশন থেকে তারা আসেননি। ট্রেনিং দিয়েও কোনো কাজে আসছে না। কারণ আউটসোর্সিং থেকে তাদের নেওয়ায় প্রতিনিয়ত চেঞ্জ হচ্ছে। ক্লিনার যাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, তাদের লংটাইম থাকতে হবে। ট্রেনিং দিতে হবে, পোশাক থাকতে হবে, মনিটরিং করতে হবে। এমন করা যায় যে বেসিক সাত দিনের ট্রেনিং না থাকলে কেউ এই চাকরি করতে পারবে না, এটা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ট্রেনিং দিলেই হবে না। তাদের বুঝিয়ে বলতে হবে। মোটিভেশন দরকার।’
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের হ্যান্ড হাইজিন না করার পেছনে অপর্যাপ্ত সরবরাহ, ত্বকের প্রতিক্রিয়া, কাজের চাপ এবং সুবিধার অভাবের বিষয় উঠে এসেছে গবেষণায়। গবেষকরা সেবা প্রদানকারীদের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশও করেছেন।
অন্য যে গ্রুপটি দ্বারা জীবাণু ছড়ায় তা হলো রোগীর ভিজিটর। কেউ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে দেখতে যাওয়া সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রোগীদের জন্য হাসপাতালে দুই ধরনের মানুষ আসেন। একধরনের মানুষ রোগীর সঙ্গে ফুলটাইম থাকেন। আরেক ধরনের মানুষ রোগীকে দেখে চলে যান। আইসিডিডিআরবির গবেষণায় দেখা গেছে, রোগীর সঙ্গে গড়ে দুই থেকে তিনজন ফুলটাইম হাসপাতালে থাকেন। দূর থেকে এলে একটু বেশি সংখ্যায় থাকেন তারা। কাছাকাছি হলে একটু কম থাকেন। আর স্বজন আসেন দিনে গড়ে সাত-আটজন।
স্বজনরা না এলে রোগীও মন খারাপ করেন। কিন্তু বেশি লোক আসা যে রোগীদের জন্য ঝুকিঁপূর্ণ তা বোঝেন না, গুরুত্বও দেন না।
রাজধানীর কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ভিজিটরদের প্রবেশের নির্ধারিত সময় থাকলেও তা মানা হয় না। রোগীর বিছানায় এসে বসা, ফুল নিয়ে আসা, বিশেষ করে কোনো নেতা বা জনপ্রতিনিধি ভর্তি হলে হাসপাতালে অনেক ভিড় হয়। এতে অন্য রোগীদেরও সমস্যা দেখা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, বিশেষ করে জনপ্রতিনিধি, ছাত্রনেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ভর্তি হলে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা এসে হাসপাতালের সেবার মারাত্মক বিঘ্ন ঘটান। অন্য রোগীর বিছানায় বসেন। ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গেও কখনো কখনো খারাপ আচরণ করেন।
রোগী গুরুতর অসুস্থ না হলে তারা একধরনের উৎসবে মেতে ওঠেন। রান্না করে হাঁড়িসহ স্বজনদের আসতেও দেখেছেন আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানীরা।
রোগীর বাইরে হাসপাতাল থেকে তাদের স্বজনদের সংক্রমণের হিসাব নেই। তবে হাসপাতালে আসা ভিজিটরদের মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধদের জন্য বেশি ঝুঁকি বলে জানান বিজ্ঞানী গোলাম দস্তগীর। তাদের হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্ক মানুষদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনই একাধিক রোগে আক্রান্ত। তারা আবার হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হলে মৃত্যুঝুকিতে পড়ে যেতে পারেন।
আইসিডিডিআরবির এই গবেষক বলছেন, হাসপাতাল থেকে সংক্রমণ রোধ করা গেলে হাসপাতালে রোগীর অবস্থানের দিন কমে আসবে। যাদের ইনফেকশন হয়, তাদের হাসপাতালে গড়ে আট দিন করে থাকতে হয়। যদি হ্যান্ড হাইজিন প্র্যাক্টটিস করা হয়, তাহলে হাসপাতালে থাকার হার গড়ে তিন দিন করে কমে আসবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ইনফেকশন রোধ করতে পারি, তাহলে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমবে, খরচ কমবে, জীবন বাঁচবে। সেই সঙ্গে হাসপাতালে ভালো পরিবেশ পাব। তবে এ জন্য সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। এগিয়ে আসতে হবে বিত্তবানদের।’
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালে আসেন অসুস্থ মানুষ। তাদের জন্য বেশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দরকার। এই খাতে কেন পয়সার অভাব হবে? রোগ ছড়ালে তো আরও বেশি খরচ হবে। আমাদের দেশে সরকার জনগণের স্বাস্থ্যের খরচ জোগায় আংশিক। যদি পুরোটা জোগাত, তাহলে এই হিসাব করত। পরিষ্কার রাখলে অনেক মানুষকে বাঁচাতে পারব, হাসপাতালে এতক্ষণ রোগী রাখতে হবে না বা বেশি রোগী আসবে না। যেহেতু সর্বজনীন স্বাস্থ্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, খরচটা যেহেতু মানুষের ঘাড়েই যায়, সে জন্য সরকার ওই হিসাব করে না। পরিষ্কার রাখলে যেসব রোগজীবাণু নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তাতে অসুস্থতার খরচ অনেক সেভ হয়।’
ইনফেকশন কন্ট্রোল করতে কমিটি গঠনের জন্য দেশের সব হাসপাতালে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই কমিটি তিন মাস পরপর ১ ঘণ্টার জন্য তিনটি গ্রুপকে ট্রেনিং দেবে। এই ট্রেনিং না নিয়ে কেউ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবেন না।